পরিভাষা ও শব্দের পার্থক্য | পরিভাষা ও বিদেশি শব্দের পার্থক্য | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

পরিভাষা ও শব্দের পার্থক্য – আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিভাগের “নির্মিতি” বিষয়ের “পরিভাষা ও বিদেশি শব্দের পার্থক্য” অংশের একটি পাঠ।  শব্দ ও পরিভাষার মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য বিদ্যমান। পরিভাষা কোনো জ্ঞান-ক্ষেত্রের বৈশিষ্ট্যজ্ঞাপক ধারণার সংজ্ঞার্থ বা নাম। কিন্তু শব্দ (vocabulary) হচ্ছে ভাষায় ব্যবহৃত যে কোনো অর্থবোধক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি। বস্তুত পারিভাষিক শব্দগুলো জ্ঞান-বিজ্ঞানের সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফলে সব শব্দই পারিভাষিক শব্দ নয়, কিন্তু সব পারিভাষিক শব্দই সাধারণ শব্দ।

পরিভাষা ও শব্দের পার্থক্য | পরিভাষা ও বিদেশি শব্দের পার্থক্য | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

সাধারণভাবে পরিভাষা এবং বিদেশি শব্দকে এক করে দেখা হয়। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে এই দুটি বিষয়ই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। পারিভাষিক শব্দ হলো বিদেশি বা দেশীয় কোনো ভাষার মূলশব্দ বা তার অনুবাদ বা মূল শব্দের কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত রূপ সংবলিত শব্দাবলি- — যা মাতৃভাষার প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। অপরপক্ষে বিদেশি শব্দ হল কোনো বিদেশি ভাষার মূল শব্দ।

 

পরিভাষা ও শব্দের পার্থক্য | পরিভাষা ও বিদেশি শব্দের পার্থক্য | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

 

যেসব বিদেশি শব্দ (যেমন : আনারস, চেয়ার, রিক্শা ইত্যাদি) বাংলা ভাষায় নিত্য ব্যবহারে স্থায়ী স্থান লাভ করেছে, সেসব শব্দকে আর বিদেশি শব্দ ভেবে পরিভাষা করার প্রয়োজন নেই। কারণ এগুলো এখন বাংলা ভাষারই সম্পদ হয়ে উঠেছে।

 

পরিভাষা ও শব্দের পার্থক্য | পরিভাষা ও বিদেশি শব্দের পার্থক্য | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

 

কিন্তু জ্ঞান-বিজ্ঞানের এমন কতকগুলো বিষয় রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে হলে ওই সকল শব্দের পরিভাষার প্রয়োজন হয়। (যেমন : পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, জীববিদ্যা ইত্যাদি।) সুতরাং বিদেশি শব্দ এবং পরিভাষা মোটেই এক নয়।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বিদেশি শব্দ, বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দ :

 

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment