বর্ণনানুক্রমে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার বর্ণনা পর্ব ১০ | ভাষাকোষ | শানজিদ অর্ণব

বর্ণনানুক্রমে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার বর্ণনা পর্ব ১০ – ওল্ড নর্স (Old Norse): ভাইকিংদের এ ভাষা একটি উত্তর জার্মান ভাষা। একদা স্ক্যান্ডিনেভিয়া, দ্য ফারো আইল্যান্ড, আইসল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড এবং রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবহৃত হতো এ ভাষা। ওন্ড নর্স ভাষার উত্তরাধিকার এখন আইসল্যান্ডিক ভাষা।

ওল্ড নর্স ভাষায় আইসল্যান্ডে রচিত হয়েছে পৌরাণিক কাহিনী, দেবতাদের উদ্দেশে নিবেদিত কবিতা, এ অঞ্চলের বীরদের গাথা। ৮০০ থেকে ১০৫০ শতক সময়ের মধ্যে ওন্ড নর্স ইস্ট নর্স এবং ওয়েস্ট নর্স নামক দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ইস্ট নর্স থেকে উদ্ভব ঘটে সুইডিশ ও ড্যানিশ ভাষার এবং ওয়েস্ট নর্স থেকে উদ্ভব হয় নরওয়েজিয়ান, ফারোয়েজ, আইসল্যান্ডিক এবং নর্ন নামের একটি ভাষার। নর্ন ভাষা এখন বিলুপ্ত।

বর্ণনানুক্রমে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার বর্ণনা পর্ব ১০

 

বর্ণনানুক্রমে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার বর্ণনা পর্ব ১০ | ভাষাকোষ | শানজিদ অর্ণব

 

ওনেইদা (Oneida)

এটি নর্দার্ন ইরোগুয়োইয়ান (Northern Iroguoian) ভাষা। যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার রেড ইন্ডিয়ানদের ওনেইদা গোষ্ঠীর প্রায় ২০০ সদস্য এ ভাষায় কথা বলে। ভাষাটির নামের অর্থ ‘People of the standing Stone’|

ওরোমো (Oromo)

এটি একটি কুশিটিক (Cushitic) ভাষা। আফ্রিকার ৩য় বৃহত্তম ভাষা ওরোমো। ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া এবং মিসরের প্রায় ৩ কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলেন। ওরোমো ইথিওপিয়ার সব থেকে বড় নৃ-গোষ্ঠী এবং দেশটির জনসংখ্যার মোট ৪০ শতাংশ ওরোমো জনগণ।

১৯৭০ সালে ওরোমো লিবারেশন ফ্রন্ট ল্যাটিন বর্ণমালাকে এ ভাষা লেখার আদর্শ বর্ণমালা হিসেবে গ্রহণ করে। ১৯৯১ সালের ৩ নভেম্বর ওরোমো লিবারেশন ফ্রন্ট প্রায় ২ হাজার ওরোমো বুদ্ধিজীবীকে নিয়ে একটি সভা করে এবং এই সভায় ওরোমো লেখায় ল্যাটিন বর্ণমালাকে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।

ওসাজ (Osage)

সিউয়ান (Siouan) এ ভাষায় কথা বলেন ওকলাহোমার ১৫ থেকে ২০ জন আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ান। ২০ শতকে এ ভাষা ধ্বংস হতে থাকে। বর্তমানে ওসাজ নেশন এ ভাষাকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে, প্রায় ৩০০ জন এ ভাষা শেখার জন্য পড়াশোনা করছেন।

ওশিওয়ামবো (Oshiwambo)

এ বান্টু ভাষায় কথা বলেন নামিবিয়া এবং অ্যাঙ্গোলার প্রায় ৮ লাখ মানুষ। এ ভাষার পাছে তিনটি উপভাষা Kwanyama, Ndonga ও Kwambi। নামিবিয়ায় এ ভাষায় রেডিও অনুষ্ঠান হয়।

ওসেটিয়ান (Ossetian)

এটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার উত্তর-পূর্ব ইরানীয় শাখার সদস্য। রাশিয়া, জর্জিয়া এবং ওসেটিয়ার প্রায় ৫ লাখ মানুষ এ ভাষায় কথা বলেন। এ ভাষার প্রধান দুটি উপভাষা হলো Iron এবং Jassic। এটি নর্থ ও সাউথ ওসেটিয়ার দাপ্তরিক ভাষা।

ওটোমি (Otomi)

Oto-Manguean এ ভাষায় কথা বলেন মেক্সিকোর প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। Otomi নামের অর্থ Shooter of birds। ২০০৩ সালে আরও ৬১টি আদিবাসী ভাষার সঙ্গে ওটোমি মেক্সিকোর জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

পামা (Paama)

অস্ট্রোনেশীয় এ ভাষায় কথা বলেন ভানুয়াতুর পামা আইল্যান্ড ও অন্যান্য অংশের প্রায় ৭ হাজার মানুষ। এটি মালয়া-পলিনেশীয় ভাষার ওসেনিক শাখার সদস্য।

পালাউয়ান (Palauan)

এটি অস্ট্রোনেশীয় ভাষার Sunda-Sulawesi শাখার সদস্য। পালাউ, নর্দার্ন মারিয়ানা আইল্যান্ডের প্রায় ১৪ হাজার মানুষ এ ভাষায় কথা বলেন। এটি পালাউয়ের দাপ্তরিক ভাষা। পালাউ অর্থোগ্রাফি কমিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াইয়ের একদল ভাষাবিদ এ ভাষা লেখার জন্য ল্যাটিনভিত্তিক একটি বর্ণমালা তৈরি করেছেন।

পিপিল (Pipil)

উতো-আজটেকান (Uto-Aztecan) এ ভাষায় কথা বলেন এল সালভাদরে প্রায় তিন হাজার মানুষ। ১৯৯০ সাল থেকে এ ভাষাকে পুনরুজ্জীবিত করার স্থানীয় উদ্যোগ শুরু হয়। সরকারি সাহয্য ছাড়া মাঠ পর্যায়ে চলেছে এ উদ্যোগ। ফলে ১৯৮০ সালে ২০০ পিপিলভাষী থেকে ২০০৯ সালে তিন হাজারে পৌছায়।

এ ভাষা আজটেকদের নাহুয়াতল (Nahuatl) ভাষার বংশধর। নাহুয়াতল ভাষী আজটেকরা ৯০০ খ্রিস্টাব্দে ওলমেকদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে মেক্সিকো থেকে এল সালভাদরে পালিয়ে আসে। সময় বয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে নাহুয়াতল ভাষা বদলাতে থাকে এ নতুন আবাসভূমিতে। এক সময় জন্ম হয় নতুন পিপিল ভাষার।

পালি (Pali)

ধারণা করা হয়। খৃষ্টপূর্ব ২০০০ অব্দে আর্য ভাষাভাষীরা উত্তর ভারতে বসবাস শুরু করে। এরপর উত্তর ভারতের পূর্বাঞ্চলে প্রচলন হয় মাগধি ভাষার। এই মাগধি ভাষা থেকে সাহিত্যের ভাষা হিসেবে পালি ভাষার উদ্ভব হয়। বলা হয়ে থাকে, পালি ভাষাতেই গৌতম বুদ্ধ ধর্মপ্রচার করেছিলেন। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ‘ত্রিপিটক’ এ পালি ভাষায় লিখিত।

পালি ভাষার উদ্ভব নিয়ে পণ্ডিতমহলে আরও কিছু মতবাদ প্রচলিত আছে। T.W.Rhels Davids এবং Wilhelm Geieger এর মতে, পালি ভাষার উদ্ভব স্বয়ং গৌতম বুদ্ধের হাত ধরে। বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের মধ্যে একটি সাধারণ ভাষা বা লিংগুয়া ফ্রাংকা তৈরির জন্যই গৌতম বুদ্ধের সময়ে পালি ভাষা ব্যবহৃত হতো। অন্যদিকে, R.C. Childers এর মতে, পুরনো মাগধি ভাষাই হলো পালি ভাষা। সম্রাট অশোকের শিলালিপির অনেকগুলো পালি ভাষায় লিখিত। পালি ভাষার নিজস্ব লিপি নেই।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

পাংগাজিনান (Pangasinan)

ফিলিপাইনের আইল্যান্ড অব লুজনের দক্ষিণে অবস্থিত পাংগাজিনান প্রদেশের প্রায় ১৫ লাখ মানুষ এ ভাষায় কাথা বলেন।। অস্ট্রোনেশীয় এ ভাষাটি মালয়া- পলিনেশীয় ভাষা পরিবারের ফিলিপাইন শাখার সদস্য। ১৫৭১ সালে এ অঞ্চলে স্প্যানিশ দখলদারিত্বের পর থেকে ল্যাটিন বর্ণমালায় লেখা শুরু হয় এ ভাষা।

