[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় ও কাঠামো (বাংলা ব্যাকরণের বিষয়বস্তু ও পরিধি)

ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় ও কাঠামো (বাংলা ব্যাকরণের বিষয়বস্তু ও পরিধি) নিয়ে আমরা আজ আলাপ করবো। আমাদের মনের ভাব প্রকাশ পাচ্ছে এমন যে-কোনো একটি বাক্যের মধ্যেও ব্যাকরণের সব নিয়ম-কানুনের পরিচয় থেকে যায়। যেমন : ‘সে আমাকে চেনে’ এই বাক্যটি ভাঙলে আলাদা আলাদা যে তিনটি টুকরো (‘সে’, ‘আমাকে’ এবং ‘চেনে’) পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো প্রত্যেকটি পদ (নিচের রেখাচিত্রে লক্ষ কর।।

ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় ও কাঠামো | ব্যাকরণ ও ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব | ভাষা ও শিক্ষা

ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় ও কাঠামো

বাক্যের মধ্যে আছে বলেই পদ, নইলে এগুলো শব্দ। পদ বা শব্দকে ভাঙলে পাওয়া যাবে বর্ণ বা ধ্বনি (নিচের রেখাচিত্রে লক্ষ কর)।  এই ধ্বনি হল ভাষার মূল ভিত্তি। ধ্বনির প্রতীক বর্ণ, বর্ণ মিলে গঠিত হয় শব্দ। শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়ে গঠিত হয় পদ। – কতকগুলো পদ মিলে যদি অর্থপূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করে তাহলে তা হয় বাক্য। সুতরাং বাংলা ভাষার মূল গঠন উপাদান হল- ধ্বনি (sound), শব্দ (word) এবং বাক্য (sentence)। এই তিনটি উপাদানের সঙ্গে আরো একটি উপাদান রয়েছে, তা হল অর্থ (meaning)। শব্দের অর্থবিচার, বাক্যের অর্থবিচার, অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ (যেমন- মুখ্যার্থ, গৌণার্থ, বিপরীতার্থ ইত্যাদি) ভাষার মূল গঠন উপাদান হিসাবে বিবেচা। প্রত্যেক ভাষারই মৌলিক চারটি অংশ রয়েছে, যেমন :

ভাষার মৌলিক চারটি অংশ:

১। ধ্বনি (sound)

২। শব্দ (word)

৩। বাক্য (sentence)

৪। অর্থ (meaning)

 

সব ভাষার ব্যাকরণেই প্রধানত নিম্নলিখিত চারটি বিষয়ের আলোচনা করা হয় :

ক. ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology)

খ. রূপতত্ত্ব বা শব্দতত্ত্ব (Morphology).

গ. বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম (Syntax)

ঘ. অর্থতত্ত্ব (Semantics)

 

উল্লিখিত চার তত্ত্ব নিয়েই ব্যাকরণের কাঠামো গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া অভিধানতত্ত্ব (Lexicography)’, ছন্দ ও

অলঙ্কার প্রভৃতিও ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়।

 

[১.৪] ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় ও কাঠামো | ব্যাকরণ ও ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব | অধ্যায় ১ | ভাষা ও শিক্ষা

* লক্ষ কর

• ধ্বনির উচ্চারণপ্রণালি, উচ্চারণের স্থান, ধ্বনির প্রতীক বা বর্ণের বিন্যাস, ধ্বনিসংযোগ বা সন্ধি, ধ্বনির পরিবর্তন ও লোপ, ণত্ব ও ষত্ব-বিধান ইত্যাদি বাংলা ব্যাকরণে ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।

• এক বা একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক সম্মিলনে শব্দ তৈরি হয়, শব্দের অর্থযুক্ত ক্ষুদ্রাংশকে বলা হয় রূপ (Morpheme)। রূপ গঠন করে শব্দ। সেই জন্য শব্দতত্ত্বকে রূপতত্ত্ব বলে। উপসর্গ, সমাস, প্রত্যয়, শব্দরূপ, ধাতুরূপ, পদ— প্রকরণ, ক্রিয়ার কাল, বচন, লিঙ্গ, পুরুষ ইত্যাদি শব্দতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।

• বাক্যের সঠিক গঠনপ্রণালি, বিভিন্ন উপাদানের সংযোজন, বিয়োজন, এদের সার্থক ব্যবহারযোগ্যতা, বাক্যমধ্যে শব্দ বা পদের রূপ পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয় বাক্যতত্ত্বে আলোচিত হয়।

• শব্দের অর্থবিচার, বাক্যের অর্থবিচার, অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ যেমন- মুখ্যার্থ, গৌণার্থ, বিপরীতার্থ ইত্যাদি অর্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment