সেদিন বিকেলবেলা কবিতা | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর কবিতা | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

সেদিন বিকেলবেলা — সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত কবিতা, যা তার কবিতার রোমান্টিক ও ভাবগভীর দিককে সুন্দরভাবে তুলে ধরে। এই কবিতায় কবি অতীতের স্মৃতি ও সময়ের ক্ষণস্থায়ীত্বকে ছোঁয়ার মাধ্যমে মানুষের অনুভূতি, ভালোবাসা ও নস্টালজিয়ার মিশ্রণ ফুটিয়ে তুলেছেন।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতাগুলো সাধারণত সরল, স্পষ্ট ভাষায় লেখা হলেও গভীর অর্থ ও আবেগ বহন করে। সেদিন বিকেলবেলা কবিতাটি সেই রকমই এক নিদর্শন, যেখানে বিকেলের নীরবতা, আলোছায়া ও স্বস্তির মধ্যে দিয়ে অতীত স্মৃতির ঝলক দেখানো হয়েছে। কবিতার ভাষা এবং ছবি পাঠকের মনকে শান্ত ও ভাবুক করে তোলে।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই কবিতায় সময়ের গতিবেগ ও জীবনের অনিশ্চয়তা নিয়ে ভাবনার ছোঁয়া পাওয়া যায়। এছাড়া, তার কবিতায় মানুষের সাধারণ অনুভূতিগুলো খুব প্রাঞ্জল ও মধুরভাবে প্রকাশ পায়, যা পাঠক হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে।

সুতরাং, সেদিন বিকেলবেলা কবিতা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্মের একটি অনবদ্য অংশ, যা বাংলা কবিতাপ্রেমীদের মাঝে বিশেষ স্থান অধিকার করেছে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সেদিন বিকেলবেলা কবিতা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

সাতশো একান্নতম আনন্দটি পেয়েছি সেদিন
যখন বিকেলবেলা মেঘ এসে
ঝুঁকে পড়েছিল
গোলাপ বাগানে
এবং তোমার পায়ে ফুটে গেল লক্ষ্মীছাড়া কাঁটা!
তখন বাতাসে ছিল বিহ্‌্‌লতা, তখন আকাশে
ছিল কৃষ্ণক্লান্তি আলো,
ছিল না রঙের কোলাহল
ছিল না নিষেধ-
অতটুকা ওষ্ঠ থিকে অতখানি হাসির ফোয়ারা
মন্দিরের ভাস্কর্যকে ম্লান করে নতুন দৃুশ্যটি।

এর পরই বৃষ্টি আসে সাতশো বাহান্ন সঙ্গে নিয়ে
করমচা রঙের হাত, চিবুকের রেখা
চোখে চোখ
গোলাপ সৌরভ মেশা প্রতিটি নি:শ্বাস, যত্ন করে
জমিয়ে রাখার মতো-
সম্প্রতি ওল্টানো পদতলে
এত মায়া, বায়ু ধায় ন’শো ঊনপঞ্চাশের দিকে
নগ্ন প্রকৃতির
এত কাছাকাছি আর কখনো আসি নি মনে হয়
জীবন্ত কাঁটার কাছে হেরে যায় গোপন ঈশ্বর
রূপের সহস্র ছবি, বা আনন্দ একটি শরীরে?

Leave a Comment