মাসি পিসি প্রবন্ধ বিশ্লেষণ || মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

মাসি পিসি প্রবন্ধ এইচএসসি বাংলা, আলিম ক্লাস বাংলা প্রথম পত্রের, সাহিত্যপাঠ বই এর অংশ।

 

মাসি পিসি প্রবন্ধ

 

মাসি পিসি প্রবন্ধ এর লেখক পরিচিতি ঃ

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বিহারের সাওতাল পরগনার দুমকায় ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ মে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতার নাম নীরদাসুন্দরী দেবী। তার পিতৃপ্রদত্ত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাকনাম মানিক। বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে তিনি পড়াশোনা করেন। মাত্র আটচল্লিশ বছর তিনি বেঁচেছিলেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএসসি পড়ার সময়ে মাত্র বিশ বছর বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে তিনি প্রথম গল্প “অতসীমামী লিখে খ্যাতি অর্জন করেন।

তারপর জীবনের বাকি আটাশ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে লিখে গেছেন। মাঝে বছর তিনেক মাত্র তিনি চাকরি ও ব্যবসায়িক কাজে নিজেকে জড়ালেও বাকি পুরো সময়টাই তিনি সার্বক্ষণিকভাবে সাহিত্যসেবায় নিয়োজিত ছিলেন। উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক হিসেবে মানিক বাংলা সাহিত্যে খ্যাতিমান। অল্প সময়েই প্রচুর গল্প-উপন্যাস সৃষ্টি করেন। সেই সঙ্গে লিখেছেন কিছু কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ ও ডায়েরি। বিজ্ঞানমনস্ক এই লেখক মানুষের মনোজগৎ তথা অন্তর্জীবনের রূপকার হিসেবে সার্থকতা দেখিয়েছেন। একই সঙ্গে সমাজবাস্তবতার শিল্পী হিসেবেও স্বাক্ষর রেখেছেন।

জননী, দিবারাত্রির কাব্য, ‘পদ্মানদীর মাঝি, ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’, ‘চিহ্ন’ প্রভৃতি তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস। তাঁর বিখ্যাত ছোটগল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: প্রাগৈতিহাসিক, ‘সরীসৃপ’, ‘সমুদ্রের স্বাদ, ‘কুষ্ঠরোগীর বৌ, ‘টিকটিকি, ‘হলুদ পোড়া, ‘আজ কাল পরশুর গল্প, হারানের নাতজামাই, ‘ছোট বকুলপুরের যাত্রী প্রভৃতি। কলকাতায় ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের তেসরা ডিসেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

 

মাসি পিসি প্রবন্ধ

 

মাসি পিসি প্রবন্ধ এর পাঠ পরিচিতি ঃ

“মাসি-পিসি” গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় কলকাতার পূর্বাশা পত্রিকায় ১৩৫২ বঙ্গাব্দের চৈত্র সংখ্যায় (মার্চ- এপ্রিল ১৯৪৬)। পরে এটি সংকলিত হয় পরিস্থিতি’ (অক্টোবর ১৯৪৬) নামক গল্পগ্রন্থে। বর্তমান পাঠ গ্রহণ করা হয়েছে ঐতিহ্য প্রকাশিত মানিক-রচনাবলি পঞ্চম খণ্ড থেকে। স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার পিতৃমাতৃহীন এক তরুণীর করুণ জীবনকাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছে। “মাসি-পিসি” গল্প। আত্নাদি নামক ওই তরুণীর মাসি ও পিসি দুজনই বিধবা ও নিঃস্ব।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

তারা তাদের অস্তিত্বরক্ষার পাশাপাশি বিরূপ বিশ্ব থেকে আহ্লাদিকে রক্ষার জন্য যে বুদ্ধিদীপ্ত ও সাহসী সংগ্রাম পরিচালনা করে সেটাই গল্পটিকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে। অত্যাচারী স্বামী এবং লালসা-উন্মত্ত জোতদার, দারোগা ও গুন্ডা-বদমাশদের আক্রমণ থেকে আহ্লাদিকে নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে অসহায় দুই বিধবার দায়িত্বশীল ও মানবিক ও প্রশংসনীয়। দুর্ভিক্ষের মর্মস্পর্শী স্মৃতি, জীবিকা নির্বাহের কঠিন সংগ্রাম, নারী হয়ে নৌকাচালনা ও সবজির ব্যবসায় পরিচালনা প্রভৃতি এ গল্পের বৈচিত্র্যময় দিক।

 

তৈলচিত্রের ভূত । মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

 

মাসি পিসি প্রবন্ধ বিশ্লেষণ ঃ

 

আরও দেখুন:

 

Leave a Comment