ফার্সি (Persian)

ফার্সি ভাষা লেখা হয় অনেক বর্ণমালা ব্যবহার করে। এর মধ্যে আছে ওল্ড পার্সিয়ান কুনিফর্ম, পত্নবী, আরামায়িক, আবেস্তান, সিরিলিক এবং ল্যাটিন। ৬৪২ খ্রিস্টাব্দে পারস্যে ইসলামী রাজত্ব কায়েম হলে আরবি ভাষা হয় সরকার, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ভাষা।

আধুনিক ফার্সি ভাষার উদ্ভব হয় ৯ম শতকে। আরবি বর্ণমালায় লিখিত এ ভাষায় স্থান পায় আরবি থেকে উদ্ভুত অসংখ্য শব্দ। মোঙ্গল এবং তুর্কি শাসকদের রাজত্বকালে ফার্সি সরকারি ভাষা হিসেবে চালু হয় তুরস্ক, মধ্য এশিয়া এবং ভারতে। ভারতে এ ভাষা ব্যবহার হয়েছে কয়েক শতাব্দী ধরে। কাশ্মীরে এ ভাষা ১৯০০ সালে এসেও চালু ছিল।

ফার্সি ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর ইরানীয় শাখার সদস্য। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ১০ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এ ভাষায় কথা বলেন। ভাষাটি প্রধানত ব্যবহৃত হয় ইরান, আফগানিস্তান এবং তাজিকিস্তানে। এর বাইরে ব্যবহার হয় উজবেকিস্তান, বাহরাইন, ইরাক, তুরস্ক, কুয়েত, আজারবাইজান, ইসরায়েল, তুর্কমেনিস্তান, ওমান, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তাজিকিস্তানে ফার্সি ভাষার একটি রূপ ব্যবহৃত হয় যা তাজিকি (Tajiki) নামে পরিচিত। এ ভাষার নামের উচ্চারণ পারসি না ফার্সি এ নিয়ে মতভেদ আছে বিভিন্ন মহলে।

পাপিমেন্টো (Papiamento)

এটি একটি ক্রেয়ল ভাষা। স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, ডাচ, ইংরেজি এবং ফ্রেঞ্চ ভাষা থেকে বিভিন্ন উপাদান নিয়ে তৈরি হয়েছে এ ক্রেয়ল। আইসল্যান্ডস অব দ্য নেদারল্যান্ডস অ্যানটিলেজের প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ এ ভাষায় কথা বলেন। এ দ্বীপগুলোতে এ ভাষার অফিসিয়াল মর্যাদা আছে। ভাষাটি মূলত মৌখিক। আদর্শ কোনো লিখন পদ্ধতি নেই। বিভিন্ন দ্বীপে লেখা ও বলার ধরনে পার্থক্য আছে। ১৯৩০ সাল থেকে এ ভাষায় সাহিত্যচর্চা শুরু হয়।

পশতু (Pashto)

এটি ইন্দো-ইরানীয় ভাষার দক্ষিণ পূর্ব ইরানীয় শাখার সদস্য। আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ইরানে ব্যবহৃত হয় এ ভাষা। এ ভাষার তিনটি ধরন বা প্রকার রয়েছে-উত্তরাঞ্চলীয় পশতু, দক্ষিণাঞ্চলীয় পশতু এবং মধ্যাঞ্চলীয় পশতু। এ ভাষা ব্যবহার করেন প্রায় ৫ কোটি মানুষ।

১৯৩৬ সালে রাজকীয় আদেশে পশতু আফগানিস্তানের জাতীয় ভাষায় পরিণত হয়। ১৬ শতকে আরবি বর্ণমালার একটি ভার্সন দিয়ে এ ভাষা প্রথম লিখিত হয়। উত্তর আফগানিস্তানে পশতুভাষীদের বলা হয় ‘পাখতুন’, দক্ষিণ আফগানিস্তানে ‘পশতুন’ এবং পাকিস্তানে ‘পাঠান’ বা ‘আফগান’।

 

বর্ণনানুক্রমে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার বর্ণনা পর্ব ১০ | ভাষাকোষ | শানজিদ অর্ণব

 

পিডমনটিজ (Piedmontese)

এ রোমানস (Romance) ভাষায় কথা বলেন ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। ভাষাটির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না থাকায় এর ব্যবহার বয়স্কদের মধ্যেই বেশি। তরুণরা এ ভাষা ব্যবহারে আগ্রহী না হওয়ায় ক্রমেই ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে এ ভাষা। এ ভাষা লিখিত রূপ পায় ১২ শতকে। প্রাথমিক লিখিত নিদর্শনের সব থেকে উল্লেখযোগ্য ‘Sermones Subalpini’ নামক ধর্মীয় রচনা। ১৮ শতকে এ ভাষার ব্যাকরণ প্রকাশিত হয়। ১৮৫০-১৯৬০ সময়কাল এ ভাষার থিয়েটার এবং গানের স্বর্ণযুগ।

পিরাহা (Piraha)

ধারণা করা হয় এটি Mura ভাষা পরিবারের সর্বশেষ জীবিত সদস্য। ব্রাজিলের মাইসি নদীর তীরবর্তী প্রায় ১৫০ জন মানুষ এ ভাষায় কথা বলেন। এ ভাষার সংখ্যা আছে মাত্র দুটি ‘এক’ এবং ‘দুই’। আলো এবং অন্ধকার ব্যতীত কোনো রঙের নাম নেই।

পিটজানজাজারা (Pitjantjatjara)

এটি Pama-Myungan ভাষার পশ্চিম মরু শাখার সদস্য। অস্ট্রেলিয়ার মধ্যাঞ্চলের প্রায় তিন হাজার মানুষ এ ভাষায় কথা বলেন। পিটজানজরো ভাষীরা নিজেদের পরিচয় দেন ‘Anangu’ (মানুষ) নামে। ১৯৪০ থেকে ল্যাটিন বর্ণমালা দিয়ে এ ভাষা লিখিত হচ্ছে।

পোনপেইন (Pohnpeian)

মাইক্রোনেশীয় এ ভাষায় কথা বলেন মাইক্রোনেশিয়ার Pohnpei Island এবং Caroline Island-এর প্রায় ২৯ হাজার মানুষ। এ ভাষা লেখা হয় ল্যাটিন বর্ণমালায়। এর বানান পদ্ধতি তৈরি করেন একজন জার্মান মিশনারি।

পোলিশ (Polish)

এটি পশ্চিম স্লাভ (Western Slavic) ভাষা। পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং বেলারুশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলেন। এ ভাষার প্রথম লিখিত নিদর্শন “Gneizno Papal bull” এটি লেখা হয় ১১৩৬ সালে। প্রথম লিখিত পোলিশ বাক্যটি ছিল ‘Day ut ia pobrusa a ti poziwai’ (I shall grind [the corn] in the quern and you’ll rest)।

পোলিশ ভাষার দুজন বিখ্যাত কবি হলেন Jan kochanowski (1530-84), Adam Mickiewicz (1798-1855)। এ ভাষার স্থানীয় নাম Polski (Polish), Jezyk Poliski (The Polish Language) বা Polszctyzna (Polish) এবং Polszczyzna (Polish)।

পর্তুগিজ (Portuguese)

রোমানস (Romance) এ ভাষায় কথা বলেন প্রায় ২৪ কোটি মানুষ, যার বেশিরভাগ বাস করেন ব্রাজিল এবং পর্তুগালে। পর্তুগিজ ভাষা ল্যাটিনের বংশধর। ইবেরিয়ান উপদ্বীপে ল্যাটিন ভাষার আগমন ঘটে ২১৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমান সৈনিকদের মাধ্যমে। স্বতন্ত্র পর্তুগিজ ভাষার নিদর্শন প্রথম পাওয়া যায় খ্রিস্টীয় ৯ম শতকের বিভিন্ন প্রশাসনিক দলিল থেকে।

১২৯০ সালের আগ পর্যন্ত সাধারণভাবে এ ভাষা ভালগার ল্যাঙ্গুয়েজ নামে পরিচিত ছিল। ১২৯০ সালে রাজা ডেনিস এ ভাষাকে পর্তুগিজ হিসেবে নামকরণ এবং দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার সংক্রান্ত ডিক্রি জারি করেন। ২০০৯ সালে পর্তুগিজ ভাষা ব্যবহার হয় এমন সব দেশে একই বানান পদ্ধতি প্রচলনের জন্য ব্রাজিলে একটি নতুন বানানরীতি গ্রহণ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment