মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকলিপি রচনা | নিমন্ত্রণ পত্র | ভাষা ও শিক্ষা ,নিমন্ত্রণপত্রে অংশটি হয় তথ্য বহুল । সারসংক্ষেপে, অনুষ্ঠানের ধরন , সময়সূচী , স্থান প্রভৃতি উল্লেখিত থাকে পত্রের এই অংশে । তাই এটাকে পত্রের মূল অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় । বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে , অনুষ্ঠানের বিষয় ও সময়ের পাশাপাশি উপস্থিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও দর্শক হিসেবে কারা উপস্থিত থাকবেন সংক্ষেপে এসব তথ্য ও উল্লেখ থাকে ।
বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্রের ক্ষেত্রে , বর ও কনের পরিচিতি , কোন সময় শিক্ষাগত যোগ্যতা , ঠিকানা প্রকৃতি উল্লেখ থাকে । নিমন্ত্রণ পত্র লেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে , পত্রের ভাষা যেন সহজ ও বোধগম্য হয় । প্রয়োজনীয় তথ্য যেন উল্লেখ থাকে । এছাড়াও এ ধরনের পত্রের ভাষায় বিনীত ভঙ্গি প্রকাশ পাওয়া জরুরি ।
ত্রের এই অংশে , প্রাপক কে বিনীতভাবে উপস্থিতির জন্য অনুরোধ জানানো হয় | এ অংশের শেষভাগে , বিনীত নিবেদক লেখার পর প্রেরকের নাম উল্লেখ থাকে । নিমন্ত্রণপত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো , অনুষ্ঠানে তারিখ অনুষ্ঠানে উদ্দেশ্যে নির্ধারিত স্থান । প্রচলিত রীতি অনুযায়ী , নিমন্ত্রণপত্রে সর্ববামে তারিখ এবং নিমন্ত্রণের প্রেরণকারীর নামের নিচে ঠিকানা লেখার নিয়ম রয়েছে । তবে সময়ের সাথে সাথে , অধুনা এই যুগে এ নিয়মে কিঞ্চিৎ পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা যায় । বর্তমানে , তারেক এবং ঠিকানা নিমন্ত্রণ পত্রের বামদিকে লেখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ।

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকলিপি রচনা
তারিখ : ১০ আগস্ট, ২০০০
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
বিষয় : … কলেজের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কিত স্মারকলিপি
জনাব,
যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নিবেদন এই যে, আমরা … সরকারি কলেজের দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন জটিল সমস্যার ভেতর দিয়ে লেখাপড়া করছি। আমাদের ব্যক্তিজীবন, প্রতিষ্ঠান, দেশ ও জাতির স্বার্থে অনতিবিলম্বে এসব সমস্যার সমাধান করে শিক্ষা কার্যক্রমকে অর্থবহ ও কল্যাণকর করার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
১. সম্প্রতি কলেজটিকে সরকারি করা হলেও এখন পর্যন্ত কলেজের উন্নয়নকল্পে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় নি। কলেজের যে কটি ভবন রয়েছে তাতে ২০০০ শিক্ষার্থীর স্থান সঙ্কুলান হয় না। দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের দাবির মুখে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করলেও তা অর্ধনির্মিত অবস্থায় ফেলে রেখেছেন। এমতাবস্থায় অবিলম্বে ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা আবশ্যক।
২. প্রতিটি বিষয়ের জন্যে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষকের অভাবে প্রায়ই ক্লাস বন্ধ থাকে, তাই অনতিবিলম্বে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করা অনিবার্য হয়ে দেখা দিয়েছে।
৩. কলেজের বিজ্ঞানাগারে আধুনিক কোনো যন্ত্রপাতি নেই যা দিয়ে ব্যবহারিক ক্লাস চালানো যায়। এতে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষার অপূর্ণতা থেকে যাচ্ছে এবং পরীক্ষায় সর্বোত্তম ফলাফল দেখানো সম্ভবপর হচ্ছে না।
৪. প্রয়োজনীয় ক্রীড়াসামগ্রী এবং কলেজের গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরি প্রয়োজন। বর্তমান বাজারে বইয়ের উচ্চমূল্যের প্রেক্ষিতে ছাত্রছাত্রীদের উপকারের জন্য গ্রন্থাগারটিকে পাঠ্যবই ও রেফারেন্স বই সমন্বিত একটি বুক ব্যাংকে রূপান্তরিত করা দরকার।
ঐতিহ্যবাহী এ মহাবিদ্যালয়ে এসব সমস্যার সমাধান করে এতদঞ্চলের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পথ সুগম করার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিনীত,
আপনার গুণমুগ্ধ ছাত্রছাত্রীবৃন্দ
সরকারি কলেজ, দেবিদ্বার, কুমিল্লা।