ব্যঞ্জনবর্ণ ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব | অধ্যায় ৩ | ভাষা ও শিক্ষা , ব্যঞ্জনধ্বনির লিখিত প্রতীক বা চিহ্নকে বলে ব্যঞ্জনবর্ণ। বাংলা বর্ণমালায় ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে। বাংলা ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণের তুলনা করলে দেখা যায় যে, সব ব্যঞ্জন বর্ণের স্বনিম রূপ বাংলা উচ্চারণে নেই। যেমন— ঞ, ণ, য়, য, ঃ ইত্যাদির স্বনিম বা ধ্বনিমূল উচ্চারণে অনুপস্থিত।
ব্যঞ্জনবর্ণ ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব | অধ্যায় ৩ | ভাষা ও শিক্ষা
এগুলো হয় বাংলার অন্যান্য ধ্বনির সঙ্গে মিশে গেছে, না- হয় উচ্চারিত হয় না । আমরা জেনেছি যে বাংলা ভাষার ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি। কিন্তু বাংলা মান্য চলিত ভাষায় ব্যবহৃত ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা ৩৩টি। এগুলো হল :
উপরের তালিকায় যে সাতটি বর্ণ নেই, তা হল : ঞ, ণ, ষ, ৎ, ং, ঃ, । এগুলো কোনো ধ্বনি প্রকাশ করে না। ঞ- এর উচ্চারণ কখনো অঁ যেমন- মিঞ-(মিয়োঁ), মিঞা (মিয়া); কখনো দস্তুমূলীয় নৃ ধ্বনির মতো, যেমন— ব্যঞ্জন (ব্যান্জোন্), লাঞ্ছনা (লান্ছোনা)। ন এবং ণ-এর উচ্চারণে কোনো পার্থক্য নেই। যেমন— বান (বন্যা), বাণ (তীর)। ষ এর উচ্চারণ শ এর মতো। যেমন— ভাষা (ভাশা)। ত এবং ৎ এর উচ্চারণও অভিন্ন। যেমন— সত, সৎ। ঙ, ং এর উচ্চরণ একই। যেমন : ব্যাঙ / ব্যাং।
বিসর্গ (ঃ) এবং চন্দ্রবিন্দু ( ° ) স্বতন্ত্র বর্ণ নয়; এগুলো ধ্বনি প্রকাশের বা উচ্চারণ নির্দেশের অণুচিহ্ন। আরবিতে যেমন হরকত আছে এগুলো তেমনি। বিসর্গের (ঃ) সাহায্যে ধ্বনির দ্বিত্ব উচ্চারণ বুঝায় । যেমন ‘অতঃপর’ (অতোপ্পর), প্রাতঃরাশ (প্রাতোরাশ।
অনুরূপ নির্দেশ ব্যঞ্জনের নিচে অন্তস্থ-ব (2) দিয়ে করা হয়। যেমন— বিশ্ব (বিশ্শো, অশ্ব (অশো। চন্দ্রবিন্দুর সাহায্যে স্বরের অনুনাসিকতা বোঝায়। যেমন- আ > আঁ, ই > ই।
ব্যঞ্জনবর্ণের শ্রেণিবিভাগ [গঠন ও উচ্চারণ] – বাংলা ব্যাকরণ শিক্ষা :
আরও দেখুন:
- [৩.৬-৭] স্বরধ্বনির উচ্চারণ | ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব | অধ্যায় ৩ | ভাষা ও শিক্ষা
- [৩.৬-৩] [৩.৬-৪] অর্ধ স্বরধ্বনি | যৌগিক স্বরধ্বনি | ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব | অধ্যায় ৩ | ভাষা ও শিক্ষা
- [৩.৬-১] [৩.৬-২] স্বরধ্বনি | অনুনাসিক স্বর | ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব | অধ্যায় ৩ | ভাষা ও শিক্ষা
- [৩.৪] [৩.৫] | লিপির উদ্ভব ও বিকাশ | ধ্বনিমূল ও ধ্বনির শ্রেণিবিভাগ | ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব | অধ্যায় ৩ | ভাষা ও শিক্ষা
- স্কোয়াশ চাষ পদ্ধতি