Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতির অবসানকল্পে যুক্তি প্রদর্শন করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতির অবসানকল্পে যুক্তি প্রদর্শন করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা , দরখাস্ত লেখার বিভিন্ন প্রকার ফরমেট রয়েছে। কেউ অফিসের প্রয়োজনে বা অফিস থেকে ছুটি নিতে দরখাস্ত লিখছেন, কেউ বা আবার চাকরির দরখাস্ত লিখছেন, আবার শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনে স্কুল-কলেজের প্রধান বরাবরে দরখাস্ত লিখছেন। যদিও কাজের ধরন অনুয়ায়ী আবেদন ভিন্ন ভিন্ন হয় তবে আপনি যদি একটি আবেদন বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম সঠিকভাবে আয়ত্বে আনতে পারেন, তাহলে যেকোন প্রকারের দরখাস্ত লিখতে অপনার সমস্যা হবে না।

 

 

একটি নির্দিষ্ট গঠন কাঠামো- নিয়ম অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে যে পত্রের মাধ্যমে আবেদন করা হয়, তাদেরকে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র বলা হয়ে থাকে।

 

 

বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করার ক্ষেত্রে আমরা এধরনের পত্রের ব্যবহার করে থাকি। প্রাতিষ্ঠানিক, দাপ্তরিক নানা প্রয়োজনে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের করা দরখাস্ত, অফিসে ছুটির জন্য আবেদন, চাকরির আবেদন পত্র সহ নানা বিষয়ে এধরনের পত্র লেখা হয়ে থাকে।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতির অবসানকল্পে যুক্তি প্রদর্শন করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র

তারিখ : ১২ মার্চ, ২০০০

সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠ

২৪/এ নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা।

‘খ’, ২৭/এ গুলশান, ঢাকা।

জনাব,

আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে প্রকাশের জন্য ‘শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতির অবসান চাই’ শিরোনামে একটি চিঠি এই সঙ্গে পাঠাচ্ছি। সময়োপযোগী এ-বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আপনার পত্রিকায় প্রকাশ করে এবং পাঠকের অবাধ মতামত প্রকাশের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এ মহৎ উদ্দেশ্যকে সার্থক করবেন, আশা রাখি।

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতির অবসান চাই, চাই শিক্ষার নির্মল পরিবেশ সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে অদ্যাবধি মহান লক্ষ্য ও আদর্শকে সামনে রেখে যতগুলো সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে তন্মধ্যে ছাত্রসংগঠন অন্যতম। লেখাপড়ার পাশাপাশি দেশবরেণ্য ছাত্রসমাজ তাদের নিজেদের ও দেশমাতৃকার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে যে ভূমিকা পালন করে তাই ছাত্ররাজনীতি। ছাত্র-রাজনীতির মাধ্যমে ছাত্ররা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বহুমুখী কারণে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র-রাজনীতি আজ বিতর্কের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।

আজকাল ছাত্র-রাজনীতি অনেকাংশে অসুস্থ রাজনীতিতেই পরিণত হয়েছে। ছাত্ররাজনীতিতে প্রবেশ করেছে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মারামারি, কাটাকাটি ইত্যাদি। ছাত্র-রাজনীতির এহেন পরিস্থিতি দেশ ও জাতিকে ক্রমান্বয়ে নিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের অতল গহ্বরে। সন্ত্রাসের কারণে প্রতি বছর অনেক ছাত্রের তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে, আবার অনেকে চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে বিভিন্ন সংগঠনের ছাত্ররা মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করেছে, শিক্ষাঙ্গনকে বানিয়েছে রণাঙ্গন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমাজের অগ্রসর অংশ হিসেবে ছাত্রসমাজকেই তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করায় সর্বাধিক সচেষ্ট।

ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে তারা ছাত্রসমাজকে তাদের ক্রীড়নকে পরিণত করেছে। ফলে ছাত্রসমাজ এখন দেশগঠনমূলক আদর্শবাদী রাজনীতির পথ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। এসব দিক থেকে বিবেচনা করে ছাত্র-রাজনীতি নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং শিক্ষার মান রক্ষার্থে, শিক্ষাঙ্গনে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র-রাজনীতি বন্ধ করে দেয়া উচিত।

বিনীত নিবেদক

২৭/এ গুলশান, ঢাকা।

আরও দেখুন:

Exit mobile version