সরল বাক্য থেকে জটিল বাক্যে রূপান্তর | বাক্যতত্ত্ব | ভাষা ও শিক্ষা , সরল বাক্য থেকে জটিল বাক্যে রূপান্তর : সরল বাক্য থেকে জটিল বাক্যে রূপান্তর করতে হলে মৌলিক অর্থ বা মূল অর্থ অপরিবর্তিত রেখে নিচের সাধারণ সূত্রগুলো অবলম্বন করা যেতে পারে— সূত্র : ক। বাক্য পরিবর্তিত হলেও মৌলিক অর্থ অপরিবর্তিত থাকবে। যেমন— সরল : ‘ইহাদের ন্যায় রূপবতী রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই।
সরল বাক্য থেকে জটিল বাক্যে রূপান্তর | বাক্যতত্ত্ব | ভাষা ও শিক্ষা
‘ TRIP OF জটিল : ‘ইহারা যেরূপ, এরূপ রূপবতী রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই।’ সূত্র : খ। সরল বাক্যের উদ্দেশ্য বা কর্তা ও বিধেয় বা সমাপিকা ক্রিয়া-কে পরিবর্তন না করে সাধারণত জটিল বাক্যের প্রধান খণ্ডবাক্যটি গঠিত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও হয়। যেমন : সরল : ‘তুমি নবমালিকা কুসুমকোমলা হওয়া সত্ত্বেও তোমায় আলবালজলসেচনে নিযুক্ত করিয়াছেন। ত জটিল : ‘যদিও তুমি নবমালিকা কুসুমকোমলা, তথাপি তোমায় আলবালজলসেচনে নিযুক্ত করিয়াছেন। গুরুচী – সূত্র : গ। সরল বাক্যের বাকি অংশ বিশেষ্য, বিশেষণ বা ক্রিয়া-বিশেষণস্থানীয় অপ্রধান বা আশ্রিত খণ্ডবাক্যে পরিণত হয়।
যেমন : সরল : “ভূস্বামী স্বাধিকারে অধিষ্ঠান করিলে প্রজারা একদিনের নিমিত্ত নিশ্চিন্ত থাকিতে পারে না।’ জটিল : “ভূস্বামী যখন স্বা স্বাধিকারে অধিষ্ঠান করেন, তখন প্রজারা একদিনের নিমিত্ত নিশ্চিন্ত থাকিতে পারে না।’ ⇒ সূত্র : ঘ। প্রধান ও অপ্রধান খণ্ডবাক্য সাপেক্ষ সর্বনাম (যা, তা) কিংবা নিত্য সম্বন্ধীয় অব্যয় (যদি, তবে) দ্বারা যুক্ত হয়। যেমন: সরল : ‘কার্যে ক্ষতি না হইলে তথায় গিয়া অতিথি সৎকার করুন।” জটিল : ‘যদি কার্যে ক্ষতি না হয়, তবে তথায় গিয়া অতিথি সৎকার করুন। সরল : ‘কেবল লোভের উপভোগ আহরণ করাই তাহার একমাত্র প্রয়োজন।

জটিল : ‘যাহা তাঁহার একমাত্র প্রয়োজন, তাহা হইল কেবল লোভের উপভোগ আহরণ করা। ত [ নিত্য সম্বন্ধীয় অব্যয় : বটে—কিন্তু, যেই-সেই, বরঞ্চ—তথাপি, হয়—নয়, এত–যে, যেমন-তেমন, একে–তায়, যদি—তবু / তাহলে, এরূপ-যে-সে, যত—তত, যাই—তাই ইত্যাদিকে নিত্য সম্বন্ধীয় অব্যয় বলে । সাপেক্ষ সর্বনাম : পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল এক প্রকার সংযোগমূলক সর্বনামই সাপেক্ষ সর্বনাম। যেমন: যে–সে, যিনি—তিনি, যা-তা, যার—তার, যতক্ষণ—ততক্ষণ ইত্যাদি।
আরও দেখুন: