মানপত্র ,অভিনন্দন পত্র, বিদায়সংবর্ধনা, শ্রদ্ধাঞ্জলি | ভাষা ও শিক্ষা , ‘মানপত্র’ বলতে সংবর্ধনার জন্য প্রদত্ত প্রশংসাসূচক ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপক অভিনন্দনপত্রকে বোঝায়। একে সম্মাননাপত্রও বলা যায়। মানপত্রের সাহায্যে কোনো শ্রদ্ধেয় বা গুণী ব্যক্তিকে স্বাগত / অভিনন্দন । বিদায় / শ্রদ্ধা জানানো হয়। এতে ব্যক্তির গুণাবলি, প্রশংসা ও তাঁর কর্মগুণ বিবৃত হয়। মানপত্রে গুণাবলি প্রকাশক কতিপয় সম্বোধন থাকে। এক একটি সম্বোধন করে এক একটি অনুচ্ছেদ লেখা হয়। একটি অনুচ্ছেদ একটি ভাবের বাহন হয়ে থাকে। ‘তুমি’ বা ‘আপনি’— দু ধরনের সম্বোধনই হতে পারে।
মানপত্র ,অভিনন্দন পত্র, বিদায়সংবর্ধনা, শ্রদ্ধাঞ্জলি | ভাষা ও শিক্ষা
আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে বরণ বা বিদায় জানানাের জন্যে যে সম্মাননাপত্র রচনা করা হয়, তাকে মানপত্র বলে। মানপত্র সাধারণত সামাজিক, আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রচুর দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতিতে পাঠ করে সংবধেয় ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়। মানপত্রের ভাষা পরিশীলিত ও সমৃদ্ধ হতে হয়। এতে সংবর্ধেয় ব্যক্তির কর্মকৃতি, ব্যক্তিত্ব, ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্য, পাণ্ডিত্য, শিক্ষা ও দক্ষতা ইত্যাদির উল্লেখ থাকে। তাই বিভিন্ন উপশিরোনাম দিয়ে তাঁর বৈশিষ্ট্য, অবদান প্রভৃতিকে নানা বিশেষণে অভিষিক্ত করতে হয়। মানপত্র সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখে বা ছাপিয়ে, অলংকৃত এবং বাঁধাই করে দেওয়াই নিয়ম।

‘সংবর্ধনা’ শব্দের প্রকৃত অর্থ সম্মানের সঙ্গে অভ্যর্থনা, সসম্মানে অভ্যর্থনা। তাই সংবর্ধেয় ব্যক্তির সম্মান যাতে বৃদ্ধি পায় , তার জন্য সুশোভন শব্দ ব্যবহার করা উচিত। গুণী ব্যক্তির আগমন বা তাঁর মহৎ ভূমিকা, অবদানের স্বীকৃতিকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোই মূলত এ ধরনের মানপত্র রচনার লক্ষ্য।
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যক্তি বা সমষ্টিকে বরণ করা, বিদায় দেওয়া, সংবর্ধনা ও অভিনন্দন জানানোর জন্য যে পত্র রচনা করা হয়, তাকে মানপত্র বলে। মানপত্র সাধারণত বহু দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতিতে পাঠ করা হয়। এ ধরনের পত্রের ভাষা খানিকটা অলংকারমণ্ডিত হতে পারে। তবে এর আয়তন সংক্ষিপ্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। যার বা যাদের উদ্দেশে মানপত্র পড়া হয়, মানপত্রে তার বা তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা, কৃতিত্ব প্রভৃতির উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
আরও দেখুন: