যেসব ভাষা/লিপির অর্থ এখনও উদ্ধার করা যায়নি – প্রাচীন সভ্যতার অনেক বিস্ময়কর উপাদানের একটি ভাষা ও লিপি। এখনও প্রাচীন অনেক ভাষা এবং লিপির অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে লিখিত লিপিগুলো কোন ভাষাকে নির্দেশ করছে সেটাও জানা সম্ভব হয়নি। এসব ভাষা ও লিপির অর্থ উদ্ধার হলে জানা যাবে অনেক প্রাচীন সভ্যতার নতুন কোনো বিস্ময়। আবার হয়তো সে পথ নতুন করে তৈরি করবে আরও রহস্য, হয়তো বদলাবে সে সভ্যতা, স্থান, কালের ইতিহাস।
Table of Contents
যেসব ভাষা/লিপির অর্থ এখনও উদ্ধার করা যায়নি
ভিনকা সাইন
ভিনকা স্ক্রিপ্ট, ভিনকা-তারদাস স্ক্রিপ্ট, ওল্ড ইউরোপিয়ান স্ক্রিপ্ট নামেও পরিচিত দুনিয়ার সব’ থেকে প্রাচীন লিপিগুলোর একটি ভিনকা সাইন। ১৮৭৫ সালে হাঙ্গেরির প্রত্নতত্ত্ববিদ Zsofia Torma রোমানিয়ার তারদাসে প্রথম খুঁজে পান ভিনকা সঙ্কেতযুক্ত নিদর্শন।
১৯০৮ সালে একই জিনিস পাওয়া যায় বেলগ্রেডের নিকটবর্তী শহরতলিতে। সার্বিয়াতে আরও প্রায় দেড়শ স্থানে এ সঙ্কেত সংবলিত নিদর্শন পাওয়া গেছে। এছাড়া দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিশেষত গ্রিস, বুলগেরিয়া, প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়া, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, ইউক্রেনের বহু প্রত্নতাত্ত্বিক খনন স্থানে এ লিপি পাওয়া গেছে। অনেক ভাষাবিদ এগুলোকে ভাষার লিপি মনে করেন না। তাদের মতে এটি প্রাক-ভাষা।
ধারণা করা হয়, এ ভিনকা সঙ্কেত খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০০ থেকে ৪০০০ অব্দে সৃষ্টি হয়েছিল। পণ্ডিতদের ধারণা, এগুলো ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হতো। ভিনকা সঙ্কেতে আছে প্রাণীসদৃশ সঙ্কেত বা চিহ্ন এবং বিমূর্ত কিছু চিহ্ন। বেশিরভাগ চিহ্নই মাটির পাত্রের ওপর খোদাই করা। এ লিপি বা সঙ্কেতের অর্থ যেমন উদ্ধার করা যায়নি তেমনি এটি কোনো ভাষাকে প্রকাশ করত কি না সেটাও এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
সিন্ধু/হরপ্পা সভ্যতার লিপি
ভারতবর্ষের গৌরবের অংশ প্রাচীন সিন্ধু এবং হরপ্পা সভ্যতা। প্রায় ৪ হাজার নিদর্শনে পাওয়া গেছে সিন্ধু সভ্যতার লিপি। কিন্তু অর্থ উদ্ধার আজও সম্ভব হয়নি।
লিনিয়ার ‘এ’ লিপি
ঠিক একই কারণে এ সভ্যতার অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে ইতিহাসবিদদের কাছে। লিপির অর্থ উদ্ধার করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় অন্তরায় হিসেবে দেখেছেন গবেষকরা। এক. এ লিপির দৈর্ঘ্য খুব কম, সর্বনিম্ন সঙ্কেত ৫টি আর সব থেকে বেশি ২৬টি। দুই. এর কোনো দ্বিভাষিক লেখা না পাওয়া।
ভাষাটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ কোনো ভাষা আর নেই দুনিয়ায়। অনেক ভাষাবিদের মতে, এটি দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। একই সঙ্গে এ ভাষা বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্ত ান, শ্রীলঙ্কা এবং মালয়েশিয়ায় ব্যবহৃত ভাষাগুলোর ভিত্তিভূমি। এ লিপির অস্তি ত্বকাল কারও মতে খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০-২০০০ আবার কারও মতে ২৬০০ থেকে ১৯০০ অব্দ।
লিনিয়ার-এ
১০০টি সঙ্কেত নিয়ে গঠিত লিনিয়ার-এ। ১৯০০ সালে প্রত্নতত্ত্ববিদ স্যার আর্থার ইভানস গ্রিসের ক্রিটের knossos-এ রহস্যময় এ সঙ্কেত বা লিপি আবিষ্কার করেন। এ ভাষা এবং লিপি ব্যবহৃত হয় খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০-১৮০০ অব্দে প্রাচীন ক্রিটের মিনোয়ান যুগে। ধারণা করা হয় এটি ক্রিট রাজপ্রাসাদের ভাষা ছিল।
ইভাস তার বাকি জীবনজুড়ে চেষ্টা চালিয়েও লিনিয়ার-এ-এর অর্থ উদ্ধার করতে পারেননি। তবে এটা বুঝতে পেরেছিলেন যে, এ লিপিতে আছে তিনটি লিখন পদ্ধতি। মাইকেল ভেনট্রিস লিনিয়ার ‘এ’ লিপির সাথে উদ্ধারকৃত লিনিয়ার ‘বি’ লিপির অর্থ উদ্ধার করেছিলেন।
পিকাটিশ স্টোন
স্কটল্যান্ডে লৌহযুগের শেষার্ধে বাস করত পিকট নামে পরিচিত একদল মানুষ। এরা তৈরি করেছিল পাথরের খোদাই করা সঙ্কেতবাহী অনেক স্তম্ভ। কালের গহ্বরে হারিয়ে গেছে এসব সঙ্কেতের অর্থ। এখন পর্যন্ত এ ধরনের সঙ্কেত খোদাই করা ৩৫০টির বেশি প্রস্তরখণ্ড পাওয়া গেছে স্কটল্যান্ডে। এতে শনাক্ত হয়েছে ৪০টি ভিন্ন সঙ্কেত।
প্রাথমিক পাথরগুলো অমসৃণ এবং আকারহীন কিন্তু পরিবর্তন সময়কালের পাথরগুলো মসৃণ এবং যত্ন করে আকার দিয়ে তৈরি। প্রাথমিক পাথরগুলোতে পাওয়া যায় প্রাণী এবং জ্যামিতিক নকশা। কিছু পাথরের চিত্রগুলোকে লিখিত লিপি হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদের বর্ণমালাকে বলা হয় ওগাম (ogum)। কিন্তু এ ভাষার অর্থ এখনও উদ্ধার করা যায়নি। পিকটদের ভাষা দেখা গেলেও বোঝা যায়নি আজও।
ভয়নিচ লিপি
১৯১২ সালে উইলফ্রিড ভয়নিচ নামের এক বুক ডিলার সংগ্রহ করেন ভয়নিচ পাণ্ডুলিপি হিসেবে পরিচিত দুনিয়ার সব থেকে রহস্যময় পাণ্ডুলিপিটি। পাণ্ডুলিপিটির সজ্জার ধরন মধ্যযুগীয়। এতে পৃষ্ঠা আছে ২৩৫টি, শব্দ আছে ৩৮ হাজার। কিন্তু একটিরও অর্থ উদ্ধার করা যায়নি। অনেক পৃষ্ঠায় আছে গাছ, তারা ইত্যাদির ছবি আঁকা। আঁকার পর লেখা হয়েছে।
বর্তমানে এটি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্ষণাবেক্ষণে আছে। অনেকের ধারণা এটি তেরো শতকের ফরাসি ধর্মযাজক রজার বেকনের (১২১৪-১২৯৪) রচনা। অনেকে পাণ্ডুলিপিকে স্রেফ ধাপ্পা মনে করলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এর সংজ্ঞা একটি ভাষারই সদৃশ।
ফেইসটস ডিস্ক
গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের মিনোয়ান প্রাসাদে ১৯০৮ সালে আবিষ্কার হয় ফেইস্টস্ ডিস্ক। ইতালির প্রত্নতত্ত্ববিদ লুইজি পারনিয়ার ক্রিট দ্বীপের ফেইটসের মিনোয়ান প্রাসাদ থেকে ফেইটস ডিস্ক খুঁজে পান।। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অজানা লিপির রচনাকাল খ্রিস্টপূর্ব সপ্তদশ শতক। ১৫ সে. মি. ব্যাসের এই ডিস্কটির উভয়পাশেই রয়েছে বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করে লিখিত লিপি। এখনও এই লিপির অর্থ বা ডিস্কটির তৈরির প্রকৃত স্থান অজানা রয়ে গেছে।
এ ধরনের আর কোনো নিদর্শন পৃথিবীতে আর কোথাও পাওয়া যায়নি। এই ডিস্কটি প্রত্নতত্ত্বের অন্যতম রহস্যেঘেরা একটি নিদর্শন। বর্তমানে এটি ক্রিটের হেরাকলিয়ন প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। ডিস্কটিতে আছে মোট ২৪২টি পৃথক প্রতীক। এগুলো ৬১টি গ্রুপে বিভক্ত। অনেকে অবশ্য ডিস্কটির প্রকৃত বয়স নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, এটি কোনো পাগলাটে প্রত্নতত্ত্ববিদের তৈরি করা নিদর্শনও হতে পারে। অবশ্য খুব একটি মাটি পায়নি এ সন্দেহ।
লাইবার লিনতেয়াস
লাইবার লিনতেয়াস অর্থ লিনেন বই। ১৮৪৮ বা ১৮৪৯ সালে একজন ক্রোয়েশীয় খনি কর্মকর্তা মিহাজলো বারিক মিসরে ভ্রমণে এসে আলেকজান্দ্রিয়া শহর থেকে একটি মমি কেনেন। মমিটি ছিল একজন কম বয়সী মহিলার। ১৮৫৯ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর এটি তার ভাই স্লোভেনিয়ার যাজক এললিজার হস্তগত হয়। বারিক মমিটি কার কাছ থেকে কীভাবে কিনেছিলেন সে সম্পর্কে জানা যায়নি। যাজক ভাই মমিটির প্রতি কোন আকর্ষণ বোধ করেননি।
তিনি মমিটি ক্রোয়েশিয়ার জাগরেব আরকিওলজিক্যাল মিউজিয়ামে দান করেন ১৮৬৭ সালে। মমি এবং এর গায়ে জড়ানো লিনেন পরীক্ষা করে সে বছরই লিনেনের গায়ে লিখিত ভাষার সন্ধান পান জার্মান মিশরাবিদ হেইনরিখ ব্রাগস। তিনি বিশ্বাস করতেন সেগুলো ছিল মিসরীয় হায়ারোগ্লিফিক। ১৮৭৭ সালের পর রিচার্ড বারটনের সঙ্গে আলোচনার পর ব্রাগস বুঝতে পারেন লেখাগুলো মিসরীয় হায়ারোগ্লিফিক নয়।
১৮৯১ সালে লেখাগুলো পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয় ভিয়েনায় কেপটিক ভাষা বিশেষজ্ঞ জ্যাকব ক্রালের কাছে। ক্রালই প্রথম আবিষ্কার করেন লেখাগুলো এট্রসকান ভাষার। ধারণা করা হয় এর রচনাকাল খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতক থেকে ২য় শতকের মধ্যে। এট্রসকান ভাষা এখনও মানুষ পুরোপুরি বুঝতে পারেনি। ইতা লাইবার লিনতেয়াসের সামান্য কিছু শব্দের অর্থ জানা গেলেও বেশিরভাগের অর্থই এখনও অজানা রয়ে গেছে। যেটুকু বোঝা গেছে তাতে বিশেষজ্ঞদের ধারণা লেখাগুলো এট্রসকানদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের ক্যালেন্ডার।
রোহোনক কোডেক্স
৪৪৮ পৃষ্ঠার আশ্চর্য এক বই এটি। ডান থেকে বাঁ দিকে প্রবহমান অজানা লিপিতে লেখা এ বইয়ের একটি শব্দের অর্থ আজও উদ্ধার করা যায়নি। এর অক্ষরগুলো পৃথিবীর ইতিহাসের যে কোন ভাষার অক্ষরের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ লম্বা। এই কোডেক্সের নামকরণ করা হয়েছে হাঙ্গেরির রোহোনক শহরের নামে, যা বর্তমানে অস্ট্রিয়ার রেখনিটজ শহর।
১৮৩৮ সালে হাঙ্গেরির কাউন্ট গুস্তাভ বাথিয়ানি তার পুরো লাইব্রেরির সঙ্গে এই কোডেক্স দান করেন হাঙ্গেরিয়ান অ্যাকাডেমী অব সায়েন্সে। এর পৃষ্ঠাগুলোর আকার ১২০১০ সে.মি.। প্রতি পাতায় আছে ৯ থেকে ১৪ সারি প্রতীক বা অক্ষর। সঙ্গে আছে ৮৭টি চিত্র। এ চিত্রগুলো খ্রিস্টান ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মের কাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত।
বহু চেষ্টার পরও এখনও এই লিপির অর্থ উদ্ধার করা যায়নি। আরেকটি রহস্যময় ঘটনা হলো কাউন্ট যে কোডেক্সটি দেন তার পাতাগুলো ১৫২৯-১৫৪০ সময়কালের কাগজ। কিন্তু এর ওপর লেখা লিপি এবং চিত্রাবলীর ধরন ১০০০ খ্রিস্টাব্দের আগের। তাই ধারণা করা হয় প্রাচীন মূল কোডেক্সের একটি কপি বর্তমানটি। মূল উৎসটি এখনও অজানা।
রঙ্গরঙ্গ
ইস্টার দ্বীপের রহস্যময় বিরাট পাথর মূর্তিগুলোর রহস্য এখনও উদ্ধার হয়নি। দ্বীপের মানুষের আরও এক রহস্যের নাম রঙ্গরঙ্গ লিপি। অনেকের ধারণা ১৭৭০ সালের দিকে স্প্যানিশদের সংযোগে এসে ভাষার শক্তি উপলব্ধি করে দ্বীপবাসী। এরপর তৈরি হয় রঙ্গরঙ্গ লিপি।
১৮৬০ সাল পর্যন্ত ভাষাটি এ দ্বীপে ব্যবহার হতো। কিন্তু এরপর এ লিপি সংক্রান্ত জ্ঞান হারিয়ে যায়। এ লিপিতে আছে ১২০টি চিত্র। এ পর্যন্ত এ লিপির দুই ডজন নিদর্শন পাওয়া গেছে, যেগুলো কাঠের ওপর খোদাইকৃত। এগুলোর বেশিরভাগই আগুনে পোড়া বা আবহাওয়ার কারণে অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে।
প্রোটো এলমাইট
সব থেকে প্রাচীন এলমাইট লিপি প্রোটো এলমাইট নামে পরিচিত। খ্রিস্টপূর্ব ৩১ সালে এ লিপির উদ্ভব হয়েছিল বর্তমান ইরানের মধ্যে অবস্থিত প্রাচীন এলাম সভ্যতার রাজধানী সুসায়। প্রাথমিক যুগের সুমেরীয় লিপি থেকে এ এলমাইট লিপির উদ্ভব হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। জানা যায়, মাত্র ২০০ বছরের জন্য এ লিপি ব্যবহৃত হয়েছিল। এ লিপিতে রয়েছে ১০০০টি চিহ্ন বা অক্ষর। এটি পৃথিবীর প্রাচীনতম লিপি, যার অর্থ উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
২০১২ সালের অক্টোবর মাসের শেষ দিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন, প্রোটো এলমাইট লিপির অর্থ উদ্ধারে তারা বেশ কয়েক ধাপ অগ্রসর হতে পেরেছেন। এ লিপির অর্থ উদ্ধার করা গেলে পর্দা সরে যাবে ৫ হাজার বছরের প্রাচীন এক সভ্যতার অজানা অধ্যায়ের-এমনই আশা গবেষকদের।
সিঙ্গাপুরি পাথর
সিঙ্গাপুরি পাথর হচ্ছে দশ ফুট লম্বা একটি বিরাট পাথর। সিঙ্গাপুর নদীর মুখে বসানো ছিল এ পাথর। ১৮১৯ সালে এর সন্ধান পাওয়া যায়। ১৮৪৩ সালে নদীর মুখ চওড়া করে দুর্গ তৈরির জন্য জায়গার প্রয়োজনে বিস্ফোরক দিয়ে পাথরটি টুকরো করে ফেলা হয়। এ পাথরের গায়ে রয়েছে অজানা লিপিতে খোদাই করা লেখা। এ লেখার অর্থ এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
পাথরখণ্ড এখন সিঙ্গাপুর হিস্টরি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। ধারণা করা হয়, এ লেখা দ্বীপের মাজাপাহিত সভ্যতার কীর্তি। অনেকের ধারণা এটি প্রাচীন সংস্কৃত ভাষা। এর অর্থ উদ্ধার করতে পারলে সিঙ্গাপুরের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে অনেক অজানা কথা জানা যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। ধারণা করা হয় এ লিপির শিক্ষণকাল ১২৩০ খ্রিস্টাব্দ।
আরও পড়ুনঃ