Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্যে আবেদনপত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্যে আবেদনপত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা ,বাংলা দরখাস্ত কাজের সুবিধার্তে অনেক সময় বিভিন্ন প্রকারের আবেদন পত্র লিখতে হয়। কিন্তু সঠিকভাবে বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানার অভাবে আমরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে দরখাস্ত বা আবেদন লেখার নিয়ম জেনে নিতে হয়। বিশেষ ভাবে চাকরি প্রার্থীগণ চাকরির আবেদন বা চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সঠিকভাবে না জানার কারনে অনেক সমস্যায় পড়েন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, লজ্জার কারনে এ বিষয়ে অন্যের দ্বারস্ত হয়ে পরামর্শও নেন না। যার ফলে একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ভালোমানের দরখাস্ত লেখাও হয় না। এতে করে চাকরির আবেদনটি কর্তৃপক্ষের নিকট পছন্দ হয় না।

 

 

দরখাস্ত লেখার বিভিন্ন প্রকার ফরমেট রয়েছে। কেউ অফিসের প্রয়োজনে বা অফিস থেকে ছুটি নিতে দরখাস্ত লিখছেন, কেউ বা আবার চাকরির দরখাস্ত লিখছেন, আবার শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনে স্কুল-কলেজের প্রধান বরাবরে দরখাস্ত লিখছেন। যদিও কাজের ধরন অনুয়ায়ী আবেদন ভিন্ন ভিন্ন হয় তবে আপনি যদি একটি আবেদন বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম সঠিকভাবে আয়ত্বে আনতে পারেন, তাহলে যেকোন প্রকারের দরখাস্ত লিখতে অপনার সমস্যা হবে না।একটি নির্দিষ্ট গঠন কাঠামো- নিয়ম অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে যে পত্রের মাধ্যমে আবেদন করা হয়, তাদেরকে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র বলা হয়ে থাকে।

 

 

বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করার ক্ষেত্রে আমরা এধরনের পত্রের ব্যবহার করে থাকি। প্রাতিষ্ঠানিক, দাপ্তরিক নানা প্রয়োজনে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের করা দরখাস্ত, অফিসে ছুটির জন্য আবেদন, চাকরির আবেদন পত্র সহ নানা বিষয়ে এধরনের পত্র লেখা হয়ে থাকে।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্যে আবেদনপত্র

জনাব,

আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে প্রকাশের জন্য ‘নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ চাই’ শিরোনামে একটি চিঠি পাঠাচ্ছি।

আশা করি, এলাকার সমস্যাভিত্তিক চিঠিটি প্রকাশে আমরা আপনার আনুকূল্য থেকে বঞ্চিত হব না।

বিনীত

দেবিদ্বার, কুমিল্লা।

লক্ষ্মিপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ চাই কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ‘লক্ষ্মীপুর’ একটি সমৃদ্ধ জনপদ। এ গ্রামের প্রায় ৫০% লোক শিক্ষিত। এদের অধিকাংশই চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী। এছাড়াও এ-গ্রামে প্রায় ২ শত লোক বিদেশে কর্মরত। এ-গ্রামে একটি উচ্চ বিদ্যালয়, ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি ব্যাংক, ২টি গভীর নলকূপ, কয়েকটি অগভীর নলকূপ, ৫টি চালের কল ও একটি বাজার রয়েছে।

কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকাতে ছাত্র-ছাত্রীর লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে এবং চালের কলগুলো ডিজেলে চালাতে গিয়ে কৃষকগণ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে টেলিভিশন ও বিনোদনমূলক ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করা যাচ্ছে না। তাছাড়া চোর-ডাকাতের উপদ্রবও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই গ্রামটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। উল্লেখ্য, পাশের গ্রামে বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকায় এ-গ্রাম পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বিশেষ কোনো অসুবিধা হবে না। এলাকার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মহোদয়ও এ-বিষয়টিকে সমাধানের জন্যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু কোনো সুফল এলাকাবাসী দেখতে পায় নি। স্থানীয় জনগণ এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন নিবেদন করেও কোনো ফল পায় নি। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

গ্রামবাসীদের পক্ষে-

দেবিদ্বার, কুমিল্লা।

আরও দেখুন:

Exit mobile version