কী গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ সারাংশ সারমর্ম

কী গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।

কী গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ সারাংশ সারমর্ম লিখন

.কী গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ.. রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।

 

কী গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ | সারাংশ সারমর্ম | ভাষা ও শিক্ষা

কী গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ কবিতা

কী গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ,

সমস্ত পৃথিবী চলিতেছে যতদূর

শুনিতেছি একমাত্র মর্মান্তিক সুর, ‘যেতে আমি দেব না তোমায়। ধরণীর

প্রান্ত হতে নীলাভ্রের সর্বপ্রান্ততীর

ধ্বনিতেছে চিরকাল অনাদ্যন্ত রবে,

‘যেতে নাহি দিব; যেতে নাহি দিব।’ সবে কহে, ‘যেতে নাহি দিব।’ তৃণ ক্ষুদ্র অতি,

তাঁরেও বাঁধিয়া বক্ষে মাতা বসুমতী কহিছেন প্রাণপণে, ‘যেতে নাহি দিব।”

আয়ুক্ষীণ দীপমুখে শিখা নিব-নিব, —

আঁধারের গ্রাস হতে কে টানিছে তারে, কহিতেছে শতবার, ‘যেতে দিব না রে।

এ অনন্ত চরাচরে স্বর্গমর্ত্য ছেয়ে তাতে

সবচেয়ে পুরাতন কথা, সবচেয়ে

গভীর ক্রন্দন, ‘যেতে নাহি দিব।’ হায়,

তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

কী গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ সারমর্ম :

প্রিয়জন যেমন প্রিয়জনকে ছেড়ে দিতে চায় না, তেমনি প্রিয়জনকে ছেড়ে এ-পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে কারো মন চায় না। কিন্তু মহাকালের অমোঘ ডাকে সাড়া দিয়ে সবাইকেই চিরতরে চলে যেতে হয়— এটাই প্রকৃতির নিয়ম।

বক্তা বা লেখক মনের বিচিত্র ও গভীর ভাব তাঁর নানা উপমা, অলংকার, বিশেষণ ইত্যাদির সাহায্যে প্রকাশ করেন। রচনা গদ্য কিংবা কবিতা যাই হোক, তার মৌলিক অংশটুকু বিবেচনার বিষয়। বক্তা বা লেখকের বক্তব্যের সার বা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অংশই সারাংশ। পক্ষান্তরে কোনো গদ্য বা পদ্য রচনার মূলভাব বা মর্মকথা সক্ষেপে গুছিয়ে লেখার নামই সারমর্ম। প্রদত্ত গদ্য বা গদ্যাংশের ভাষা বড় কথা নয়, ভাষাতীত ভাব, অর্থাৎ ভাবের মর্মার্থ বিবেচনার বিষয়। মূলীভূত ভাবের যথার্থ ব্যঞ্জনা বা লেখকের উদ্দিষ্ট বক্তব্য খুঁজে বের করাই সারমর্ম লিখনের প্রথম শর্ত। কল্পনা বা ভাব দ্যোতনার মাধ্যমে নিজস্ব ভাষায় সংক্ষেপে সারমর্ম লিখতে হয়।

 

কী গভীর দুঃখে মগ্ন সমস্ত আকাশ | সারাংশ সারমর্ম | ভাষা ও শিক্ষা

 

কবি-সাহিত্যিকগণ যখন তাঁদের সাহিত্যের রচনাকে সৃষ্টি করেন তখন মূলকথাটি রসমধুর করে অর্থাৎ খুবই মর্মগ্রাহী করে প্রকাশ করেন। এর মূল লক্ষ্য হল শ্রোতা বা পাঠকের মনকে আকর্ষণ করা। আর এ-জন্যে মূলকথাটির সঙ্গে বেঁধে দেয়া হয় ছন্দ, অলঙ্কার, উপমা, দৃষ্টান্ত ইত্যাদি। ফলে মূল বক্তব্যের গায়ে লাগে রসের প্রলেপ। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘শুধু কথা যখন খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে, তখন কেবলমাত্র অর্থকে প্রকাশ করে। কিন্তু, কথাকে যখন তির্যক ভঙ্গি ও বিশেষ গতি দেওয়া যায়, তখন সে আপন অর্থের চেয়ে আরও কিছু বেশি প্রকাশ করে। সেই বেশিটুকু যে কী, তা বলা শক্ত। কেননা, তা কথার অতীত; সুতরাং অনির্বচনীয়। যা আমরা দেখছি, শুনছি, জানছি তার সঙ্গে যখন খুঁজে বের করা একটু কঠিনই হয়।

সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:

সারাংশ সারমর্ম  বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।

শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।

আরও দেখুন:

Leave a Comment