Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

সুখী মানুষ নাটিকা বিশ্লেষণ

jsc class 8 bangla 1st paper e0 1 সুখী মানুষ নাটিকা বিশ্লেষণ

“সুখী মানুষ” নাটিকাটি বাংলা ১ম পত্র (অষ্টম শ্রেণি, JSC) পাঠ্যসূচির অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ নাট্যরচনা, যা খ্যাতিমান নাট্যকার মমতাজ উদদীন আহমদ রচিত। এই নাটিকায় একটি গভীর সামাজিক বার্তা প্রকাশ পেয়েছে—আসল সুখ কী, এবং কেমন করে মানুষ তা উপলব্ধি করতে পারে।

সুখী মানুষ নাটিকা

সুখী মানুষ মমতাজ উদ্‌দীন আহমদের একটি নাটিকা। এর দুটি মাত্র দৃশ্য। নাটিকাটির কাহিনীতে আছে, মানুষকে ঠকিয়ে, মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে ধনী হওয়া এক মোড়লের জীবনে শান্তি নেই। চিকিৎসক বলেছেন, কোনো সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলে মোড়লের অসুস্থতা কেটে যাবে।

কিন্তু পাঁচ গ্রাম খুঁজেও একজন সুখী মানুষ পাওয়া গেল না। শেষে একজনকে পাওয়া গেল, যে নিজের শ্রমে উপার্জিত আয় দিয়ে কোনোভাবে জীবিকানির্বাহ করে সুখে দিনাতিপাত করছে। তার কোনো সম্পদ নেই, ফলে চোরের ভয় নেই। সুতরাং শান্তিতে ঘুমোনোর ব্যাপারে তার কোনো দুশ্চিন্তাও নেই। শেষ পর্যন্ত সুখী মানুষ একজন পাওয়া গেলেও দেখা গেল তার কোনো জামা নেই। সুতরাং মোড়লের সমস্যার সমাধান হলো না। লেখকের বক্তব্য খুব স্পষ্ট। তা হলো, সম্পদই অশান্তির কারণ। সুখ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। একজনের অনেক সম্পদ থেকেও সুখ নেই। আবার আরেকজনের কিছু না থাকলেও সে সুখী থাকতে পারে।

 

সুখী মানুষ নাটিকার পাঠের উদ্দেশ্যঃ

এ নাটিকা পাঠ করে শিক্ষার্থীরা উপলব্ধি করবে যে, অন্যায় ও অনৈতিকভাবে উপার্জিত অর্থ বিত্তই মানুষের অশান্তির মূল কারন। বরং সৎ পথে নিজ পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকানির্বাহ করলেই জীবনে শান্তি মেলে । সুতরাং নীতিহীন পথে সম্পদ উপার্জনের পথ পরিহার করাই উত্তম।‘সুখী মানুষ’ নাটিকাটি একজন অত্যাচারী মােড়লের কাহিনি নিয়ে রচিত । মােড়ল মানুষকে ঠকিয়ে, মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে ধনী হয়েছে। সে এখন অসুস্থ। তার মনে শান্তি নেই। চিকিৎসক বলেছেন, কোনাে সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলেই শুধু মােড়লের অসুস্থতা কেটে যাবে। কিন্তু পাঁচ গ্রাম খুজেও একজন সুখী মানুষ পাওয়া গেল না।

অবশেষে একজনকে পাওয়া গেল , যে নিজের শ্রমে উপার্জিত আয় দিয়ে কোনােভাবে জীবিকা নির্বাহ করে সুখে দিনাতিপাত করছে। সে সুখে ঘুমাতে পারে, কারণ তার কোনাে সম্পদ নেই। ফলে তার কোনাে চোরের ভয় নেই। সে একজন প্রকৃত সুখী মানুষ। কিন্তু মুশকিল হলাে এই সুখী মানুষের কোনাে জামা নেই। অতএব মােড়লের সমস্যার সমাধান হলাে না। এখানে লেখকের বক্তব্য স্পষ্ট যে, অন্যায় ও অনৈতিকভাবে উপার্জিত অর্থ বিত্তই মানুষের অশান্তির মূল কারণ। সুখ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার । একজনের অনেক সম্পদ থেকেও সুখ নেই।

আবার আরেকজনের কিছু না থাকলেও সে সুখী থাকতে পারে । সৎ পথে পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করলেই জীবনে শান্তি মেলে।

 

 

সুখী মানুষ নাটিকার লেখক পরিচিতিঃ

* মমতাজ উদ্দীন আহমদ পশ্চিম বঙ্গের মালদহ জেলায় ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন।

* ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।

* কর্মজীবনে সরকারী কলেজে অধ্যাপনা শেষে ১৯৯২ সালে অবসর গ্রহন করেন।

* নাট্যকার ও নাট্যভিনেতা হিসেবে তিন বাংলাদেশে একজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব।

 

তার উল্লেখযােগ্য রচনাঃ

* নাটক : স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা , রাজা অনুস্বারের পালা, সাত ঘাটের কানাকড়ি, আমাদের শহর , হাস্য লাস্য ভাষ্য

* প্রবন্ধ গবেষনা : বাংলাদেশের নাটকের ইতিবৃত্ত, বাংলাদেশের থিয়েটারের ইতিবৃত্ত

* সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি – শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাংলা একাডেমি পুরস্কার , একুশে পদক লাভ করেন।

 

সুখী মানুষ নাটিকা বিশ্লেষণ:

 

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

আরও দেখুন:

Exit mobile version