খুদে বার্তা লিখন ও প্রেরণ | ভাষা ও শিক্ষা , খুদে বার্তা সেবা বা শর্ট মেসেজ সার্ভিস (ইংরেজি: Short Message Service) বা সংক্ষেপে এস এম এস (SMS) হল তথ্য আদান প্রদানের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। সব মোবাইল ফোন কোম্পানি এবং বেসরকারি ল্যান্ডফোন কোম্পানি এই সুবিধা দিয়ে থাকে। এতে মোবাইলের কি প্যাডের মাধ্যমে শব্দ বা বাক্য লিখে মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে অন্য কোন মোবাইলে আন্ত অপারেটর বা আন্ত দেশীয় বার্তা পাঠানো হয়। এটির মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো স্থানের প্রাপকের কাছে যেকোনো বার্তা সহজেই মোবাইলে পাঠানো সম্ভব।
খুদে বার্তা লিখন ও প্রেরণ | ভাষা ও শিক্ষা
খুদে বার্তা লিখন এতটাই সহজ যে– যে কেউ অতি সহজেই এটি লিখতে পারে। অক্ষর চিনে শুধু টাইপ করতে পারলেই হলো। শিশুর ভাষা ও ব্যাকরণ শেখার আগেই কথা বলতে শেখার মতোই খুদে বার্তা লিখন আর বই-খাতা দেখে কারও শিখতে হয় না। বরং মোবাইল ব্যবহারকারীরা মোবাইলের মেসেজ অপশান ব্যবহার করতে করতেই শিখে ফেলে।
বাংলা এবং ইংরেজি দু মাধ্যমেই খুদে বার্তা লেখা যায়, তবে মোবাইলে শুধু ইংরেজিতে লিখতে হয়। মোবাইলে বাংলায় সন্তোষজনক কোনো পদ্ধতি এখনো চালু হয়নি। সাধারণত বাংলা তথ্য বা সংবাদটি ইংরেজি উচ্চারণে লেখার রীতি ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে। যদিও এটি কোনো নিয়মসিদ্ধ রীতিনীতি নয় ।

খুব জরুরি প্রয়োজনে কিংবা অনুষ্ঠানাদিতে নিমন্ত্রণ জানাতে বা কোনো বিশেষ দিনের শুভেচ্ছা জানাতে কিংবা সরকারি বা বেসরকারি তথ্যসূত্রাদি বা কোনো সংবাদ জানাতে ক্ষুদে বার্তার ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। মোবাইল ব্যবহারকারীদের মোবাইলে প্রতিদিনই প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে নানা প্রকার খুদে বার্তা বা এসএমএস ঢোকে। কোনোটি আসে বন্ধু- বান্ধবের কাছ থেকে, কোনোটি আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে। ক্রেতাদের বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা বা ডিসকাউন্ট অফার জানাতে, কোনোটি আসে শপিংমল বা বিপনী-বিচিত্রা থেকে, কোনোটি আসে মোবাইল কোম্পানির বিভিন্ন অফার বা ডিসকাউন্টোর সংবাদ নিয়ে। আবার দেশের নাগরিক হিসেবে কর্তব্য কোনো বিষয়ে জানতে বা জানাতে সরকারি বা আধা-সরকারি বা কোনো এনজিও বা কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকেও খুদে বার্তা বা এসএমএস আসে।
আরও দেখুন: