মানব কল্যাণ গল্প এর ব্যাখ্যা || আবুল ফজল

মানব কল্যাণ গল্প এর ব্যাখ্যা বিষয়টি এইচএসসি বাংলা, আলিম ক্লাস বাংলা প্রথম পত্রের, সাহিত্যপাঠ বই এর অংশ ।

 

 

মানব কল্যাণ গল্পের ব্যাখ্যা

 

উৎস পরিচিতি ( Source ):

মানব কল্যাণ- আবুল ফজল ‘ মানবতন্ত্র ‘ গ্রন্থে সংকলিত হয় । ‘ মানব – কল্যাণ ’ প্রবন্ধটি ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে রচিত । এটি প্রথমে রচনার বক্তব্যবিষয় ( Gist ) মানব – কল্যাণ ’ প্রবন্ধে লেখক জগতে মানবকল্যাণ সাধনের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন । তিনি এতে মানবকল্যাণ ধারণাটির তাৎপর্য বিচারে সচেষ্ট হয়েছেন । মানবকল্যাণের উৎস মানুষের মর্যাদাবোধ ও মানবিক চেতনা বিকাশের মধ্যে নিহিত । মানবকল্যাণের প্রাথমিক সোপান হচ্ছে মানুষের মানবিক বৃত্তি বিকাশের ক্ষেত্র রচনা । মানুষের মধ্যকার সাম্প্রদায়িক দ্বিধা – বিভক্তি নিয়ে মানবকল্যাণ সাধন করা সম্ভব নয় ।

মানবকল্যাণ বলতে লেখক মূলত মানুষের ব্যবহারিক জীবনের কল্যাণকে বুঝিয়েছেন । সাধারণভাবে অনেকে দুস্থ মানুষকে করুণাবশত দান – খয়রাত করাকে মানবকল্যাণ মনে করে । কিন্তু লেখকের মতে এমন ধারণা খুবই সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক । তাঁর মতে মানব – কল্যাণ হলো মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস । এই কল্যাণের লক্ষ্য সব অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানো । লেখকের বিশ্বাস , মুক্তবুদ্ধির সহায়তায় পরিকল্পনামাফিক পথেই কল্যাণময় পৃথিবী রচনা করা সম্ভব ।

 

মানব কল্যাণ গল্প এর ব্যাখ্যা

 

পাঠ পরিচিতি:

মানব কল্যাণ- আবুল ফজল প্রবন্ধটি ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে রচিত । এটি প্রথম ‘ মানবতন্ত্র ‘ গ্রন্থে সংকলিত হয় । এই রচনায় লেখক মানব কল্যাণ ধারণাটির তাৎপর্য বিচারে সচেষ্ট হয়েছেন । সাধারণভাবে অনেকে দুস্থ মানুষকে করুণাবশত দান – খয়রাত করাকে মানব কল্যাণ মনে করেন । কিন্তু লেখকের মতে , এমন ধারণা খুবই সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক । তাঁর মতে , মানব কল্যাণ হলো মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস । এ কল্যাণের লক্ষ্য সকল অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানো । লেখকের বিশ্বাস , মুক্তবুদ্ধির সহায়তায় পরিকল্পনামাফিক পথেই কল্যাণময় পৃথিবী রচনা করা সম্ভব ।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

লেখক পরিচিতি :

শিক্ষাজীবন : আবুল ফজল ১৯০৩ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রামের জন্মগ্রহণ করেন । গ্রামের প্রাইমারি পড়ার পর চট্টগ্রাম শহরে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হন । পরে ১৯১৩/১৪ সালে চট্টগ্রাম সরকারি মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন । ১৯২৩ সালে ম্যাট্রিক, ১৯২৫ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন । তিনি ১৯২৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন । ১৯৪০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন ।

কর্মজীবন : শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৩১ সালে মসজিদে ইমামতির মাধ্যমে পেশাগত জীবন শুরু করেন । চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল , চট্টগ্রাম সরকারি মাদরাসা ও চট্টগ্রাম কাজেম আলী বেসরকারি হাইস্কুলে চাকুরী করেন । ১৯৩৩ সালে তিনি খুলনা জেলা স্কুলে দ্বিতীয় পণ্ডিতের পদে স্থায়ীভাবে যোগ দেন । ১৯৩৭ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে সহকারী ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন । ১৯৪১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর কলেজে বাংলা বিষয়ের লেকচারার পদে যোগদান করেন ।

সেখান থেকে ১৯৪৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজে বদলি হন এবং সেখান থেকেই ১৯৫৬ সালে অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন । ১৯৭৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে যোগদান করেন । ১৯৭৫ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭৭ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন ।

সাহিত্য সাধনা : মানব কল্যাণ- আবুল ফজল কথাশিল্পী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করলেও তিনি ছিলেন মূলত চিন্তাশীল প্রাবন্ধিক । স্বদেশপ্রেম , দায়িক চিন্তা – চেতনা , সত্যনিষ্ঠা , মানবতা ও কল্যাণবোধ ছিল তাঁর সাহিত্যকর্মের প্রতিপাদ্য বিষয় । তাঁর প্রবন্ধে সাহিত্য , সংস্কৃতি , সমাজ ও রাষ্ট্র সম্পর্কে গভীর ও স্বচ্ছ দৃষ্টির পরিচয় বিধৃত । আধুনিক অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ , স্বদেশ মানবতা ও শুভবোধ তাঁর সাহিত্যকর্মের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় । আবুল ফজল উপন্যাস , ছোটগল্প , নাটক , মাতৃকথা , ধর্ম , ভ্রমণকাহিনী ইত্যাদি বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেন ।

 

আবুল ফজল মানব কল্যাণ গল্প এর ব্যাখ্যা || আবুল ফজল

 

 

মানব কল্যাণ গল্পের ব্যাখ্যা :

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment