যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বরাবর সড়ক দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে প্রতিবেদন | প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন | ভাষা ও শিক্ষা , প্রতিবেদন তৈরি করার ক্ষেত্রে একজন প্রতিবেদক প্রাথমিকভাবে তিনটি কাজ করেন — পর্যবেক্ষণ লিপিবদ্ধ, শ্রুতিবদ্ধ বা দৃশ্যবদ্ধকরণ ও প্রতিবেদন প্রণয়ন। একজন প্রতিবেদককে প্রত্যক্ষ ঘটনার সাক্ষী হতে হয়। অথবা কোনো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর সে সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। অনেক সময় প্রতিবেদন রচনার ক্ষেত্রে হয়তো অতীতে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার সঙ্গে তাকে যোগসূত্র রচনাও করতে হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিবেদক ইতিহাস লেখকের ভূমিকা পালন করেন।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বরাবর সড়ক দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে প্রতিবেদন
তারিখ : ২৫ / ০৪ / ২০০৮
বরাবর
সচিব মহোদয়,
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়
ঢাকা ।
বিষয় : সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেদন।
জনাব,
উল্লিখিত বিষয় ও সূত্রের মর্মানুসারে জানানো যাচ্ছে যে, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন করে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি প্রতিবেদন আপনার সমীপে পেশ করছি। সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নিরূপণের জন্যে এবং প্রতিবেদনটিকে নির্ভরযোগ্য করার জন্যে, সরেজমিনে নিম্নলিখিত তথ্যগুলোর আলোকে তার সত্যতা নিরূপণের চেষ্টা করেছি
০১. সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিভিন্ন পেশার লোকজন, যাদের নিয়মিত সড়কপথে যাতায়াত করতে হয়, এমন লোকজনের বক্তব্য (রেকর্ডসহ) ও তথ্যনুযায়ী জনমত জরিপ।
০২. বিভিন্ন দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত চালকদের সাক্ষাৎকার ও থানা কর্তৃক প্রেরিত রিপোর্ট। ০৩. ট্রাফিক, পথচারী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, যানবাহন পরিচালকদের সাক্ষাৎকার।
০৪. সরেজমিনে বিআরটিএ -এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সাক্ষাৎকার, বআরটিএ কর্তৃক প্রেরিত রিপোর্ট।
০৫. কয়েকটি এনজিও থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট ও পরিসংখ্যান। উল্লিখিত তথ্যের আলোকে বলা যায় যে, নিম্নোক্ত কারণসমূহই সড়ক দুর্ঘটনার জন্যে দায়ী
০১. চালকদের অসাবধানতা ও অদক্ষতা। ০২. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন। ০৩. রাস্তার স্বল্পতা অপ্রশস্ততা। ছাত্রাবাসের করে। ইদানীং উল্লিখিত বিষয় ও সূত্রের মর্মানুসারে জানানো যাচ্ছে যে, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন করে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি প্রতিবেদন আপনার সমীপে পেশ করছি। সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নিরূপণের জন্যে এবং প্রতিবেদনটিকে নির্ভরযোগ্য করার জন্যে,
সরেজমিনে নিম্নলিখিত তথ্যগুলোর আলোকে তার সত্যতা নিরূপণের চেষ্টা করেছি
০১. সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিভিন্ন পেশার লোকজন, যাদের নিয়মিত সড়কপথে যাতায়াত করতে হয়, এমন লোকজনের বক্তব্য (রেকর্ডসহ) ও তথ্যনুযায়ী জনমত জরিপ।
০২. বিভিন্ন দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত চালকদের সাক্ষাৎকার ও থানা কর্তৃক প্রেরিত রিপোর্ট। ০৩. ট্রাফিক, পথচারী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, যানবাহন পরিচালকদের সাক্ষাৎকার।
০৪. সরেজমিনে বিআরটিএ -এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সাক্ষাৎকার, বআরটিএ কর্তৃক প্রেরিত রিপোর্ট।
০৫. কয়েকটি এনজিও থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট ও পরিসংখ্যান। উল্লিখিত তথ্যের আলোকে বলা যায় যে, নিম্নোক্ত কারণসমূহই সড়ক দুর্ঘটনার জন্যে দায়ী-
প্রতিযোগিতামূলকভাবে গাড়ি চালানো এবং ওভারটেকিং । অভাব ও ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ করা।
০৫. প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশের
০৬. যানবাহনে ব্যবহৃত তেলে ভেজাল।
০৭. রাস্তার মধ্যে প্রয়োজনীয় ডিভাইডার না থাকা।
০৮. অনুমোদনবিহীন স্পিড ব্রেকার । ০৯. রাস্তা পারাপারে ও পথচলায় জনগণের অসতর্কতা ও অসচেতনতা।
১০. ওভারব্রিজের স্বল্পতা।
১১. অসাবধানে রাস্তা পারাপার বা রাস্তা পারাপারের নিয়ম না জানা।
১২. রিক্সা ও ভ্যানের সংখ্যাধিক্য।
১৩. ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা ও ক্ষেত্রবিশেষে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে অদক্ষ রিক্সাচালকদের রিক্সা ও ভ্যান চালনা।
১৪. বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না করে যখন তখন যেখানে সেখানে রাস্তা খোঁড়াখুড়ি।
১৫. সড়ক পরিবহনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক ধরনের কর্মচারীদের দুর্নীতি। এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনার জন্যে ছোটখাট আরও নানাবিধ কারণ রয়েছে।
সুপারিশ : বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় অনেক বেশি। উন্নত বিশ্বের
তুলনায় আমাদের দেশের সড়ক দুর্ঘটনার হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি বলে তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়। বিআরটিএ-র এক জরিপ মতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ছাড়াও বছরে দেড় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়।

উল্লিখিত কারণসমূহ নিরসনকল্পে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের এগিয়ে আসা খুবই জরুরি।
০১. সাবধানে গাড়ি চালনার জন্য চালকগণকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধ রিকশার অনুপ্রবেশ রোধ
০২. অনির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং বন্ধ
০৩. গাড়ির লাইসেন্স প্রদানে জালিয়াতি রোধ করা।
০৪. ফিটনেস সার্টিফিকেটবিহীন গাড়ি প্রতিরোধ করা।
০৫. ফুটপাত হকারদের দখলমুক্ত করে পথচারী চলাচলের উপযোগী করে তোলার বিষয়গুলো মাথায় রেখে গোটা ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন ঘটানো, প্রশস্ত রাস্তাঘাট তৈরি, চালকদেরকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অবগত করানো অপরিহার্য। অন্যথা সড়ক দুর্ঘটনা দিনের পর দিন আরও বাড়তে থাকবে, যা দেশ ও জাতির জন্যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
বিনীত
যুগ্ম সচিব, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
আরও দেখুন: