অভিধান ব্যবহারের নির্দেশিকা | অভিধানে যেভাবে শব্দ খুঁজে বের করতে হয় | ভাষা ও শিক্ষা , বাংলা অভিধানগুলোতে অনুসৃত “বর্ণক্রম সুষ্ঠু যুক্তিভিত্তিক নয়। আঠারো-উনিশ শতকে ং ঃ ছিল স্বরবর্ণের সঙ্গে বিন্যস্ত। ড়, ঢ়, য় এবং অন্তঃস্থ ব বাংলা ভাষার কিছু শব্দের বিশিষ্ট উচ্চারণপ্রসূন। যদিও অনুষার ও বিসর্গ ব্যঞ্জনবর্ণ, তবু এগুলো পূর্বের মতোই ফরবর্ণের পরেই অভিধানে ঠাই পায়। আর, ড় , ঢ় , য় আজো যৌন্ত্রিক যথাস্থান পায় না অভিধানে। নিচে প্রচলিত নীতি-নিয়মের, প্রথা-পদ্ধতির অনুসরণে বর্ণানুক্রমের একটি তালিকা দেওয়া হল। প্রচলিত অভিধানগুলোতে সাধারণত নিচের বর্ণানুক্রম অনুযায়ী শব্দগুলোকে বিন্যস্ত করা হয়।
অভিধান ব্যবহারের নির্দেশিকা | অভিধানে যেভাবে শব্দ খুঁজে বের করতে হয় | ভাষা ও শিক্ষা
অভিধান ব্যবহারের নির্দেশিকা
অভিধানে প্রতিটি শব্দের অর্থ, পদ পরিচয় অর্থান্তর, প্রয়োগ প্রভৃতি কীভাবে নির্দেশ করা হয় এবং তা নির্দেশের জন্যে যে সংকেত ও সংক্ষেপণ ব্যবহৃত হয় তাও নিচে দেখানো হল।
অভিধানে যেভাবে শব্দ খুঁজে বের করতে হয়
বাংলা অভিধানে কী করে শব্দ খুঁজতে হয় তা জানার জন্যে উল্লিখিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি আরো কয়েকটি বিষয় জানার প্রয়োজন রয়েছে। ইংরেজি (বা যে-কোনো ইউরোপীয় ভাষার) বর্ণমালা জানলেই যেমন অভিযান দেখা সম্ভব, বাংলার ক্ষেত্রে ঠিক সেরকম নয়। শুধু বাংলায় কেন, ভারতবর্ষীয় উপমহাদেশের বহু ভাষার ক্ষেত্রেই তা সম্ভব নয়। কারণ ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে আ-কার উ-কার ইত্যাদি যুক্ত হওয়ায় সংযুক্তবর্ণ কোনটার পরে কোনটা আসবে, তা নিয়ে গণ্ডগোল দেখা দেয়।
সে কারণে অভিধানের ভেতরে বর্ণবিন্যাসের রুমানুবর্তিতা জানা দরকার, তা হলেই অভিধান দেখা আর ঝামেলা মনে হবে না। বাংলা অধিকাংশ অভিধানে অক্ষর বা বর্ণের যে-রুম অনুসরণ করে শব্দমালা সাজানো থাকে, তা এখানে দেখানো হল :
আরও দেখুন: