লোডশেডিং এর প্রতিকার চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা , দরখাস্ত লেখার বিভিন্ন প্রকার ফরমেট রয়েছে। কেউ অফিসের প্রয়োজনে বা অফিস থেকে ছুটি নিতে দরখাস্ত লিখছেন, কেউ বা আবার চাকরির দরখাস্ত লিখছেন, আবার শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনে স্কুল-কলেজের প্রধান বরাবরে দরখাস্ত লিখছেন। যদিও কাজের ধরন অনুয়ায়ী আবেদন ভিন্ন ভিন্ন হয় তবে আপনি যদি একটি আবেদন বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম সঠিকভাবে আয়ত্বে আনতে পারেন, তাহলে যেকোন প্রকারের দরখাস্ত লিখতে অপনার সমস্যা হবে না।
লোডশেডিং এর প্রতিকার চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র
তারিখ : ১০ মে, ২০০০
সম্পাদক,
দৈনিক ইত্তেফাক
১ রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে প্রকাশের জন্য ‘দিনে রাতে লোডশেডিং : বিদ্যুতের বিড়ম্বনা কি শেষ হবে না’ শিরোনামে একটি চিঠি এই সঙ্গে পাঠাচ্ছি।
আশা করি, এলাকার সমস্যাভিত্তিক চিঠিটি প্রকাশে আমরা আপনার আনুকূল্য থেকে বঞ্চিত হব না। কৃতজ্ঞতাসহ- বিনীত
‘খ’, দেবিদ্বার, কুমিল্লা
দিনে রাতে লোডশেডিং : জনজীবন বিপর্যস্ত
ক্রমাগত বিদ্যুৎ ঘাটতি দেশকে ক্রমেই অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ক্রমবর্ধমান লোডশেডিং-এর জাঁতাকলে পড়ে জনজীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। জীবনযাত্রার ভোগান্তি বাড়ছে। লেখাপড়া, কল-কারখানা, ব্যৱসায়-বাণিজ্য সর্বত্রই উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। লোডশেডিং-এ ভুক্তভোগী জনগনের মধ্যে হাহাকার বাড়ছে। আমাদের কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলাধীন ‘লক্ষ্মীপুর’ একটি সমৃদ্ধ জনপদ।
এ গ্রামের প্রায় ৫০% লোক শিক্ষিত। এদের অধিকাংশই চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী। এই এলাকার অধিবাসীরা আজ বিদ্যুৎ-অব্যবস্থাপনার অসহায় শিকারে পরিণত হয়েছে। শীতের রেশ না কাটতেই বিদ্যুতের লোডশেডিং এ-এলাকার জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সন্ধ্যা হলেই অধিকাংশ এলাকা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। শুধু সন্ধ্যার পর নয়, দিনেও এখন সমানে লোডশেডিং হচ্ছে। এ কারণে আসন্ন এইসএসসি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে।

ভেপসা গরম সহ্য করে মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়ালেখা করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অন্যদিকে বিদ্যুৎ নির্ভর চাষাবাদ, ব্যবসায়-বাণিজ্য আজ ধ্বংসের মুখে। দু-একটি ডিজেল চালিত জেনারেটর থাকলেও ত জ্বালানি খরচ বেশি হওয়ায় তা কল-কারখানায় ব্যবহার করা যাচ্ছে না। লোডশেডিং-এর সঙ্গে লো-ভোল্টে… কারণে মেশিনারি জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক পরিবার আজ পথে বসতে চলেছে। গত ১৫ দিন ধরে চরম বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বোরো চাষ মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। চাহিদার মাত্র ৩০-৪০% বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুতের অনিয়মের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় যে অনিয়ম ও উচ্ছৃঙ্খলতা দেখা দিয়েছে তাতে জীবন বাঁচানোই কঠিন।
এভাবে বিদ্যুৎ সংকট চলতে থাকলে একসময় যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে তা বর্ণনাতীত। এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন কবে শেষ হবে এই গভীর অমানিশার কাল? স্থানীয় জনগণ এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন করেও কোনো আশানুরূপ ফল পায় নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আকুল আবেদন আমাদের এই অশেষ ভোগান্তি দূর করার জন্য অতি সত্ত্বর এ এলাকার বিদ্যুৎ সংকট ও লোডশেডিং বন্ধ করুন।
লক্ষ্মীপুর গ্রামবাসীর পক্ষে- ‘খ’;
দেবিদ্বার, কুমিল্লা
আরও দেখুন: