প্রাচীন ভাষার/ লিপির মর্ম উদ্ধার করলেন যারা | ভাষাকোষ | শানজিদ অর্ণব

প্রাচীন ভাষার/ লিপির মর্ম উদ্ধার করলেন যারা – জে. এফ. শাঁপলিওঁ (J. F. Champallion): প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি মিসরের মমি ও পিরামিড। আঠারশ শতকে একদা গগনচুম্বী এই সভ্যতার ইতিহাস নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোতে ব্যাপক গবেষণা শুরু হয়। এই লক্ষ্যে ফ্রান্সে Institute for Egyptian বা Egyptian Institute খোলা হয়। এই প্রতিষ্ঠানে জে. এফ, শাঁপলিওঁ মাত্র আঠারো বছর বয়সে মিসরতত্ত্ব উদ্ঘাটনের আগ্রহ দেখান।

তিনি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত রোজেটো দুর্গমুখে প্রাপ্ত বহুল আলোচিত একটি শিলালিপির পাঠোদ্ধারে মনোযোগী হন। এই শিলালিপিতে তিন রকমের বর্ণমালা ব্যবহৃত হয়েছিল। শাঁপলিওঁ অপর একটি দুভাষী শিলালিপি থেকে ‘টলেমি ও ক্লিওপেট্রা’ এই দুটি পরিচিত নামের গ্রিক ও হায়ারোগ্লিফিক অক্ষরগুলোকে মিলিয়ে রোজেটো শিলালিপির বারোটি অক্ষর পাঠোদ্ধার করতে সক্ষম হন।

১৮২২ সালে তিনি কয়েকজন রাজার নামসহ লিপির বেশ কিছু অংশের পাঠোদ্ধার করেন। ১৮৩২ সালে তিনি সম্পূর্ণ লিপিখানির পাঠোদ্ধার করতে সক্ষম হন। মৃত্যুর কিছু পূর্বে শাঁপলিওঁ মিসরীয় ভাষার ওপর একটি সংক্ষিপ্ত ব্যাকরণ এবং হায়ারোগ্লিফিক বর্ণমালার ওপর একটি অভিধান রচনা করেন।

প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে মিসরীয় ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। শাঁপলিও এই লুপ্ত ভাষার পাঠপদ্ধতি পুনরুদ্ঘাটন করেন। তার আবিষ্কৃত পদ্ধতি অনুসরণ করে পরবর্তীতে অসংখ্য বিজ্ঞানী মিসরের বিস্মৃত ইতিহাস পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছেন।

প্রাচীন ভাষার/ লিপির মর্ম উদ্ধার করলেন যারা

স্যার এইচ. সি. রলিনসন (Sir H. C. Rollinson)

এসিরীয় ও ব্যাবিলনীয় ইতিহাস গবেষণায় মেজর জেনারেল স্যার হেনরি ক্রেস উইক রলিনসনের নাম সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তার আবিস্কৃত বহিস্তান বা বেহিস্তান গিরিলিপি পাঠকৌশল পরবর্তীতে এসিরীয় ইতিহাস গবেষণায় এক নতুন দ্বার উন্মোচিত করে। সতেরো বছর বয়সে সমুদ্র পথে তিনি তার প্রথম কর্মস্থল ভারতে গমনকালে, তৎকালীন বোম্বাই প্রদেশের গভর্নর বহুভাষাবিদ মি. ম্যালকামের সাথে

 

প্রাচীন ভাষার/ লিপির মর্ম উদ্ধার করলেন যারা | ভাষাকোষ | শানজিদ অর্ণব
জে.এফ শাঁপলিওঁ

তাঁর পরিচয় ঘটে। ম্যালফামের সান্নিধ্যে রলিনসন বেশ কিছু ভাষা আয়ত্ত করেন। ম্যালকমের কাছে হাতেখড়ির পর কাজের ফাঁকে ফাঁকে রলিনসনের পড়াশোনার পরিধি বাড়তে থাকে। ১৮৩৭ সালে তিনি ইরানে কর্মরত ছিলেন। একবার উটের কাফেলায় চড়ে কারমান-শাহ-হামাদান রাজপথ ধরে যাওয়ার সময় বহিস্তান অঞ্চলের একটি উঁচু পাহাড়ের গায়ে তিনি একটি গিরিলিপি দেখতে পান।

রলিনসন ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাঁশের মইয়ে চড়ে ৩০০ ফুট ওপরে ২৫ ফুট দীর্ঘ ও ৫০ ফুট চওড়া গিরিগাত্র লিপিটির হুবহু একটি প্রতিলিপি তৈরি করেন। এই গিরিলিপিতে তিন স্তবকে প্রাচীন পারসিক, ব্যাবিলনীয় এবং স্থানীয় সুসান (Sussan) এই তিন ভাষার বর্ণমালায় পারস্য সম্রাট দারাযুসের জীবন ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এখানে ব্যাবিলনীয় ভাষা লিখিত হয়েছিল বানমুখ (Cuneiform) ভঙ্গিতে।

রলিনসন পারস্য ইতিহাসের কয়েকটি নামের অক্ষর পরিচয় করতে সক্ষম হন এবং এই অক্ষরগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে গোটা লিপির পাঠোদ্ধার করতে সক্ষম হন। তার পূর্বে ১৭৬৫ সালে একজন জার্মান শিক্ষক জি এফ গ্রটেফেন্ড এই গিরিলিপির মর্মার্থ উদ্ধার করেন। কিন্তু গ্রটেফেন্ডের বর্ণপরিচয় রলিনসনের মতো নির্ভুল ছিল না।

পরবর্তীতে ফরাসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বার্নকি ও তার ছাত্র লাসেন আবিষ্কার করেন যে, বানমুখ লিপি আসলে বর্ণলিপি নয়, এটি শব্দসামষ্টিক বা অক্ষর লিপি (Syllabic scripts)। যাহোক, রলিনসনের পাঠপদ্ধতিই পরবর্তীতে পণ্ডিতদের পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করেছে।

রলিনসনের পাঠপদ্ধতি নির্ভুল কি না যাচাই করার জন্য ব্রিটিশ মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ কিলেশের ঘাট নামক স্থানের আসুর নগরের ধ্বংসস্তূপে আবিষ্কৃত বানমুখ লিপি দ্বারা লিখিত দুটি চোঙা সিলমোহর সংগ্রহ করেন। তারা এই সিলমোহরের চারটি লিথোগ্রাফ প্রতিলিপি তৈরি করে স্যার হেনরি রলিনসন, জে ওপপার্ট, ফক্স টেলবোট ও ড. হিংকস এই চার এসিরীয়লজিস্টের কাছে পাঠিয়ে দেন।

তাদের প্রত্যেকের পাঠোদ্ধার কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা করে দেখল, সবার পাঠের ফল প্রায় একই রকম। এ থেকে রলিনসনের পাঠপদ্ধতি ক্রটিশূন্য বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বহিস্তান গিরিলিপির পাঠোদ্ধারের কারণে পরবর্তীতে শকুনী স্তম্ভ (Stele of Vulture), হাম্মুরাবির আইন সংহিতা (Hummurabi code), আসুরবাণী পালের গ্রন্থাগারে প্রাপ্ত অসংখ্য চাকতিলিপি, মণিসটুসুর ও বেলিস্ক ইত্যাদির পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়।

স্যার জেমস প্রিন্সেপ (Sir James Princep)

সিন্ধু সভ্যতা গবেষণায় ‘হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো’ ও তার আশপাশের প্রাচীন লিপিসভ্যতার নিদর্শন, ছাঁচ, পোড়ামাটির চাকতিলিপিগুলোর (Terracotta, tablet Inscription) উৎপত্তি ও তত্ত্ব বিশ্লেষণেই সীমাবদ্ধ, তবে প্রাচীন ভারতের বিলুপ্ত দুটি লিপি- ব্রাহ্মী লিপি (অশোক লিপি) ও খরোষ্ঠী লিপির পাঠপঠনও সিন্ধু সভ্যতার গবেষণার আওতাভুক্ত করা যেতে পারে।

ব্রাহ্মী লিপি ও খারোষ্ঠী লিপির প্রথম পাঠোদ্ধার করেন স্যার জেমস প্রিন্সেপ। তিনি ১৭৯৯ সাল থেকে ১৮৪০ সাল পর্যন্ত কলকাতা টাকশালে কর্মরত ছিলেন।

তার দায়িত্ব ছিল অচল মুদ্রা (Rejected coins) গলাতে দেওয়ার আগে পরীক্ষা করা। প্রাচ্যের বিখ্যাত মনীষী ড. উইলসন তখন টাকশালের প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন। ১৮৩১-১৮৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির সম্পাদক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।

