সন্ধির প্রয়োজন – আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিভাগের “সন্ধি ও সন্ধি-গঠন” বিষয়ের “সংস্কৃতাগত সন্ধি ও খাঁটি বাংলা সন্ধি” সেকশনের একটি পাঠ। বলতে ও লিখতে গেলে সন্ধি করার প্রয়োজন আমাদের মাঝে মাঝেই হবে, তাই সন্ধির নিয়মগুলো জানা একান্ত প্রয়োজন। সন্ধির নিয়ম ভঙ্গ করে রবীন্দ্রনাথও যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। ‘েমথুরায়’ কবিতায় (কড়ি ও কোমল) রবীন্দ্রনাথ ‘মনোসাধ’ কথাটি ব্যবহার করেছিলেন।
সন্ধির প্রয়োজন
এতে সেই সময়কার ‘মিঠেকড়া’ পত্রিকায় লেখা হয়— ‘একবার রাধে রাধে ডাক্ বাঁশি মনোসাধে শুনে ব্যাকরণ কাঁদে হেন সন্ধি শুনি নাই।’ শুদ্ধ পদটি হবে মনঃসাধ। তাই সন্ধির নিয়মগুলো জেনে নেওয়াই ভাল । সন্ধির’ প্রয়োজন বহুবিধ- ধ্বনি-পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সন্ধি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নতুন শব্দ গঠনের জন্যে সন্ধির ‘প্রয়োজন রয়েছে। শব্দের আকার ছোট করতেও সন্ধির’ প্রয়োজন পড়ে
সন্ধির ফলে ভাষা সাবলীল ও শ্রুতিমধুর হয়। উচ্চারণ সহজ করার জন্যে সন্ধির ‘প্রয়োজন রয়েছে। সর্বোপরি ভাষার উচ্চারণের সৌকর্য ও শ্রুতিমাধুর্য বৃদ্ধি, ভাষাকে প্রাঞ্জল ও সংক্ষিপ্ত করতে সন্ধির ‘প্রয়োজন অপরিসীম
সংস্কৃতাগত সন্ধি ও খাঁটি বাংলা সন্ধি
সন্ধি মূলত সংস্কৃতাগত; অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষার সন্ধি। বাংলা ভাষার নিজস্ব উচ্চারণ আলাদা বলে বাংলা সন্ধির নিয়মও আলাদা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। বাংলা মৌখিক ভাষার সন্ধি বা ধ্বনি-পরিবর্তনের যে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা ‘খাঁটি বাংলা সন্ধি’ নামে পরিচিত।
সংস্কৃতাগত সন্ধি : সংস্কৃতাগত সন্ধি তিন প্রকার। নিচে একটি ছকের মাধ্যমে তা দেখানো হল :
উৎস-নির্দেশ
১. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বাঙ্গালা ব্যাকরণ, ১৩৭৩।
২. ড. মুহম্মদ এনামুল হক, ব্যাকরণ-মঞ্জরী, মুহম্মদ এনামুল হক রচনাবলী, ২য় খণ্ড, ১৯৯৩।
৩. ড. সুকুমার সেন, বাঙলা ভাষার ব্যাকরণ।
৪. অশোক মুখোপাধ্যায়, সংসদ ব্যাকরণ অভিধান, ২০০৫।
৫. জ্যোতিভূষণ চাকী, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, ১৯৯৬।

আরও দেখুন: