ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে দুই পরীক্ষার্থী বন্ধুর সংলাপ | সংলাপ লিখন | ভাষা ও শিক্ষা

ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে দুই পরীক্ষার্থী বন্ধুর সংলাপ | সংলাপ লিখন | ভাষা ও শিক্ষা ,সংলাপ-নির্ভর সাহিত্যশাখার নাম নাটক। সংলাপই নাটকের একমাত্র প্রকাশ-মাধ্যম। সংলাপের মধ্য দিয়ে নাটকের কাহিনী এগোয়, চরিত্রগুলো নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যকে পাপড়ি মিলে ফুটে ওঠা ফুলের মতো ধীরে ধীরে বিকশিত করে, ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে নাটকের কাহিনী ও চরিত্র পরিণতির অভিমুখী হয়। সেজন্য সংলাপ নাটকের প্রাণ বললে অত্যুক্তি হয় না। তবে শিক্ষার্থীর অনুশীলিত সংলাপের সঙ্গে নাটকের সংলাপের পার্থক্য দুস্তর।

 

ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে দুই পরীক্ষার্থী বন্ধুর সংলাপ | সংলাপ লিখন | ভাষা ও শিক্ষা

ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে দুই পরীক্ষার্থী বন্ধুর সংলাপ | সংলাপ লিখন | ভাষা ও শিক্ষা

মিঠু : মিলা, তুমি তো দেখছি সারাক্ষণই পড়ছ, এত পড়ে লাভ কী বলতো?

মিলা বলছ কি মিঠু। সামনে পরীক্ষা; না পড়লে চলবে কেন? আমি তো বলি, তোমার আরও পড়াশোনা করা : উচিত।

মিঠু : আমি যে তা ভাবি না, তা নয়, তবে কি জান বিশেষ উৎসাহ পাই না। বাবা মায়ের ইচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি। আমার কিন্তু একটুও ইচ্ছে হয় না ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। আসলে কি জান, আমাদের নিজেদের ইচ্ছেমতো আমরা ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি না। আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে অভিভাবকদের ইচ্ছেয়। একটু মেধাবী হলে তো কথাই নেই, হয় ডাক্তারি পড়, নয়তো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়। যেন এছাড়া আর কিছু পড়ার নেই, করার নেই। আসলে আমাদের অভিভাবক খোঁজের নিশ্চিত টাকা রোজগারের একটা পেশা।

মিঠু : তুমি ঠিক বলেছ মিলা। সেই সঙ্গে বেশির ভাগ ছেলেমেয়ের জীবনে কি নিদারুন আশাভঙ্গের ইতিহাস ।

মিলা : জড়িয়ে থাকে ভেবে দেখেছ। উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর কতজন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তিল সুযোগ পায় বল তো।

মিঠু : ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবার আশা নিয়ে যারা ভর্তির সুযোগ পেল না তাদের কথা ভেবে দেখেছ কি?

মিলা : লেখাপড়ার সঙ্গে জীবিকার প্রশ্ন চিরকালই জড়িয়ে থাকবে; কিন্তু সেইসঙ্গে কার কোনদিকে প্রবণতা।

মিঠু : সেটাও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।

মিঠু : নিশ্চয়। ধর কসাই-এর মতো স্বভাবের একটা লোক ডাক্তার হয়ে গেল; কিংবা একজন কবি হল ইঞ্জিনিয়ার। আচ্ছা মিলা, তুমি ভবিষ্যৎ জীবনের কথা কিছু ভেবেছ? মিলা : এসএসসি পাশের পরেই আমি আমার জীবনের একটা লক্ষ্য স্থির করেছি। তুমি তো জান আমার

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

মিলা : মাধ্যমিকের ফল ভালই হয়েছে। ইচ্ছে করলে বিজ্ঞান পড়তে পারতাম। কিন্তু আমি মানবিক বিভাগই বেছে নিয়েছি। আমার ইচ্ছে ভবিষ্যতে আমি একজন ভালো সাংবাদিক হব। সেটা আমার পেশাও হবে, আর হবে আমার সামাজিক দায়িত্ব পালনের নেশা।

মিঠু : বাড়ি থেকে কোন বাধা পাওনি।

মিলা : আমার বাড়ির সবাই আমার ইচ্ছাকে মেনে নিয়েছেন। মা যেহেতু শিক্ষিকা, তাঁর ইচ্ছে ছিল শিক্ষাজীবী হই। মাকে বোঝালাম সাংবাদিকতাও তো কলম-পেশাই। মা সহাস্যে মেনে নিলেন। আচ্ছা মিঠু, তুমি ভবিষ্যৎ জীবন কেমন করে গড়ে তুলতে চাও? মিঠু আমি একজন অর্থনীতিবিদ হতে চাই। সত্যি মিলা, মাঝে মাঝে মনে হয়, এদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে কোন গোলমাল আছে। নইলে এত দারিদ্র্য, এত অপচয়, এত বৈষম্য কেন? এসব সমস্যার কি কোনো সমাধান নেই? অন্তর থেকে আমি একজন অর্থনীতির ছাত্র হতে চাই।

 

ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে দুই পরীক্ষার্থী বন্ধুর সংলাপ | সংলাপ লিখন | ভাষা ও শিক্ষা

 

মিঠু : : তোমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা খুব ভালো মিঠু। আর একজন ভালো অর্থনীতিবিদ হতে হলে যে বেশি করে মিলা পড়াশোনা করা দরকার সেটা নিশ্চয় জানো। নতুন উদ্যমে এবার পড়া শুরু করে দাও। মিঠু : তোমার সঙ্গে কথা বলে আমার উৎসাহ আরও বেড়ে গেল, মিলা। আমিও তোমার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করিছি।

আরও দেখুন:

Leave a Comment