জেমস প্রিন্সেপ অপ্রচলিত প্রাচীন মুদ্রা থেকে বাছাই করে সম্পূর্ণ অপরিচিত অক্ষর মুদ্রাঙ্কিত মুদ্রাগুলো ড. উইলসনের অনুমতি সাপেক্ষে নিজের বাড়ি নিয়ে যেতেন। গলানোর পূর্বে তিনি ওই সব অঙ্কিত অক্ষর নিয়ে গবেষণা করতেন। দীর্ঘ সাধনা ও পরিশ্রমের পর জেমস সত্যিই ওইসব মুদ্রাঙ্কিত অক্ষর থেকে কয়েকজন রাজার নাম উদ্ধারে সক্ষম হন।

পরবর্তীতে মুদ্রার এই পরিচিত অক্ষরগুলোকে সম্বল করেই তিনি ব্রাহ্মী লিপিতে উৎকীর্ণ সম্রাট অশোকের কয়েকটি শিলালিপির পাঠোদ্ধার করেন। ১৮৩৮ সালে তিনি পেশোয়ারে প্রাপ্ত কয়েকটি শিলালিপির আংশিক পাঠোদ্ধারে সক্ষম হন। এগুলো ছিল খরোষ্ঠী বর্ণমালার লিপি। অনেক ভাষাবিদের মতে, হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো লিপির সঙ্গে ব্রাহ্মী ও খরোষ্ঠী লিপিদ্বয়ের আদি ভাষাতত্ত্বে মিল থাকতে পারে।

১৭৯৫ সালে লেফটেন্যান্ট উইলফোর্ড, ১৮০৯ সালে স্যার উইলিয়াম জোন্স এবং ১৮৩৪ সালে মি. স্টার্লিং খণ্ডগিরিস্থ অশোক অনুশাসনের পাঠোদ্ধার করেন। পরবর্তী সময়ে যেসব মনীষী এই লিপি দুটির ওপর গবেষণা করেছেন তারা হলেন অটফ্রায়েড মুলার, এন সেনার্ট, এম. জোসেফ, হ্যালেভি, অধ্যাপক কোপ, ড. ওয়েভার, বেনাফপট, ড. ডিকি বার্নল, জেমস জর্জ ব্যুলার প্রমুখ পণ্ডিতগণ।

হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো লিপির পাঠোদ্ধার এখনো সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে যারা গবেষণা করেছেন বা এখনো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা হলেন: এস ল্যাংডন, সিডনি স্মিথ, ড. জি. আর. হান্টার, বি রোজনী, ফাদার এইচ. হেরস, স্যার ফ্লিন্ডার্স পেট্রি, পি মেরিগগি, এল. এ. ওয়াডেল, ড. প্রাণ নাথ, শংকরানন্দ, ড. বি. এম. বড়ুয়া, জি ডি. হ্যাভেসি ও মি. গ্যাড।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

ডব্লিউ এম. ফ্লিন্ডার্স পেট্রি (W. M. Flinders Petrie)

১৮৫৩ সালে ইংল্যান্ডের এক ধনী পরিবারে ফ্লিনডার্স পেট্রি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্রজীবনে পুরাতত্ত্ব বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং পরবর্তীতে এ বিষয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। একবার তিনি ব্রিটিশ পুরাতত্ত্ব বিভাগের একটি Archaeological Excavation team-এ পদস্থ কর্মচারী হিসেবে যোগদান করে মিসরে যান এবং বেশ কিছুদিন সেখানে খোঁড়াখুঁড়ির কাজে ব্যস্ত থাকেন।

খনন কাজে মিসরে থাকাকালীন সময়ে তিনি সিনাই মরুভূমির পরিত্যক্ত খনি এলাকা শরবত-উল খাদেমে পাওয়া কিছু খোদাইকৃত পাথরের খোঁজ পান। কয়েক হাজার বছর আগে সম্রাট সিসোসট্রিমের আমলে এই খনি থেকে শ্রমিকরা সোনা ও মূল্যবান পাথর আহরণ করত।

সম্রাট আমেনহেট পরবর্তীতে এখানে শ্রমিকদের বসবাসের জন্য শ্রমিক বস্তি গড়ে দিয়েছিলেন। এই বস্তি এলাকাতেই দুর্বোধ্য হরফ খোদাইকৃত পাথর খণ্ডগুলো খুঁজে পাওয়া যায়। পেট্রি তার বাকি জীবন এই পাথর খণ্ডের লিপির পাঠোদ্ধারে কাটিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত তিনি বেশ কিছু পাথর লিপির পাঠোদ্ধোরে সক্ষম হন।

