অস্তিবাচক বাক্য থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর – আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিভাগের “বাক্যতত্ত্ব” বিষয়ের একটি পাঠ।
অস্তিবাচক বাক্য থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর | বাক্যতত্ত্ব | ভাষা ও শিক্ষা
অস্তিবাচক বাক্য থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর : অস্তিবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করতে হলে মৌলিক অর্থ বা মূল অর্থ অপরিবর্তিত রেখে নিচের সাধারণ সূত্রগুলো অবলম্বন করতে হবে— সূত্র : ক। ‘হ্যাঁ’ সূচক বাক্যকে ‘না’ করতে হলে মূল অর্থ পরিবর্তন না করে বাক্য পরিবর্তন করতে হয়।
যেমন: অস্তিবাচক : ‘আপনকার বাণ অল্পপ্রাণ মৃগশাবকের উপর নিক্ষিপ্ত হইবার অযোগ্য।’ নেতিবাচক : ‘আপনকার বাণ অল্পপ্রাণ মৃগশাবকের উপর নিক্ষিপ্ত হইবার যোগ্য নহে। ‘ সূত্র : খ। বাক্যে ‘না’, ‘নয়’, ‘নহে’, ‘নি’, ‘নেই’, ‘নাহি’, ‘নাই’ ইত্যাদি নঞর্থক অব্যয়যোগে অস্তিবাচক বাক্যের বিধেয় ক্রিয়াকে (সমাপিকা ক্রিয়াকে) নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করা হয়। যেমন : অস্তিবাচক : মন নিচুতে নামতে অনিচ্ছুক।
নেতিবাচক : মন নিচুতে নামতে চায় না ৷ অস্তিবাচক : টাকায় সব করে। নেতিবাচক : টাকায় ‘কি না করে? সূত্র : গ। প্রয়োজন মত বাক্যের অন্য শব্দকে ‘না’ সূচক প্রয়োগ করতে হয় । যেমন : অস্তিবাচক : ‘তিনি স্বেচ্ছায় যখন সহমরণে যাইতে চাহিতেছেন, তখন সরকারের কি ?” নেতিবাচক : ‘তিনি স্বেচ্ছায় যখন সহমরণে যাইতে চাহিতেছেন, তখন সরকারের আপত্তি থাকিতে পারে না।’ ⇒ সূত্র : ঘ।

‘না’-বাচক ক্রিয়া ও ‘না’-বাচক শব্দ বা ‘না’–বাচক অব্যয় মিলে বাক্যের অস্তিবাচক বা হ্যাঁ- সূচক ভাবটি বজায় রাখতে হয়। যেমন : অস্তিবাচক : ভায়ের উচিত কাজ হয়েছে। নেতিবাচক : ভায়ের অনুচিত কাজ হয় পরিবর্তিত নঞর্থক বাক্যে ‘নি’ নঞর্থক অব্যয় ‘উচিত’-এর বিপরীত শব্দ ‘অনুচিত’ মিলে বাক্যের অস্ত্যর্থক ভাবটি অক্ষুণ্ণ রেখেছে। কতিপয় উদাহরণ
আরও দেখুন: