শহরের যানজট নিরসনের জন্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

শহরের যানজট নিরসনের জন্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা ,একটি নির্দিষ্ট গঠন কাঠামো- নিয়ম অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে যে পত্রের মাধ্যমে আবেদন করা হয়, তাদেরকে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র বলা হয়ে থাকে।

 

শহরের যানজট নিরসনের জন্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

 

বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করার ক্ষেত্রে আমরা এধরনের পত্রের ব্যবহার করে থাকি। প্রাতিষ্ঠানিক, দাপ্তরিক নানা প্রয়োজনে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের করা দরখাস্ত, অফিসে ছুটির জন্য আবেদন, চাকরির আবেদন পত্র সহ নানা বিষয়ে এধরনের পত্র লেখা হয়ে থাকে।

 

বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্যে আবেদনপত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

 

বাংলা দরখাস্ত কাজের সুবিধার্তে অনেক সময় বিভিন্ন প্রকারের আবেদন পত্র লিখতে হয়। কিন্তু সঠিকভাবে বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়মজানার অভাবে আমরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে দরখাস্ত বা আবেদন লেখার নিয়ম জেনে নিতে হয়। বিশেষ ভাবে চাকরি প্রার্থীগণ চাকরির আবেদন বা চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সঠিকভাবে না জানার কারনে অনেক সমস্যায় পড়েন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, লজ্জার কারনে এ বিষয়ে অন্যের দ্বারস্ত হয়ে পরামর্শও নেন না। যার ফলে একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ভালোমানের দরখাস্ত লেখাও হয় না। এতে করে চাকরির আবেদনটি কর্তৃপক্ষের নিকট পছন্দ হয় না।

 

শহরের যানজট নিরসনের জন্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

 

শহরের যানজট নিরসনের জন্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র

তারিখ : ২২ মে, ২০০০

সম্পাদক,

দৈনিক ইত্তেফাক,

১ রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩।

খ’, ২২, র‍্যাঙ্কিন স্ট্রিট, ওয়ারি, ঢাকা।

জনাব,

আপনার সম্পাদিত বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে নিম্নলিখিত পত্রটি প্রকাশ করলে বাধিত হব। বিনীত যানজট ঢাকার জীবনের গতিকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে রাজধানী শহর ঢাকা দেশের প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু বর্তমানে যানজট এ শহরে একটি নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীতে ট্রাফিক সিগন্যাল পয়েন্টে যানজটের কারণে প্রতিদিন ৫ কোটি টাকার জ্বালানি অতিরিক্ত খরচ হয়। শহরের ব্যস্ততম এলাকা বিশেষ করে জনসন রোড, সায়েদাবাদ, মতিঝিল ও গুলিস্তান এলাকায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। যানজটের কারণে যাত্রীদের প্রতিদিন অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সাধারণ পথচারী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় অপচয় করতে হয়। যানজটের কারণে একজন নগরবাসীর বছরে ১২ দিন সময় নষ্ট হয়ে যায়। ফলে আমাদের দৈনন্দিন কাজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বিশেষ করে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি গন্তব্যে পৌঁছার ক্ষেত্রে বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই যানজট। যে কোনো মুহূর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এ অবস্থা নিরসনে প্রয়োজনীয় কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থা নিরসন কল্পে কয়েকটি বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিলে ও কার্যকর করলে যানজট এখনই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব :

(১) গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি, (২) বেশির ভাগ রাস্তাকে ওয়ানওয়ে করা ও ক্রসিং কমিয়ে দেওয়া, (৩) আইনের কঠোর প্রয়োগ করা, (৪) যে কোনো স্ট্রাকচার নির্মাণের আগে প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বহুমুখী ফ্লাইওভার (ইন্টারসেকশন ট্রাফিক সিস্টেম) নির্মাণ করা, যাতে যে কোনো মোড়ে কোনো গাড়ি ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়া নিজের পথে চলতে পারে। (৫) এছাড়া ট্রাফিক সিগন্যাল বাতিগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে না চালিয়ে প্রতিটি পয়েন্টে উপ-নিয়ন্ত্রণ কক্ষ অথবা রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেম করলে কিছুটা যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। (৬) শহর থেকে কিছু হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত শহরের বাইরে নিয়ে যেতে হবে। (৭) রাস্তা ও তার পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা

ও ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করতে হবে। (৮) নতুন নতুন রাস্তা তৈরিসহ রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে। (৯) পাতাল রেলের ব্যবস্থা করতে হবে উপর্যক্ত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করলে যানজটের তীব্রতা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। নিবেদক

২২, র‍্যাঙ্কিন স্ট্রিট, ওয়ারি, ঢাকা।

আরও দেখুন:

Leave a Comment