Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব | বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার

বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব | বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার ,  ভূমিকা : বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। গত একশ বছরে বিজ্ঞানের বিস্ময়কর, অকল্পনীয় ও ব্যাপক অগ্রগতি ঘটেছে। তার ফলে বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে তো বটেই আমাদের সমাজজীবনের সর্বত্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। একুশ শতকের পৃথিবীতে বিজ্ঞানের এ প্রভাব যে আরো ব্যাপক, বহুমুখী ও সুদূরপ্রসারী হবে তাতে সন্দেহ নেই। ফলে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজজীবনের প্রায় সবক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত জ্ঞান এবং তার প্রয়োগ হয়ে পড়েছে একান্ত অপরিহার্য। এই প্রেক্ষাপটে অন্য যে কোনো বিষয়ের চেয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব বাড়ছে। বিজ্ঞান ছাড়া কোনো শিক্ষাকেই এখন পূর্ণাঙ্গ বলে বিবেচনা করা হয় না।

বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব | বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার

বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব

সেকালের মানব সমাজ : একদিন ছিল, যখন আমাদের পূর্বপুরুষ বনে-জঙ্গলে বাস করতো, পাহাড়-পর্বতে আত্মগোপন করে থাকতো, পাথরের চকমকি দিয়ে আগুন জ্বালাতো, হিংস্র জন্তুদের পাথর ছুঁড়ে ঘায়েল করতো। বিজ্ঞানের আবিষ্কার তখন অজ্ঞাত, মানুষের চিন্তাধারার পূর্ণতাপ্রাপ্তি ঘটেনি। তারপর সভ্যতার ক্রমবিকাশে মানুষের প্রয়োজনীয়তা তৃষ্ণা মিটেছে। বর্তমান যুগে বিজ্ঞানকে অস্বীকার করে বঁচা আত্মহত্যার নামান্তর মাত্র।

 

বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : বিজ্ঞান আমাদের শিক্ষা দেয়—যে শিক্ষা ধারাবাহিক বিশ্লেষণপন্থি ও বাস্তব। একটি বাস্তব কার্যকারণ নিয়মের আবিষ্কার বিজ্ঞানের কাজ। কেন হচ্ছে, কিজন্য হচ্ছে, বিজ্ঞানই বলে দিতে পারে। বিজ্ঞানের ব্যাপক বিস্তারে, বিকাশে, রূপদানে যে-কোনো জাতি বা দেশের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি নির্ভর করে। তাই বর্তমান যুগে যে দেশ যত উন্নত সে দেশ তত বিজ্ঞানের যাদুকরী শক্তিতে উন্নত। একটি দেশের শিল্প, বাণিজ্য, বড় বড় কল-কারখানা, বিরাট বিরাট বাড়ি, রাস্তাঘাট সবকিছু বিজ্ঞান শিক্ষাতেই গড়ে ওঠে।

The study of science is an end as well as a means. প্রথমত, এটা প্রকৃতির অনন্ত রহস্যের দ্বারোদ্ঘাটন করে, আবার এভাবে যে জ্ঞান আহরিত হয় তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে মানুষ দুঃখ, কষ্ট ও রোগ দূর করে, সাহিত্য ও শিল্পের বিকাশ ঘটায় এবং নানারূপ বস্তু উৎপাদন করে মানুষের জীবনে সুখ ও আরাম আনয়ন করে। বিভিন্ন শিক্ষার আবশ্যকতার এই দ্বৈত ভূমিকা বস্তুজগৎ ও মানসিক জগতের উন্নতি বিধানে সহায়তা করে থাকে। যে দেশের ধনসম্পত্তি কম ছিল, যে দেশ শিল্পায়িত হয়ে ওঠেনি বিজ্ঞানের সাহায্যে সে দেশ আজ চরম উন্নতি করেছে।

কেবল ছোট বড় industry গড়ে তোলা বিজ্ঞানের কাজ নয়, কৃষির উন্নতির জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাহায্য নেয়া হয়ে থাকে। চাষাবাদের উন্নতির জন্য, নদীর ধারা নিয়ন্ত্রণের জন্য, কুসংস্কার দূরীভূত, বেকারত্বের লাঘব ইত্যাদির জন্য বিজ্ঞানের সাহায্য গ্রহণ করা হয় । আমাদের দেশ অন্যান্য সভ্য জগতের তুলনায় অনেক পিছনে পড়ে রয়েছে।

কৃষি ও শিল্পে সেই মধ্যযুগের কর্মপন্থাই গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বর্তমান জগতের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলতে গেলে, যে ব্যাপকতর বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজন তা যেন আমরা বুঝেও বুঝি না। মধ্যযুগের প্রচারের চিন্তাভাবনা, ধ্যান-ধারণা প্রভৃতির মূলোৎপাটন বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর নির্ভর করছে। ব্যাপকভাবে বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়ার জন্য স্কুল-কলেজ খুলতে হবে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের হাতে আলাদীনের চেরাগ নেই সত্যি কিন্তু বিজ্ঞানের সাহায্যে আমরা আলাদীনের চেরাগের চেয়েও দ্রুত অসম্ভব কাজ সম্পাদন করতে পারি

একটি দেশ যদি উন্নতি ও সমৃদ্ধির সোপানে আরোহণ করতে চায়, তবে বিজ্ঞানের অনুশীলন প্রয়োজন। অবশ্য অনেক বাধা-বিপত্তি রয়েছে। সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে, আমাদের দেশের কিছুসংখ্যক লোকের দৃষ্টিভঙ্গি । বিদেশীরা চায় না উৎপাদক শক্তিরূপে আমাদের দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক । ধর্মীয় গোঁড়ামি দেশের উন্নতি সাধনের পথে এক মস্তবড় বাধা। আমাদের নির্বুদ্ধিতা ও অজ্ঞতা অগ্রগতিকে বার বার ব্যাহত করেছে। যতক্ষণ সরকার বিজ্ঞানের প্রতি দৃষ্টি না দিচ্ছেন, ততক্ষণ জাতির তথা দেশের সর্বাঙ্গীণ অগ্রগতির পথ সুগম হতে পারে না।

কারিগরি শিক্ষায় বিজ্ঞানের গবেষণা : বিজ্ঞান শিক্ষার মাধ্যমেই আমরা সবকিছু দূর করতে পারি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও কৃষি কলেজের ছাত্ররা যে শিক্ষা পায় তার ব্যাপক ব্যবহারে দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং কৃষিবিদ গড়ে উঠতে পারে। তারা যদি যথাযথ শিক্ষা পায়, তবে নতুন আবিষ্কার দ্বারা, নতুন নতুন গবেষণা দ্বারা দেশকে উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞান-শিক্ষার ফলে অজ্ঞতা দূরীভূত হয়, স্বাস্থ্যরক্ষা, দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ইত্যাদি ক্ষেত্রে জনসাধারণ ওয়াকিফহাল হতে পারে।

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের প্রভাব : বিজ্ঞানের স্পর্শে আধুনিক মানুষের পদ্ধতি গেছে পুরোপুরি বদলে । মানুষের আদিমতম পেশা যে পশুপালন ও কৃষিকাজ তাও এখন হয়ে উঠেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখন বিদ্যুৎ পৌছে যাচ্ছে। গ্রামে-গঞ্জে চলছে বিদ্যুৎচালিত শস্য ও তেল-বীজ মাড়াই কল । জমিতে পানি সেচের কাজে এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে বিদ্যুৎত্তালিত গভীর নলকূপ। জ্বালানির বিকল্প হিসেবে এবং স্বল্প পরিসরে আলো সরবরাহের জন্য ভাবা হচ্ছে বায়োগ্যাস ব্যবহারের কথা। দাঁড়টানা নৌকা রূপান্তরিত হচ্ছে ইঞ্জিনচালিত মোটর বোটে, আখ মাড়াই কলে সংযোজিত হচ্ছে ডিজেল ইঞ্জিন। এক কথায় কামার-কুমার, জেলে-তাঁতি, ছুতোর-ফিটার সব ধরনের পেশাজীবী মানুষের পেশাগত কাজে এসেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ব্যাপক পরিবর্তন। তাদের কাজের হাতিয়ারও গেছে বদলে ।

 

বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে উন্নত বীজ ব্যবহার করে শস্য, ফল ও সবজি চাষে ব্যাপক উন্নয়নের প্রচেষ্টা চলছে। তাতে সাফল্যও কম নয়। কৃত্রিম পরাগায়নের মাধ্যমে উৎপাদন করা হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল জাতের শস্য। ভিনদেশী উন্নত জাতের হাঁস-মুরগি এবং তার ডিম থেকে দেশী  হাঁস-মুরগির উন্নত প্রজাতি তৈরি হচ্ছে। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে গবাদি পশুরও প্রজাতিগত উন্নয়ন হয়েছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের ফলে এক্ষেত্রেও ঘটেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ফসল সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে।

হিমাগারের কল্যাণে আমরা মৌসুমী সবজি, ফলমূল ইত্যাদির উদ্বৃত্ত অংশ সারা বছর ধরে সংরক্ষণ ও প্রয়োজনমতো সরববরাহ করতে পারছি। পচনশীল নানা ধরনের কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণেও ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। চিংড়ি ও ব্যাঙের পা হিমায়িত ও রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। প্রধাবদ্ধ ধারণা ও কুসংস্কারের জায়গায় এখন এসেছে বিজ্ঞানসম্মত ধ্যান-ধারণা। ঝাড়ফুঁক তাবিজ-কবচের জায়গায় ব্যবহৃত হচ্ছে ওষুধপত্র। ভেদবমি থেকে বাঁচার জন্য টিকা ও ইনজেকশনের ব্যবহার বেড়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা, শিশু ও মায়ের পরিচর্যার ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানসম্মত ধারণা ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। এভাবে  সীমিত সম্পদ ও বিপুল জনসংখ্যার চাপের মধ্যেও সুন্দর করে বাঁচার যে চেষ্টা চলছে তা সম্ভব হচ্ছে বিজ্ঞানের হাত ধরেই। ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনের এ পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞান এখন কেবল কেতাবি বিদ্যা নয়। এখন প্রয়োগিক বিজ্ঞানের গুরুত্ব পেয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে নতুন ধারণা সবার জন্য বিজ্ঞান। আর এর ফলে বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব বেড়েছে সবার জন্যই।

বিজ্ঞান শিক্ষার নানা পর্যায় ও নানা উপযোগিতা আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিজ্ঞান শিক্ষা মোটামুটি তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রাথমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার কিছু ব্যবস্থা রয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞানের গুরুত্ব যথেষ্ট। মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই বিজ্ঞান এখন স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে চিকিৎসা, প্রকৌশল, কারিগরি, কৃষিবিদ্যা ইত্যাদি বিশেষায়িত বিষয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, প্রাণিবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান ছাড়াও এখন বনবিদ্যা, সামুদ্রিক বিদ্যা, জৈব রসায়ন, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইত্যাদি নানা বিষয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হয়েছে ও হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট এসব বিষয় অধ্যয়ন একদিকে যেমন বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের সাহায্য করে তেমনি জীবন ও জীবিকার নতুনতর ক্ষেত্রও সৃষ্টি হয় ।

বিজ্ঞান শিক্ষা ও কুসংস্কার দূর আমাদের সমাজের একটা বিরাট অংশ অজ্ঞানতা, কুসংস্কার ও পশ্চাৎপদ চিন্তা-চেতনায় আচ্ছন্ন। তাই সার্বিকভাবে আমাদের দেশে বিজ্ঞানমনস্কতা ও বিজ্ঞান সচেতনতার গুরুত্ব অনেক বেশি। বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে আমরা এ উত্তরণ ঘটাতে পারি। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শিক্ষার বিশেষ গুরুত্ব এই যে, তা মানুষকে যুক্তিবাদী ও বিচারবোধসম্পন্ন করে তোলে। অন্ধ আবেগ, মিথ্যা বিশ্বাস ও সর্বনাশা মূর্খতার হাত থেকে উদ্ধার করে মানুষকে আধুনিক বিশ্বের উপযোগী করে গড়ে তোলে। বিজ্ঞান শিক্ষা কুসংস্কারের জগতে তুলার সত্যের আলো। বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি এ কথা মানবেন না যে, ‘নজর লাগায় ছেলে শুকিয়ে যায় ‘কিংবা’ স্বপ্নযোগে প্রাপ্ত দৈবী ক্ষমতাসম্পন্ন পানি-পড়া খেলে ক্যান্সার ভালো হয়ে যায়। ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন লোকের চেতনা বিকাশেও বিজ্ঞান শিক্ষা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব বিজ্ঞান শিক্ষাজীবন ও জগৎ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সহায়ক। সে কারণে কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, ঐতিহাসিক, দার্শনিক, সমাজবিজ্ঞানী— সবার মধ্যে কমবেশি বিজ্ঞানমনস্কতা থাকা দরকার। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ইতিহাস-বিকৃতির হাত থেকে ঐতিহাসিককে রক্ষা করে, কবিকে রক্ষা করে আবেগের অভিরেক থেকে, দার্শনিককে বাঁচায় মতান্ধতা ও একদেশদর্শিতার হাত থেকে, সমাজবিজ্ঞানীকে দেয় সামগ্রিক বিচারবোধ।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

উপসংহার: মানবজীবন গঠন ও বিকাশের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব অবশ্যই স্বীকার্য। বৃদ্ধি আর কুশলতার চর্চা করে জীবনকে যোগ্যতর করে তোলা সম্ভব বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে। সুন্দর জীবন ও সমাজ গঠনের জন্য বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা যুগ যুগ স্বীকৃত হয়ে এসেছে। জাতীয় জীবনের অনগ্রসরতা দূর করার জন্য বিজ্ঞানের কল্যাণকর দিক সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সেজন্য বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ করা দরকার। শিক্ষার একটা বিশেষ স্তর পর্যন্ত বিজ্ঞান শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হলে জাতীয় জীবনে বিজ্ঞানের ভিত্তি সুদৃঢ় হবে। বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগে জাতি সংস্কারমুক্ত, গতিশীল ও আধুনিক যুগের উপযোগী হয়ে উঠবে তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

 

আরও দেখুন:

Exit mobile version