সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেদন রচনা | প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন | ভাষা ও শিক্ষা

সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেদন রচনা | প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন | ভাষা ও শিক্ষা , প্রতিবেদন হলো এক প্রকার নথি, যা একটি নির্দিষ্ট শ্রোতা ও উদ্দেশ্যের জন্য একটি সংগঠিত বিন্যাসে তথ্য উপস্থাপন করে। যদিও প্রতিবেদনের সারাংশ মৌখিকভাবে প্রদান করা যেতে পারে, তবে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন প্রায়শই লিখিত নথির আকারে প্রকাশ করা হয়।

সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেদন রচনা

তারিখ : ১৮ / ০১ / ২০০৮

বরাবর

মাননীয় মন্ত্ৰী,

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

বিষয় : ট্রেন দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেদন।

জনাব,,

উল্লিখিত বিষয় ও সূত্রের মর্মানুসারে জানানো যাচ্ছে যে, আমি ১৫/০১/২০০৮ তারিখে কুমিল্লা-চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর ট্রেনের দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্যানুসন্ধান করেছি। আপনার অবগতির জন্য নিচে একটি প্রতিবেদন পেশ করা হল। গত ১৩ জানুয়ারি সোমবার সকল ৯টায় কুমিল্লা স্টেশন থেকে অর্ধ-কিলোমিটার দূরে এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন (নং- ০৭২১) রেলক্রসিং-এ অবস্থানরত একটি মিনিবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে এ মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে-

 

সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেদন রচনা 

 

১. চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি কুমিল্লার কাছে রেলক্রসিং পার হতে যাওয়া একটি মিনিবাসকে ধাক্কা দিলে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ কয়েকটি বগি পাশের খাদে পড়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে গগনবিদারী আহাজারি শোনা যায়। তৎক্ষণাৎ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ছুটে আসে। ঘটনাস্থলেই ২৩ জন মারা যায়। গুরুতর আহতদের কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর ৫ জনের মৃত্যু ঘটে। আর অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি মারাত্মকভাবে আহত হয়। জানা যায় তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অঙ্গহানি ঘটেছে।

২. নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে কর্তব্যরত সিকিউরিটির অসতর্কতার কারণে এ-মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে, ফলে স্থানীয় লোকদের চাপের মুখে সিকিউরিটি গার্ডকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার নম্বর ০৭।

৩. একজন যাত্রী ও দুজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান- ট্রেনটি যখন ক্রসিং পার হতে যাচ্ছিল তখন আড়াআড়িভাবে একটি মিনিবাস (ব-০২৫০) পার হচ্ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেনের চালক ট্রেনটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে চালিয়ে যায়। পথচারীরা আরও জানান, যখন ট্রেন আসার সময় হয় তখন ক্রসিং বন্ধ থাকার নিয়ম। অথচ দায়িত্বে নিয়োজিত ক্রসিং গার্ড স্ব-স্থানে ছিল না। এর ফলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

৪. ট্রেনকর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে গার্ডকে বরখাস্ত করেছে। কারণ, আইন-শৃঙ্খলা অমান্যকারী – দায়িত্বজ্ঞানহীন

সিকিউরিটি-গার্ডের কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়।

৫. গে এনে রাখা হয়। আর তাই ঘটনাস্থলে নিহতদের লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে এনে রাখা হয়। আর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সদর হাসপাতালে লাশসহ আহতদের পৌছানোর পর এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। দুর্ঘটনার সংবাদ কুমিল্লাসহ আশেপাশের জেলায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে লোকজন ঘটনাস্থলে আসতে থাকে। আহত-নিহতদের আত্মীয়-স্বজনরা আহাজারি করতে করতে হাসপাতাল কম্পাউন্ড ভরে তোলে

 

সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেদন রচনা 

 

৬. এ-ব্যাপারে দক্ষিণবঙ্গ ট্রেনকর্তৃপক্ষ কুমিল্লা-জোন প্রধানকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্তকমিটি গঠন করেছে। দুর্ঘটনাকবলিত স্থান কুমিল্লা-পৌরসভা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এম.পি. পরিদর্শন করেন। অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক লাশ শনাক্ত করে স্ব-স্ব গ্রামের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন বিনীত

স্বাক্ষর

‘খ’; জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা।

আরও দেখুন:

Leave a Comment