অন্য খরচের চেয়ে বাজে খরচেই মানুষকে চেনা যায় – ভাব-সম্প্রসারণের একটি নমুনা তৈরি করে দেয়া হল। আগ্রহীরা এখন থেকে ধারণা নিয়ে নিজের ভাষায় নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করবেন। যে গদ্য এবং কবিতার অংশটুকু ব্যবহার করে ভাবের সম্প্রসারণ করতে হবে সেই অংশটুকু অবশ্যই বারবার মনোযোগ দিয়ে পড়ে বুঝে নিতে হবে সে অংশটিতে কি বোঝাতে চেয়েছেন। আর এজন্য লেখোকের অর্থবহ রচনা |
অন্য খরচের চেয়ে বাজে খরচেই মানুষকে চেনা যায়
মানুষ তার দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে গিয়ে বাধ্যবাধকতার মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যায়। বাধ্যবাধকতার মধ্যে মানব মনের বিকাশ ঘটে না বলে তার প্রকৃত স্বভাব সম্পর্কেও অবগত হওয়া যায় না। পক্ষান্তরে তাকে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দেওয়া হলে তার স্বরূপ চেনা খুব সহজ হয়ে যায়। কেননা তখন তার প্রকৃত বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
মানুষ তার আয় ও ব্যয়ের হিসেব করে নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে গিয়ে বাধ্যবাধকতার গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকে বলে, সে স্বাধীনভাবে কিংবা মনের ইচ্ছানুযায়ী কিছু করতে পারে না। ফলে তার আসল চেহারাটা বের হয়ে আসে না। মানুষের আসল রূপের পরিচয়ের জন্যে তাকে গণ্ডির বাইরে ছেড়ে দিতে হবে। স্বাধীনভাবে সে যখন চলাফেরা করবে কিংবা নিজের খেয়ালখুশি মতো খরচ করবে তখন তার আসল পরিচয় পাওয়া যাবে।

আমাদের সমাজ জীবনে হিসেবি এবং বেহিসেবি মানুষের মধ্যে পার্থক্য সুস্পষ্ট। মানুষ যখন নিছক বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে অপব্যয় করে তখন তাকে আমরা উচ্ছৃঙ্খলতার পর্যায়ে ফেলি। আবার কেউ যদি পূর্ণস্বাধীনতা পেয়েও কোনো খরচ না করে তবে তাকে আমরা কৃপণ বলি। ফলে, অপব্যয়ের মধ্য দিয়ে আমরা সমাজের মধ্যে নানা বৈশিষ্ট্যের লোক খুঁজে পাই। বস্তুত বেহিসেবি খরচের মধ্য দিয়েই মানুষের বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
আরও দেখুন: