অভিমান কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“অভিমান” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি হৃদয়স্পর্শী কবিতা, যেখানে মানবমনের সূক্ষ্ম আবেগ, অভিমান, এবং নীরব বেদনার প্রকাশ ঘটেছে। কবিতায় কবি ভালোবাসার সম্পর্কের ভেতরে জন্ম নেওয়া মান-অভিমান, ভুল বোঝাবুঝি ও দূরত্বকে গভীর কাব্যিক ভাষায় তুলে ধরেছেন। সহজ অথচ সুরেলা শব্দচয়ন, আবেগঘন চিত্রকল্প এবং অন্তর্মুখী ভাবনা কবিতাটিকে পাঠকের মনে বিশেষ স্থান দিয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ এখানে ব্যক্তিগত অনুভূতিকে সার্বজনীন আবেগে রূপ দিয়েছেন—যেখানে অভিমান শুধু ক্ষণস্থায়ী মনোকষ্ট নয়, বরং ভালোবাসার গভীরতারই আরেক রূপ। সম্পর্কের নীরব দ্বন্দ্ব, অপেক্ষা এবং ভালোবাসায় ফিরে আসার প্রত্যাশা কবিতাটিকে করেছে কালজয়ী।

আপনি চাইলে আমি এই কবিতার মূলভাব, প্রতীক ও সাহিত্যিক বিশ্লেষণ সহ একটি পূর্ণাঙ্গ নোট তৈরি করে দিতে পারি, যা পাঠ্যক্রম বা গবেষণার জন্যও ব্যবহারযোগ্য হবে।

 

অভিমান কবিতা
অভিমান কবিতা

 

অভিমান কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কারে দিব দোষ বন্ধু, কারে দিব দোষ!
বৃথা কর আস্ফালন, বৃথা কর রোষ।
যারা শুধু মরে কিন্তু নাহি দেয় প্রাণ,
কেহ কভু তাহাদের করে নি সম্মান।
যতই কাগজে কাঁদি, যত দিই গালি,
কালামুখে পড়ে তত কলঙ্কের কালি।
যে তোমারে অপমান করে অহর্নিশ
তারি কাছে তারি ‘পরে তোমার নালিশ!
নিজের বিচার যদি নাই নিজহাতে,
পদাঘাত খেয়ে যদি না পার ফিরাতে–
তবে ঘরে নতশিরে চুপ করে থাক্‌,
সাপ্তাহিকে দিগ্‌বিদিকে বাজাস নে ঢাক।
একদিকে অসি আর অবজ্ঞা অটল,
অন্য দিকে মসী আর শুধু অশ্রুজল।

 

 

অভিমান কবিতা আবৃত্তিঃ

 

 

Leave a Comment