পরিবেশ দূষণ ও বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে রচনার একটা নমুনা তৈরি করবো আজ। এই রচনাটি আমাদের “প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশ দূষণ” সিরিজের একটি রচনা। আমাদের সকল রচনা শিক্ষার্থীদের ধারণা দেবার জন্য। মুখস্থ করার জন্য নয়। এই রচনা থেকে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র ধারণা নেবেন। তারপর নিজের মতো করে নিজের নিজের ভাষায় লিখবেন।
Table of Contents
পরিবেশ দূষণ ও বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ
ভূমিকা :
পরিবেশ দূষণ আধুনিক সভ্যতার একটি অন্যতম অভিশাপ। প্রাকৃতিক শুদ্ধতা আর সজীবতাকে ছাপিয়ে আধুনিক কল-কারখানা, তথ্যপ্রযুক্তি ও শিল্প-বাণিজ্যের চরম উৎকর্ষ আজ মানব সভ্যতাকে এক উৎকট ও বিরক্তিকর বাস্তবতার মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও শিল্পায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ ও পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টিও বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচিত ও আলোচিত হচ্ছে। এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে নানা চুক্তি, ঘোষণা প্রভৃতি প্রণয়ন করছে অনুরূপ জাতীয় সরকারগুলোও এ বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী সীমিত আকারে হলেও নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও জাতীয় রাজনীতি ও অর্থনীতির বাস্তবতার নিরিখে পরিবেশ সংরক্ষণে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এর মধ্যে সাম্প্রতিককালে সরকারের পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধকরণ, টু- স্ট্রোক থ্রি হুইলার নিষিদ্ধকরণ, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি উচ্ছেদ, পরিবেশ আদালত স্থাপনের মতো যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলো ব্যাপকভাবে সমাদৃত ও জনগণ কর্তৃক সমর্থিত হয়েছে। এদের কোনো কোনোটির ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকলেও এগুলোর প্রয়োজনীয়তার কথা কেউই অস্বীকার করে না।
পরিবেশ দূষণ :
পরিবেশ একটি ব্যাপক বিষয়। এ কারণে পরিবেশ দূষণের বিষয়টিও বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট। কাজেই পরিবেশ দূষণের অর্থ সামগ্রিক পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া অর্থাৎ পরিবেশ দূষণের অর্থ হলো বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, শব্দদূষণ, আর্সেনিক দূষণ, মাটিদূষণ, তেজস্ক্রিয় দূষণ, খাদ্যদূষণ, ওজোন গ্যাস হ্রাস ও গ্রিন হাউস ইফেক্ট ইত্যাদি।
পরিবেশ রক্ষায় বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ :
২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান সরকার জনগণের সামনে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার প্রদান করে এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচিও গ্রহণ করে। এ সকল কর্মসূচির অন্যতম ছিল জনগণকে বাসোপযোগী একটি পরিবেশ উপহার দেয়া। এ জন্য সরকার বেশ কিছু প্রশংসনীয় ও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এ সকল পদক্ষেপ কোনো কোনো মহল, বিশেষ করে যাদের স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করেছে তাদের কাছ থেকে নানাবিধ বাধার সম্মুখীন হলেও প্রকৃতার্থে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জনগণ ব্যাপক সমর্থন যুগিয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো উল্লেখযোগ্য
পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ :
দেশের পরিবেশ রক্ষার জন্য বর্তমান সরকার বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিগত ২০ বছরে পলিথিন শপিং ব্যাগ মাটি, পানি ও বায়ু দূষিত করে তুলছিল। প্রায় অচল করে তুলছিল রাজধানীসহ শহরগুলোর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। এই অসহনীয় অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য এবং সারা দেশে পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০০২ সালের ১ মার্চ থেকে সারা দেশে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে।
পরিবেশ আদালত স্থাপন :
দেশকে অধিকতর বাসযোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে সরকার আরো যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার মধ্যে রয়েছে পরিবেশ আদালত। এ আদালতে পরিবেশ দূষণজনিত সকল অপরাধের দ্রুত বিচার সম্পন্ন হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগীরসহ ৬টি বিভাগীয় শহরে পরিবেশ আদালত স্থাপিত হবে। বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পরিবেশ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিবেশ অপরাধের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলায় একজন করে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ বিল:
পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) বিল ২০০২:
তৎকালীন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাজাহান সিরাজ ১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে গাড়ির ধোঁয়া, পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহারের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা রেখে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) বিল ২০০২ উত্থাপন করেন। এ বিলের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ধোঁয়া ও গ্যাস নিঃসরণকারী যানবাহন চলাচলের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়। এছাড়া পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহারের জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং এক বছরের শাস্তির বিধান রাখা হয়। ৩ এপ্রিল জাতীয় সংসদে বিলটি পাস হয়। ৭ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সম্মতি দেন।
পরিবেশ আদালত (সংশোধন) বিল ২০০২ :
১ এপ্রিল তৎকালীন বন ও পরিবেশমন্ত্রী শাজাহান সিরাজ জাতীয় সংসদে পরিবেশ আদালত (সংশোধন) বিল ২০০২ উত্থাপন করেন। এ বিলের মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে দুটি পরিবেশ আদালত এবং সারা দেশের জন্য ঢাকায় একটি পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠার বিধান রাখা হয়। প্রয়োজনবোধে দেশের অন্যান্য বিভাগ এবং জেলায়ও পরিবেশ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বিচারকদের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। জাতীয় সংসদে ৩ এপ্রিল বিলটি পাস হয় এবং ৭ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সম্মতি দান করেন ।
টু-স্ট্রোক যানবাহন নিষিদ্ধকরণ :
সরকার ১৯ মে ২০০২ ঢাকা মহানগরীতে পর্যায়ক্রমে টু-স্ট্রোক ইঞ্জিনচালিত খ্রি হুইলার মোটরযান চলাচল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১ সেপ্টেম্বর ২০০২ থেকে টু স্ট্রোক থ্রি হুইলারের চলাচল সীমিতকরণ করা হয় । ঢাকাকে একেবারে টু-স্ট্রোকমুক্ত করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করার লক্ষ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে থ্রি হুইলারের লাইসেন্স বাতিল করা শুরু হয়।
সবশেষে ২০০২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলোর লাইসেন্সও বাতিল করার মাধ্যমে রাজধানীকে টু-স্ট্রোক যানবাহনমুক্ত করা হয়। এর আগে সরকার পরিবেশ দূষণ কমানোর লক্ষ্যে টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপ, আমদানি নিরুৎসাহিতকরণ, চলমান ইঞ্জিনগুলোকে সিএনজিতে রূপান্তরিতকরণের নানা উদ্যোগ নিয়েও খুব বেশি সাড়া পায়নি। শেষ পর্যন্ত দুই দফায় ঢাকার রাস্তাকে টু-স্ট্রোক মুক্ত করার পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে কার্যকর করা হয়।
![পরিবেশ দূষণ ও বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ রচনা [ ১০০০+ শব্দ ] 4 আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন](https://banglagoln.com/wp-content/uploads/2023/01/google-news-300x225.jpg)
বায়ুদূষণ পরিমাপক যন্ত্র :
পরিবেশ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঢাকায় ‘কন্টিনিউয়াস এয়ার মনিটরিং স্টেশন’ (সিএএমএস) নামক বায়ুদূষণ পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এ যন্ত্রের মাধ্যমে বায়ুদূষণের মাত্রা জানা যাবে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ যানবাহন নিষিদ্ধ :
পরিবেশ দূষণমুক্ত করা ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ২৫ বছরের বেশি পুরনো ৩৭০০ ট্রাক, ২০ বছরের বেশি পুরনো ৩৭০টি বাস-মিনিবাস এবং ১৯৯৩ সালের আগে রেজিস্ট্রেশন করা ১৪ হাজার বেবিট্যাক্সি, ৫৫০টি টেম্পো ও ৭০০ অটোভ্যান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে । এসব মেয়াদ উত্তীর্ণ যানবাহনের কারণে মারাত্মক বায়ুদূষণ ঘটছিল ।
পরিবেশ উপযোগী সিএনজি জ্বালানি:
সরকার ২০০৪ সালের মধ্যে সব সরকারি, আধা সরকারি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যানবাহনগুলোকে পরিবেশ উপযোগী জ্বালানি সিএনজিতে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এ পরিকল্পনার আওতায় ইতিমধ্যে রাজধানীতে বেশ কিছু সিএনজি স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে ।
পরিবেশ ও বনায়ন কর্মসূচি :
বাংলাদেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ২৫ লক্ষ হেক্টর যা দেশের মোট আয়তনের মাত্র ১৭ ভাগ । বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মাত্র ৭-৮ শতাংশ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বনজ দ্রব্যের চাহিদা মেটানোর জন্য দেশের অন্তত ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা আবশ্যক। প্রয়োজনের তুলনায় বনভূমির পরিমাণ কম থাকায় সরকার ২০০২ সালে তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে।
অন্যান্য পদক্ষেপ :
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অন্যতম প্রধান উপায় জলাভূমিগুলোকে রক্ষা করা। গুলশান, বারিধারা লেক এবং আশুলিয়ার জলাভূমি রক্ষার জন্য বর্তমান সরকার সময়োপযোগী ব্যবস্থা নিয়েছে। এক শ্রেণীর লোক পাহাড় কেটে ধ্বংস করছিল। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সময়োপযোগী ব্যবস্থার মাধ্যমে পাহাড় কাটা বন্ধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইটের ভাটায় কাঠ ব্যবহার নি হয়েছে। একই সঙ্গে বৈঠকে ভাটা থেকে উদ্গীরিত ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বুড়িগঙ্গাসহ সারা দেশে নদী দূষণ বন্ধ করার জন্য নেয়া হয়েছে কার্যকর পদক্ষেপ ।
বৃক্ষরোপণ আন্দোলন :
পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সরকার বৃক্ষরোপণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বৃক্ষরোপণ আন্দোলন পরিচালনা করছে। সরকার কাঠের গাছ নয় বরং ফলজ ও বনজ গাছের ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করত বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে ব্যাপক প্রচার ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের এ আন্দোলনকে সফল করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠন বৃক্ষরোপণের বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
সীমাবদ্ধতা :
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আরোহণের পর অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো পরিবেশ দূষণ রোধ তথা পরিবেশ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ ও সফলতা অর্জন করেছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সরকার অনেক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা ও পারিপার্শ্বিক প্রতিবন্ধকতার কারণে অনেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও সফলতার সাথে গ্রহণ করতে পারেনি। যেমন :
১. পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হলেও নাম ও ধরন পরিবর্তন করে এখনো দেশে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে । অনেক ক্ষেত্রে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা কিংবা জনসচেতনতার অভাবেও এরূপ ঘটতে দেখা যাচ্ছে।
২. বায়ুদূষণে ব্যাপক সফলতা অর্জিত হলেও শব্দ ও পানি দূষণেও তেমন উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জিত হয়নি। বিশেষ করে বুড়িগঙ্গা, কর্ণফুলী, শীতলক্ষ্যাসহ উল্লেখযোগ্য নদীগুলোর পানি ব্যাপকভাবে দূষণের শিকার হচ্ছে এবং এ বিষয়ে সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা তেমন উল্লেখ করার মতো নয়।
৩. বৃক্ষরোপণ আন্দোলন পরিচালিত হলেও ব্যাপকহারে বৃক্ষ নিধন ও পাহাড় কাটার মতো পরিবেশবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এখনো সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
৪. ঢাকা শহরে পরিবেশ দূষণের যতটা তোড়জোড় মফস্বল বা জেলা শহরগুলোতে ততটা দেখা যায় না। ফলে ঢাকা শহরে পরিবেশ দূষণের তীব্রতা কিছুটা হ্রাস পেলেও জেলা ও অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকায়
৫. পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় এখনো দেশে তেমন কোনো প্রযুক্তিগত উন্নতি সাধন করা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে শহর আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় এ প্রয়াস তেমন নেই বললেই চলে । অবশ্য এজন্য জনগণের অসচেতনতাই বেশি দায়ী ।
উপসংহার :
সরকার এ যাবত যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা পূর্ববর্তী যে কোনো সরকার বা শাসনামলের তুলনায় অনেকগুণ বেশি। বিশেষ করে পলিথিন ব্যাগ ও টু-স্ট্রোক থ্রি হুইলার নিষিদ্ধকরণ এবং বিশ বছরের অধিক পুরনো গাড়িগুলো অপসারণের সিদ্ধান্তগুলো ছিল অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, তবে সময়োপযোগী। জনস্বাস্থ্য ও জীবন রক্ষার জন্য অতীব জরুরি এ সিদ্ধান্তগুলোর ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছ না থাকলে তা কখনোই সম্ভব হতো না। আর জনগণও এ ব্যাপারে সরকারকে স্বতঃস্ফূর্ত সহায়তা করেছে। সরকার যেমন স্বার্থানেষী মহলের অপতৎপরতাকে সাহসিকতার সাথে মোকাবিলা করে আপন সিদ্ধান্তে অটল থেকেছে, জনগণও সরকারের পক্ষে ব্যাপক সমর্থন যুগিয়েছে। তাতে অবশ্য জনগণকে তাৎক্ষণিকভাবে বেশ কিছু সমস্যারও মোকাবিলা করতে হয়েছে। কিন্তু শেষ ফল গিয়েছে জনগণেরই পক্ষে।
আরও দেখুন: