ভাষণের উদ্দেশ্য উপযোগিতা এবং উপাদান | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

ভাষণের উদ্দেশ্য উপযোগিতা এবং উপাদান | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা , ভাষণের উদ্দেশ্য ও উপযোগিতা : কোনো নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুকে শ্রোতার কাছে বোধগম্য এবং গ্রহণযোগ্য করে ভাষণের উদ্দেশ্য, উপযোগিতা এবং উপাদান তোলা অথবা কোনো বিষয়, ইস্যু, কোনো পদক্ষেপের পক্ষে বা বিপক্ষে সমর্থন অর্জন করাই ভাষণের মুখ্য উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য। নানা উদ্দেশ্য সাধনে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে সাধারণ হকার পর্যন্ত বক্তৃতা বা ভাষণ প্রদান করেন।

ভাষণের উদ্দেশ্য উপযোগিতা এবং উপাদান | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

যেমন :

১। সেমিনার বা আলোচনা সভায় ভাষণ। যেমন : ‘বৃক্ষরোপণের প্রয়োজন’ সম্পর্কিত সেমিনার। ‘সবার জন্যে শিক্ষা’ সম্পর্কিত সেমিনার ইত্যাদি।

লক্ষ কর : শ্রেণিকক্ষে একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর যে পাঠ দান করেন তা ভাষণের অন্তর্গত নয়। কেননা, শিক্ষার্থী নির্ধারিত বিষয় সম্পর্কে যেভাবে সুস্পষ্ট ধারণা নিতে পারবে সে ভাবেই শিক্ষককে পাঠ দান করতে হয়। এ ক্ষেত্রে একটি বিষয়কে কয়েকটি পর্বে ভাগ করে নিয়ে শিক্ষক পাঠ দান করতে পারেন, আবার পাঠদানের সময় শিক্ষার্থী বিষয়টি না বুঝতে পারলে প্রশ্ন ও উত্তরের মধ্য দিয়ে ছাত্র-শিক্ষক বিষয়টিকে নিষ্পত্তি করেন।

 

ভাষণের উদ্দেশ্য উপযোগিতা এবং উপাদান | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

 

২। সমাজ, দেশ ও জাতির উন্নয়নের লক্ষ্যে কিংবা শিক্ষা-সংস্কৃতিকে উন্নয়নের লক্ষ্যে নানা প্রকার ভাষণ দেয়া হয়। যেমন : ‘নারী ও শিশু নির্যাতন’ সম্পর্কিত জনসচেতনতা মূলক ভাষণ। এ রকম : ‘বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা’, ‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও তার প্রতিকার’ ইত্যাদি।

৩। নিছক আনন্দ দানের উদ্দেশেও ভাষণ হতে পারে। যেমন : কোনো ভোজসভায় ভাষণ, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে ভাষণ ইত্যাদি।

ভাষণের উপাদান : ভাষণের মূল উপাদান হল তিনটি— ১. বক্তা ২. শ্রোতা এবং ৩. বক্তব্যের বিষয়। ‘বক্তার কাজ হল বক্তব্য দেয়া আর শ্রোতার কাজ হল তা শ্রবণ করা’- এভাবে বললে ভাষণের কোনো সার্থকতা থাকে না, কেননা প্রতিটি ভাষণের একটি মূল উদ্দেশ্য থাকে, সেই উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করেই ভাষণটি নির্মিত হয় . এবং বক্তার ভাষণের মধ্যে সেই উদ্দেশ্য বা বিষয়টি প্রতিফলিত হয়।

 

ভাষণের উদ্দেশ্য উপযোগিতা এবং উপাদান | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

 

বক্তা যদি তাঁর বক্তব্যে ভাষণের বিষয়টিকে সুন্দরভাবে দর্শক-শ্রোতার কাছে উপস্থাপন করতে পারেন এবং দর্শক-শ্রোতাও বক্তার বিবৃতির বিষয়বস্তু বুঝতে পারেন তবেই ভাষণের সার্থকতা। ভাষণের কাজ হল কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কে জনতার সামনে উপস্থাপন করা এবং জনমত তৈরি করা। জনমত তৈরি করার জন্যে ভাষণের বিষয়টিকে অবশ্যই যুক্তিনির্ভর করে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে করে শ্রোতা-দর্শক তা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

ভাষণের সঙ্গে যেহেতু বক্তা, শ্রোতা এবং ভাষণের বিষয়বস্তু জড়িত, তাই ভাষণের জন্যে কতকগুলো নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবে ভাষণের পুরো বিষয়টিই বক্তার ওপরই বেশি নির্ভর করে বলে নির্দিষ্ট কতকগুলো বিষয়ের ওপর বক্তার স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত।

আরও দেখুন:

Leave a Comment