অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনির উচ্চারণ আজকের ক্লাসের আলোচনার বিষয় “অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধবনির উচ্চারণ – শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণের নিয়ম”। এই ভিডিওতে অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধবনির উচ্চারণ – শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণের নিয়ম বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। অল্পপ্রাণ ধ্বনি : যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুসে বাতাসের চাপের স্বল্পতা থাকে তাকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলে। ক, গ, চ, জ।
মহাপ্রাণ ধ্বনি : যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুসে বাতাসের চাপের আধিক্য থাকে তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। খ, ঘ, ছ, ঝ । অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনির শুদ্ধ উচ্চারণ খুব গুরত্বপূর্ণ । এই পর্বে চ এবং ছ ধ্বনির উচ্চারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ।
Table of Contents
অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনির উচ্চারণ
ধ্বনিবিজ্ঞানে প্রাণ বলতে স্পর্শ বা উষ্ম ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণের সাথে নির্গত শ্বাসবায়ুকে বোঝায়। বাংলাসহ বেশিরভাগ ইন্দো-আর্য ভাষা এবং বেশিরভাগ পূর্ব এশীয় ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায় (যেমন “তালা” ও “থালা”)। অন্যদিকে ইংরেজি ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায় না এবং অবস্থানভেদে এর ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
উপস্থাপনা
আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালায় অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির প্রতীকের ডানদিকে অঘোষ স্বররন্ধ্রীয় উষ্মধ্বনির প্রতীকের ⟨h⟩ ঊর্ধ্বলিপি রূপ ⟨◌ʰ⟩ যোগ করে মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি লেখা হয়। যেমন, ⟨p⟩ হচ্ছে অল্পপ্রাণ অঘোষ উভয়ৌষ্ঠ্য স্পর্শধ্বনি এবং তার ডানদিকে ⟨◌ʰ⟩ যোগ করলে মহাপ্রাণ অঘোষ উভয়ৌষ্ঠ্য স্পর্শধ্বনি ⟨pʰ⟩ বোঝাবে। অল্পপ্রাণ বা টেনুইস ব্যঞ্জনধ্বনিকে সমান চিহ্নের ঊর্ধ্বলিপি রূপ ⟨◌˭⟩ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়, যেমন ⟨p˭⟩। অবশ্য অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনিকে সাধারণত আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয় না, যেমন ⟨p⟩।
ধ্বনিতত্ত্ব
বিভিন্ন ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির বিভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে। অনেক ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায়, আবার অনেক ভাষায় তা বোঝা যায় না।
বাংলা ও অন্যান্য ভারতীয় ভাষা
বাংলাসহ বেশিরভাগ ইন্দো-আর্য ভাষায় অঘোষ অল্পপ্রাণ, অঘোষ মহাপ্রাণ, ঘোষ অল্পপ্রাণ ও ঘোষ মহাপ্রাণ—এই চারপ্রকার স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি রয়েছে, যেমন /p pʰ b bʱ/ (বাংলায় প, ফ, ব, ভ)।
অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনির উচ্চারণ নিয়ে বিস্তারিতঃ
আরও দেখুন: