বাগ্ধারা ব্যবহারের ক্ষেত্র – আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিভাগের “নির্মিতি” বিষয়ের একটি পাঠ। বাগ্ধারা মূলত কথ্য ভাষার সম্পদ হলেও তা এখন আর কেবল কথ্য ভাষায় সীমাবদ্ধ নেই। সাহিত্যে তার বিচরণ . এখন যত্রতত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। কারণ, যতই দিন যাচ্ছে ততই মানুষ তার ভাষাকে আরো বেশি প্রকাশযোগ্য করার নিরলস প্রয়াস চালাচ্ছে।
বাগ্ধারা ব্যবহারের ক্ষেত্র | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা
মনের ভাবকে অল্পকথায় আরো সুন্দর ও যথাযথভাবে প্রকাশ করার জন্যে সৃষ্টি হয়েছে বাগ্ধারার। বাগ্ধারা প্রয়োগে বক্তব্য প্রকাশিত হলে অর্থ প্রকাশে বেশি সার্থকতা দেখা দেয়। বাগ্ধারা হিসেবে ব্যবহৃত শব্দাবলি সাধারণ অর্থ অতিক্রম করে বক্তব্যকে অধিকতর তাৎপর্যমণ্ডিত করে তোলে।
বাগ্ধারা ভাষার সৌন্দর্য সৃষ্টি করে, অর্থে স্পষ্টতা এবং ভাবে ব্যঞ্জনা আনে, বক্তব্য আকর্ষণীয় করে কথায় শ্রুতিমাধুর্য দান করে। তাই ভাষায় বাগ্ধারা ব্যবহারের গুরুত্ব অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। বাংলা ভাষায় বহু বাগ্ধারা রয়েছে। ~ নিচে কতকগুলো বাগ্ধারা বাক্যে প্রয়োগ করে দেখান হল :
ব্যাকরণ শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ হলো “বিশ্লেষণ” (বি + আ + ক্রি + অন) বিশেষ এবং সম্যকরূপে বিশ্লেষণ। ভাষার সংজ্ঞা প্রসঙ্গে নানান সাহিত্যিক নানান মতামত লক্ষ্য করা যায় তবে যে সমস্ত মতামতগুলি গ্রহণযোগ্য তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এর মতে, যে শাস্ত্রে কোনো ভাষাকে বিশ্লেষণ করে তার স্বরূপ আকৃতি ও প্রয়োগের নীতি বুঝিয়ে দেওয়া হয়, সেই শাস্ত্র কে বলে সেই ভাষার ব্যাকরণ।
আরও দেখুন:
- বাক্য সংকোচন বা বাক্য সংক্ষেপণ [ এককথায় প্রকাশ] | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা
- কতকগুলো পদের বিশিষ্টার্থে প্রয়োগ | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা
- শব্দ বা পদের বিশিষ্টার্থে প্রয়োগ | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা
- প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দের নমুনা | সমোচ্চারিত শব্দে অর্থভেদ বোঝাতে প্রয়োজন | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা
- বিপরীতার্থক শব্দের নমুনা | প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা