বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে সংবাদপত্রে পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে সংবাদপত্রে পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা , দরখাস্ত লেখার বিভিন্ন প্রকার ফরমেট রয়েছে। কেউ অফিসের প্রয়োজনে বা অফিস থেকে ছুটি নিতে দরখাস্ত লিখছেন, কেউ বা আবার চাকরির দরখাস্ত লিখছেন, আবার শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনে স্কুল-কলেজের প্রধান বরাবরে দরখাস্ত লিখছেন। যদিও কাজের ধরন অনুয়ায়ী আবেদন ভিন্ন ভিন্ন হয় তবে আপনি যদি একটি আবেদন বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম সঠিকভাবে আয়ত্বে আনতে পারেন, তাহলে যেকোন প্রকারের দরখাস্ত লিখতে অপনার সমস্যা হবে না।একটি নির্দিষ্ট গঠন কাঠামো- নিয়ম অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে যে পত্রের মাধ্যমে আবেদন করা হয়, তাদেরকে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র বলা হয়ে থাকে।

 

বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে সংবাদপত্রে পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

 

বাংলা দরখাস্ত কাজের সুবিধার্তে অনেক সময় বিভিন্ন প্রকারের আবেদন পত্র লিখতে হয়। কিন্তু সঠিকভাবে বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানার অভাবে আমরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে দরখাস্ত বা আবেদন লেখার নিয়ম জেনে নিতে হয়। বিশেষ ভাবে চাকরি প্রার্থীগণ চাকরির আবেদন বা চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সঠিকভাবে না জানার কারনে অনেক সমস্যায় পড়েন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, লজ্জার কারনে এ বিষয়ে অন্যের দ্বারস্ত হয়ে পরামর্শও নেন না। যার ফলে একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ভালোমানের দরখাস্ত লেখাও হয় না। এতে করে চাকরির আবেদনটি কর্তৃপক্ষের নিকট পছন্দ হয় না।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে সংবাদপত্রে পত্র

তারিখ : ১০-১১-২০০০

সম্পাদক, দৈনিক যুগান্তর

১২/৭ উত্তর কমলাপুর, ঢাকা-১২১৭।

পানিতে আর্সেনিক : বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে গ্রামবাসী আর্সেনিকে আক্রান্ত

জনাব, আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে প্রকাশের জন্য ‘পানিতে আর্সেনিক : বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব শিরোনামে একটি চিঠি এই সঙ্গে পাঠাচ্ছি। সময়োপযোগী এ-বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আপনার পত্রিকায় প্রকাশ করে এবং পাঠকের অবাধ মতামত প্রকাশের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এ মহৎ উদ্দেশ্যকে সার্থক করবেন, আশা রাখি।

শরীয়তপুর জেলার শ্রীনগর একটি জনবহুল ও বর্ধিষ্ণু গ্রাম। এ-গ্রামের লোকসংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, এ-গ্রামে পানীয় জলের তেমন কোনো সুব্যবস্থা নেই। পূর্বে যে কটি নলকূপ ছিল তাতেও সম্প্রতি ভয়াবহ রকম আর্সেনিক ধরা পড়েছে। সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ পরীক্ষা চালিয়ে আর্সেনিকযুক্ত অধিকাংশ টিউবওয়েলকে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করে এবং এগুলোর পানি ব্যবহার অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে। শুষ্ক মৌসুমে এই এলাকার পুকুর ও কুয়াতে পানি থাকে না। বাধ্য হয়ে মানুষকে নলকূপের পানির ওপর নির্ভর করতে হয়।

 

বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে সংবাদপত্রে পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

 

অথচ আজ সেই নলকূপের পানি ক্ষতিকর আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ফলে এ-এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্যে গ্রামবাসীকে এক কিলোমিটার দূরে পাশের গ্রামে যেতে হয়। ফলে গ্রামবাসীদের দুঃখ-কষ্টের সীমা নেই। অজ্ঞতাবশত গ্রামের সাধারণ মানুষ আর্সেনিকযুক্ত পানি ব্যবহার করে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞগণের অভিমত, এ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে হলে দ্রুত বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা উচিত। ইতোমধ্যে আর্সেনিকদূষিত পানি পান করার ফলে দুজন রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে যথাশীঘ্র সম্ভব আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। এটা জনগণের মানবিক আবেদন। আশা করি, কর্তৃপক্ষ মানবিক আবেদনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।

বিনীত নিবেদক

নড়িয়া, শরিয়তপুর।

আরও দেখুন:

Leave a Comment