বাংলা ব্যাকরণের শ্রেণিবিভাগ নিয়ে আজকের আলোচনা। আমরা বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি নিয়ে একটা দীর্ঘ সিরিজ শুরু করেছি। আশা করি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে।
Table of Contents
ব্যাকরণের শ্রেণিবিভাগ
ড. মুহম্মদ এনামুল হকের মতে বাংলা ব্যাকরণ তিন প্রকারের :
(ক) ঐতিহাসিক ব্যাকরণ:
কোন একটি ভাষার উৎপত্তি থেকে চলমান সময় বা বর্তমান কাল পর্যন্ত সে ভাষার ক্রমবিকাশের ইতিহাস পর্যালোচনা করা এই ব্যাকরণের আসল লক্ষ্য।
(খ) তুলনামূলক ব্যাকরণ :
যে শ্রেণীর ব্যাকরণ কোনো বিশেষ কালের বিভিন্ন ভাষার গঠন, প্রয়োগরীতি ইত্যাদির তুলনামূলক আলোচনা করে থাকে, তা-ই তুলনামূলক ব্যাকরণ।
(গ) ব্যবহারিক ব্যাকরণ:
বৈশিষ্ট্যের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রেণীবিভাগ:
ব্যাকরণের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের পরিপ্রেক্ষিতে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ব্যাকরণকে চার ভাগে ভাগ করেছেন, যথা :
ক. বর্ণনাত্মক ব্যাকরণ (Descriptive grathimar):
বিশেষ কোনো কালে বা যুগে, কোনো একটি ভাষার রীতি ও প্রয়োগ ইত্যাদি বর্ণনা করা এ ধরনের ব্যাকরণের বিষয়বস্তু এবং সেই বিশেষ কালের ভাষা যথাযথ ব্যবহার করতে সাহায্য করা এর উদ্দেশ্য।
খ. ঐতিহাসিক ব্যাকরণ (Historical grammar) :
একটি ভাষার উৎপত্তি থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত সে ভাষার ক্রমবিকাশের ইতিহাস পর্যালোচনা করা এর লক্ষ্য।
গ. তুলনামূলক ব্যাকরণ (Comparative grammar):
যে শ্রেণির ব্যাকরণ কোনো বিশেষ কালের বিভিন্ন ভাষার গঠন, প্রয়োগরীতি ইত্যাদির তুলনামূলক আলোচনা করে থাকে, তা-ই তুলনামূলক ব্যাকরণ।
ঘ. দার্শনিক-বিচারমূলক ব্যাকরণ (Philosophical grammar):
ভাষার অন্তর্নিহিত চিন্তাপ্রণালিটি আবিষ্কার ও অবলম্বন করে সাধারণভাবে কিংবা বিশেষভাবে ভাষার রূপের উৎপত্তি ও বিবর্তন কীভাবে ঘটে থাকে, তার বিচার করা এর উদ্দেশ্য।
![বাংলা ব্যাকরণের শ্রেণিবিভাগ 4 আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন](https://banglagoln.com/wp-content/uploads/2023/01/google-news-300x225.jpg)
আরও দেখুন: