Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

শেখ রাসেল কে নিয়ে কবিতা

শেখ রাসেল কে নিয়ে কবিতা – রাসেলকে নিয়ে লেখা ২টি কবিতা উল্লেখ করা হল।

 

 

শেখ রাসেল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা অঞ্চলের ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে ১৮ অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল সর্বকনিষ্ঠ। ভাই-বোনের মধ্যে অন্যরা হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক শেখ কামাল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শেখ জামাল এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ শেখ রেহানা। শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

 

শেখ রাসেল কে নিয়ে কবিতা

 

শেখ রাসেল কবিতা – মোঃ নাজমুল হাসান

 

রাসেল তুমি এতই চতুর বলা বাহুল্য,
              অসাধারণ তুমি
হয় না কারোর সাথে তুল্য।
            তোমারি গুণে মুগ্ধ সবাই অনন্ত এই বিশ্বাচরে,
তোমারি কথা কেউ কেমনি করে ভুলিতে পারে।
            কত স্বপ্ন ছিলো তোমার, হবে আর্মি অফিসার,
নেতৃত্বসুলভ ছিলে তুমি, ছিলো প্রতীক মানবতার।
           প্রিন্স স্যুট পড়ে চেয়েছিলে বাবা শেখ মুজিব হতে,
বন্ধুদের পুরুষ্কার দিয়ে প্যারেডের মাধ্যমে
            অসাধারণ নেতৃত্ব দিতে।
কারাগারে বাবাকে দেখতে গিয়ে
            “বাবা চলো” বলে দেখিয়েছ এক অদম্য সাহসিকতা,
পালিত কবুতরের মাংস না খেয়ে দেখিয়েছ প্রাণী মমতা।
             অসম্ভব মেধাবী ছিলে তুমি, শিক্ষিকার মুখে বলা,
তাই তো হাসু আপার হাত ধরে,
            একদিনেই শিখেছিলে হাটাচলা।
ভ্রমণ করেছিলে তুমি জাপান ও রাশিয়া,
সবার আদর স্নেহে বেড়ে ওঠেছিলে হাসিয়া হাসিয়া।
১৫ আগষ্ট ১৯৭৫
             সেই হাসি কেড়ে নেমে এলো এক করুন অন্ধকার,
সপরিবারে প্রাণ নিয়ে ঘাতক দল
             সব কিছু করে দিলো ছারখার।
চিৎকার করেছিলে তুমি
             মায়ের কাছে যাব, নিয়ে যাও,
মায়ের মরদেহ দেখে তুমি অবশেষে বললে
             আমাকে হাসুর কাছে পাঠিয়ে দাও।
এমনই নৃশংস ঘটনা ঘটে না যেন আর,
সরকারের কাছে এই মিনতি বারেবার।

 

শেখ রাসেলের জন্মদিনে – শচীন্দ্র নাথ গাইন

মায়ের হাতে ভাত খেত আর চলত বাবার সাথে,
তাদের ছাড়া কাটত না দিন, ঘুম হতো না রাতে।
সবে তখন মন দিয়েছে বিদ্যালয়ের পাঠে,
পায়রা নিয়ে মজার খেলা খেলেই সময় কাটে।

একভোরে হয় শব্দ বিকট, জেগেই দেখে চেয়ে,
সে াতের ধারায় রক্তনদী চলছে সিঁড়ি বেয়ে।
ডুকরে কেঁদে বুক ভাঙে তার, চায় যেতে মা’র পাশে,
তার আকুতি শোনার সাথেই বর্বরেরা হাসে।

দেখেই ভয়ে আঁতকে ওঠে নিথর দেহের মাকে,
ডাকার আগেই জল্লাদেরা ছুঁড়ল গুলি তাকে।
তাজা খুনে হাত রাঙিয়ে পশুর দলে ফোঁসে,
অবুঝ শিশু হত্যা করে পিশাচরা কোন্ দোষে?

সেই ছেলেটার জন্মদিনেও শোকে মানুষ কাঁদে,
খুশির আলো ছড়ায় না তাই সূর্য এবং চাঁদে।
নিষ্পাপ মুখ জড়িয়ে থাকে স্মৃতির ভাঁজে ভাঁজে,
শেখ রাসেলের জন্যে মনে ব্যথার সুরই বাজে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

Exit mobile version