বিভক্তি | বাংলা শব্দ বিভক্তি | কারক ও বিভক্তি | ভাষা ও শিক্ষা

বিভক্তি | বাংলা শব্দ বিভক্তি | কারক ও বিভক্তি | ভাষা ও শিক্ষা , বাক্যের বিভিন্ন পদ বিশ্লেষণ করলে তার দুটি অংশ পাওয়া যায়। এর একটি ‘শব্দ’ এবং অপরটি ‘বিভক্তি’। বিভক্তি বলতে সেসব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি বোঝায়— যেগুলো শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাক্য গঠনের জন্যে পদ সৃষ্টি করে এবং ক্রিয়াপদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ক নির্ণয় করতে সাহায্য করে। যেমন—— কলমে লেখ। এখানে— কলম + এ = কলমে, ‘-এ’ একটি বিভক্তি।

বিভক্তি | বাংলা শব্দ বিভক্তি | কারক ও বিভক্তি | ভাষা ও শিক্ষা

বীণা পড়ে। এ বাক্যে ‘বীণা’ পদে কোনো বিভক্তি নেই, ‘বীণা’ শব্দটি বিভক্তিহীন হয়েই পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে বিভক্তির কোনো চিহ্ন নেই, অর্থাৎ বিভক্তিচিহ্ন স্পষ্ট না হলে তা শূন্য (”) বিভক্তি আছে মনে করা হয়। শূন্য বিভক্তি ছাড়া অন্যান্য বিভক্তির চিহ্ন বর্ণ, বর্ণসমষ্টি বা শব্দের সাহায্যে তৈরি হয়।

বিভক্তি | বাংলা শব্দ বিভক্তি | কারক ও বিভক্তি | ভাষা ও শিক্ষা

বাংলা শব্দ-বিভক্তি

-০ শূন্য বিভক্তি (অথবা, অ-বিভক্তি), -এ, (−য়), –তে, (−এ), -কে, -রে, −র, (-এর)-এ কটিই খাঁটি বাংলা শব্দ-বিভক্তি। এছাড়া বিভক্তি স্থানীয় কয়েকটি অব্যয় শব্দও কারক-সম্বন্ধ নির্ণয়ের জন্য বাংলায় প্রচলিত রয়েছে। যেমন— দ্বারা, দিয়ে, হতে, থেকে ইত্যাদি। বাংলা শব্দবিভক্তি সাত প্রকার : প্রথমা বা শূন্য, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী বিভক্তি। বিভক্তিগুলো একবচন ও বহুবচনে আকৃতিগত পার্থক্য দেখা যায়। নিচে বিভিন্ন বিভক্তির একবচন ও বহুবচন একটি ছকে দেখান হল :

Capture 70 বিভক্তি | বাংলা শব্দ বিভক্তি | কারক ও বিভক্তি | ভাষা ও শিক্ষা

দ্রষ্টব্য : তারকা (*) চিহ্নিত বিভক্তিগুলো এবং বন্ধনীতে লিখিত শব্দ চলিত ভাষায় ব্যবহৃত হয় ।

বিভক্তি যোগের নিয়ম বা কী ধরনের শব্দে কী বিভক্তি যোগ করা হয় ১। অপ্রাণী বা ইতর প্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে ‘রা’ যুক্ত হয় না। এতে, -গুলা, -গুলো যুক্ত হয়। যেমন : লিজি। পাথরগুলো, গরুগুলো লা ইত্যাদি। ২। অপ্রাণিবাচক শব্দের পরে ‘-কে’ বা ‘-রে’ বিভক্তি যোগ হয় না, শূন্য বিভক্তি হয়। যেমন : বই দাও। তা স্বরান্ত শব্দের পরে ‘-এ’ বিভক্তির রূপ হয়—‘-য়’ বা ‘-য়ে’। ‘-এ’ স্থানে ‘-তে’ বিভক্তিও যুক্ত হতে পারে। 81 যেমন : মা + এ = মায়ে, ঘোড়া + এ = ঘোড়ায়, পানি + এ = পানিতে ইত্যাদি।

 

বিভক্তি | বাংলা শব্দ-বিভক্তি | কারক ও বিভক্তি | ভাষা ও শিক্ষা

 

অ-কারান্ত ও ব্যঞ্জনান্ত শব্দের পরে প্রথমায় ‘রা’ স্থানে ‘এরা’ হয় এবং ষষ্ঠী বিভক্তির ‘র’ স্থানে ‘এর’ যুক্ত হয়। যেমন : লোক + রা = লোকেরা। বিদ্বান + রা = বিদ্বানেরা। মানুষ + এর দের পরে প্রথম। = মানুষের। কিন্তু খাঁটি বাংলা শব্দের ষষ্ঠীর একবচনে ‘র’ যুক্ত হয়, সাধারণত ‘এর’ যুক্ত হয় না। যেমন : বড়র, মামার, ছেলের ইত্যাদি।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment