স্নেহের স্বভাব এই অকারণে অনিষ্ট | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা

স্নেহের স্বভাব এই অকারণে অনিষ্ট | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা ,প্রদত্ত চরণ বা গদ্যাংশটি একাধিকবার অভিনিবেশসহকারে পড়তে হবে। লক্ষ্য হবে প্রচ্ছন্ন বা অন্তর্নিহিত ভাবটি কী, তা সহজে অনুধাবন করা।অন্তর্নিহিত মূলভাবটি কোনাে উপমা, রূপক-প্রতীকের আড়ালে সংগুপ্ত আছে কিনা, তা বিশেষভাবে লক্ষ করতে হবে। মূলভাবটি যদি রূপক-প্রতীকের আড়ালে প্রচ্ছন্ন থাকে, তবে ভাবসম্প্রসারণের সময় প্রয়ােজনে অতিরিক্ত অনুচ্ছেদ-যােগে ব্যাখ্যা করলে ভালাে হয়।

 

স্নেহের স্বভাব এই অকারণে অনিষ্ট আশঙ্কা করে

 

স্নেহের স্বভাব এই অকারণে অনিষ্ট আশঙ্কা করে

মানুষ প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা, স্নেহ, মায়া-মমতার বাঁধনে আবদ্ধ। স্নেহ, মায়া-মমতার ভেতর দিয়ে মানুষের প্রকৃত মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে। বস্তুত স্নেহ মানব জীবনের এক অসাধারণ গুণ। এই গুণের বলেই মানুষ জগৎ-জীবনকে প্রেম-প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে মিলনমেলায় পরিণত করতে পেরেছে। মানুষ সর্বদা কনিষ্ঠদের মঙ্গল কামনা করে। স্নেহ-ভালোবাসা যুক্তি মানে না; সে হৃদয়ের দাস, আবেগের বশে চলে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

তাই মানুষ তার প্রিয়জনের জন্য উৎকণ্ঠিত থাকে— সম্ভাব্য বিপদ-আপদে তার পাশে ছুটে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে। যুক্তি দিয়ে এই মনোভাবকে ব্যাখ্যা করা যাবে না। এ হল প্রকৃতপক্ষে মনুষ্যত্ববোধের প্রকাশ—— হৃদয়ের ভেতরে প্রিয়জনদের জন্য মমতার উৎসারণ। স্নেহের ক্রিয়া যত বেশি তীব্র হয়, মানসিক দৌর্বল্য তত বেশি বৃদ্ধি পায়। বয়ঃকনিষ্ঠরা হয় স্নেহভাজন। বয়স্করা স্নেহভাজনের যেমন কল্যাণ কামনা করে, তাদের তেমনি অমঙ্গল-আশঙ্কায় কাতর হয়, আতঙ্কিত হয়। তাই গৃহী মানুষ স্নেহভাজনদের পদে পদে সতর্ক করেন, সাবধান হতে পরামর্শ দেয়।

 

স্নেহের স্বভাব এই অকারণে অনিষ্ট আশঙ্কা করে

 

দুর্ভাগ্যজনক কিছু ঘটে থাকলে সে বাস্তবসত্যের মুখোমুখি হতেই হয়, তবু স্নেহের ধর্মই হল তেমন কিছু মর্মন্তুদ দুঃখজনক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা না থাকলেও অমঙ্গল আশঙ্কায় চঞ্চল ও বিচলিত করে স্নেহপ্রবণ মানুষকে। কিন্ত মাত্রাতিরিক্ত স্নেহ অনিষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নিয়ত এই স্নেহের কারণেই স্নেহভাজন আত্মশক্তির সন্ধান পায় না। ফলে সে অলস, ভীরু, দুর্বল ও পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ে।

আরও দেখুন:

Leave a Comment