‘বিধি নাই নাহিক বিধাতা সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।
Table of Contents
বিধি নাই নাহিক বিধাতা সারাংশ সারমর্ম লিখন
বিধি নাই নাহিক বিধাতা … রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।
বিধি নাই নাহিক বিধাতা কবিতা
দুঃখী বলে, ‘বিধি নাই নাহিক বিধাতা;
চক্রসম অন্ধ ধরা চলে।’
সুখী বলে, – “কোথা দুঃখ, অদৃষ্ট কোথায়? ধরণী নরের পদতলে।’
জ্ঞানী বলে, — ‘কার্য আছে, কারণ দুর্ভেয়;
এ জীবন প্রতীক্ষা কাতর। ভক্ত বলে,— ‘ধরণীর মহারসে সদা
ক্রীড়ামত্ত রসিক শেখর। ঋষি বলে, — ‘ধ্রুব তুমি, বরেণ্য ভূমান। ‘
কবি বলে, — ‘তুমি শোভাময়। গৃহী
আমি,— ‘জীবযুদ্ধে ডাকি হে কাতরে, দয়াময় হও হে সদয়।’

বিধি নাই নাহিক বিধাতা সারমর্ম :
বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে সবাই তার স্বীয় সত্তা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এ জন্যে কারও মনের সঙ্গে কারও মনের কোন মিল নেই। পার্থিবজীবনেও প্রতিটি মানুষ ভিন্ন ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয় বলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও বৈচিত্র্য আসে। ফলে স্রষ্টাকে উপলব্ধি করার মধ্যেও ভিন্নতা থাকে।
সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:
সারাংশ সারমর্ম বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।
শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।
আরও দেখুন: