সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবের উদ্দেশে স্মারকলিপি | নিমন্ত্রণ পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবের উদ্দেশে স্মারকলিপি | নিমন্ত্রণ পত্র | ভাষা ও শিক্ষা , নিমন্ত্রণপত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো , অনুষ্ঠানে তারিখ অনুষ্ঠানে উদ্দেশ্যে নির্ধারিত স্থান । প্রচলিত রীতি অনুযায়ী , নিমন্ত্রণপত্রে সর্ববামে তারিখ এবং নিমন্ত্রণের প্রেরণকারীর নামের নিচে ঠিকানা লেখার নিয়ম রয়েছে । তবে সময়ের সাথে সাথে , অধুনা এই যুগে এ নিয়মে কিঞ্চিৎ পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা যায় । বর্তমানে , তারেক এবং ঠিকানা নিমন্ত্রণ পত্রের বামদিকে লেখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ।

 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবের উদ্দেশে স্মারকলিপি | নিমন্ত্রণ পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

 

পত্রের এই অংশে , প্রাপক কে বিনীতভাবে উপস্থিতির জন্য অনুরোধ জানানো হয় | এ অংশের শেষভাগে , বিনীত নিবেদক লেখার পর প্রেরকের নাম উল্লেখ থাকে ।নিমন্ত্রণপত্রে অংশটি হয় তথ্য বহুল । সারসংক্ষেপে, অনুষ্ঠানের ধরন , সময়সূচী , স্থান প্রভৃতি উল্লেখিত থাকে পত্রের এই অংশে । তাই এটাকে পত্রের মূল অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় । বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে , অনুষ্ঠানের বিষয় ও সময়ের পাশাপাশি উপস্থিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও দর্শক হিসেবে কারা উপস্থিত থাকবেন সংক্ষেপে এসব তথ্য ও উল্লেখ থাকে ।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্রের ক্ষেত্রে , বর ও কনের পরিচিতি , কোন সময় শিক্ষাগত যোগ্যতা , ঠিকানা প্রকৃতি উল্লেখ থাকে । নিমন্ত্রণ পত্র লেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে , পত্রের ভাষা যেন সহজ ও বোধগম্য হয় । প্রয়োজনীয় তথ্য যেন উল্লেখ থাকে । এছাড়াও এ ধরনের পত্রের ভাষায় বিনীত ভঙ্গি প্রকাশ পাওয়া জরুরি ।

 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবের উদ্দেশে স্মারকলিপি | নিমন্ত্রণ পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবের উদ্দেশে স্মারকলিপি

তারিখ : ১০ এপ্রিল, ২০০০

বরাবর

সচিব মহোদয়,

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

বিষয় : ‘পাবলিক লাইব্রেরি’ স্থাপনের দাবিতে স্মারকলিপি ।

জনাব,

আপনি এ দেশের একজন কৃতীসন্তান। আপনি শুধু এ দেশ নয়, বিদেশ তথা জাতিসংঘের মতো সংস্থার গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনার মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বকে আমরা আমাদের এ অজপাড়াগাঁয়ে পেয়ে আনন্দিত। আমাদের এতদঞ্চলের মানুষদের পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

ইতোমধ্যে এ দেশ আপনার শিক্ষা বিষয়ক যুগোপযোগী চিন্তা-ভাবনা সুধী মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বলে আমরা জেনেছি। তাছাড়া আপনার সততা, কর্মনিষ্ঠা ও আত্মত্যাগের কথা ইতোমধ্যেই আমরা অবহিত হয়েছি। আপনার কর্মদক্ষতার কথা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আপনি সরকার কর্তৃক ‘গোল্ডেনম্যান’ উপাধি পেয়েছেন।

জনাব, . আপনি জেনে খুশি হবেন যে, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন ফতেহাবাদ ইউনিয়ন একটি সমৃদ্ধ জনপদ। এ ইউনিয়নের প্রায় ৫০% লোক শিক্ষিত। এদের অধিকাংশই চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী। এছাড়াও এ-ইউনিয়নের প্রায় ২ শত লোক বিদেশে কর্মরত। এই এলাকায় প্রায় দুই হাজার ছেলেমেয়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ইউনিয়নের মানুষ জ্ঞানপিপাসুও বটে। এ-ইউনিয়নে ৩টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি ব্যাংক, ১টি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ২টি বাজার রয়েছে। কিন্তু এই ইউনিয়নে কোনো পাবলিক লাইব্রেরি নেই। বর্তমানে জ্ঞান- বিজ্ঞানে উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে গ্রন্থাগারের কোনো বিকল্প নেই।

এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, এলাকার জনসাধারণের মধ্যে গ্রন্থাগার সম্পর্কে নতুন আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রন্থাগারের মাধ্যমে সমাজের মানুষ যে নানাভাবে উপকৃত হয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিদিন দেশ-বিদেশে হাজার হাজার নতুন গ্রন্থ প্রকাশিত হচ্ছে যা একক কোনো মানুষের পক্ষে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে হলে অথবা ভালো বই পড়তে জেলা সদরে অবস্থিত পাবলিক লাইব্রেরিতে যেতে হয়, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। এ অবস্থায় আমরা একটি পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনের জন্য সরকারের নিকট বার বার আবেদন জানিয়েছি।

সুহৃদ,

আজ আপনার কাছে আমাদের দাবি নয়, আপনার আগমনের স্মৃতিস্বরূপ আমাদের প্রার্থনা, আপনার শুভাগমনে এখানে একটি পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপিত হোক। আপনার জ্ঞানতৃষ্ণার পথ ধরে এ এলাকাতে আমাদের সন্তানরাও জ্ঞানের পথে এগিয়ে যাক। আমাদের প্রত্যাশা, আপনার কর্মতৎপরতায় শ্রীঘ্রই ফতেহাবাদ ইউনিয়নে একটি পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিবেদক

এলাকাবাসীর পক্ষে ‘খ’; দেবিদ্বার, কুমিল্লা

আরও দেখুন:

Leave a Comment