পরবর্তীতে আরও অনেক পণ্ডিত যেমন, এইচ গার্ডিনার, মার্টিন স্প্রেংলিংসহ অনেকে এই লিপি বিষয়ে গবেষণা করেন। এ লিপিতে স্বরবর্ণের ব্যবহার ছিল না বিধায় পাঠোদ্ধার ছিল বেশ জটিল। ১৮৩১ সালে স্প্রেংলিং সিনাই বর্ণমালার প্রায় সব লিপির পাঠোদ্ধারে সক্ষম হন এবং প্রকাশ করেন যে, পাথরগুলো সবই সেমিটিকদের বিভিন্ন দেবদেবীর কাছে উৎসর্গ করা নানা সম্পদের স্মারক।

সিনাই বর্ণমালায় ২৬টি ব্যঞ্জনবণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। ক্লিনডার্স পেট্রি মিসর থেকে ফিরে পিকাডেলি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পূর্ব পেশায় যোগদান করেন। পরে পিকাডেলী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার পুরাতত্ত্ব খননের অভিজ্ঞতার ওপর তার লেখা ‘Ten years digging in Egypt’ নামক একটি বই প্রকাশিত হয়। ১৯৩৩ সালে এই মনীষী কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

আর্থার জন ইভান্স ও মাইকেল ভেনট্রিস (Arthur John Evans and Michael Ventris)

বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক আর্থার জন ইভান্স একবার এথেন্সে বেড়াতে গিয়ে এক গ্রিক নারীকে মোহরাঙ্কিত পাথরের চাকতি তাবিজ হিসেবে ব্যবহার করতে দেখেন। অনুসন্ধান করে তিনি জানতে পারেন যে, এ জাতীয় লিপি সমৃদ্ধ পাথর চাকতি ‘ক্রিট’ দ্বীপে পাওয়া যায়। ইভান্স ক্রিট দ্বীপে গিয়ে বুঝতে পারেন এই দ্বীপটি আসলে মিনোয়ান সভ্যতার জনক রাজা মাইনসের মাটিচাপা পড়া বিধ্বস্ত প্রাসাদ।

তিনি অতীতের ক্রিট রাজ্যের রাজধানী গোটা ‘নোসাস’ এলাকা কিনে নেন এবং মাটি খোঁড়ার কাজে নিযুক্ত করেন কয়েকশ শ্রমিক। ইভান্স এই দ্বীপ থেকে অসংখ্য লিনিয়ার ‘এ’ এবং ‘বি’ লিপির সঙ্গে কিছুসংখ্যক মাইসেনীয় লিপি সমৃদ্ধ চাকতি পান। ১৯৩৬ সালে ইভান্স তার এই পাথরলিপি নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেন।

এই আয়োজনে ইভান্স লিপি সম্পর্কে বক্তৃতাও প্রদান করেন। এই প্রদর্শনীর একজন উৎসাহী দর্শক ছিল চৌদ্দ বছরের স্কুল ছাত্র মাইকেল ভেনট্রিস। ১৯৪০ সালে মাত্র আঠারো বছর বয়সে লন্ডনের একটি অভিজাত জার্নালে এই লিপি বিষয়ে তার একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়। এ প্রবন্ধে তিনি বলেন যে, পাথর চাকতির লিপির সাথে এট্রসকান বর্ণমালার গঠনগত সম্পর্ক রয়েছে। এ প্রবন্ধ

 

প্রাচীন ভাষার/ লিপির মর্ম উদ্ধার করলেন যারা | ভাষাকোষ | শানজিদ অর্ণব
মাইকেল ভেনট্রিস

 

নিয়ে পণ্ডিতমহলে অনেক তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। ভেনট্রিস ওই বছরই লিনিয়ার ‘বি’ লিপির পাঠোদ্ধার করেন। তিনি অনুমান করেন গ্রিক ভাষার সঙ্গে এই লেখাগুলোর ভাষায় মিল রয়েছে। ১৮৫৬ সালে আকস্মিক দুর্ঘটনায় ভেনট্রিসের অকাল মৃত্যু ঘটে। লিনিয়ার ‘এ’ লিপির পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয়নি।

[তথ্যসূত্র: বর্ণমালার উদ্ভববিকাশ ও লিপিসভ্যতার ইতিবৃত্ত]

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment