Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

বাক্য গঠনের শর্ত : আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি ও যোগ্যতা

আজকে আমরা বাক্য গঠনের শর্ত : আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি ও যোগ্যতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। যা বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি এর অন্তর্গত।

 

 

বাক্য গঠনের শর্ত : আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি ও যোগ্যতা

এক বা একাধিক পদের দ্বারা যখন বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তখন তাকে বাক্য বলে। যেমন :

লেখ।

আমি খাই ।

কাজী সব্যসাচী বই পড়েন ৷

বাক্যের পদগুলোর মধ্যে পারস্পরিক একটি সম্পর্ক বা অন্বয় থাকতে হয়, যার কারণে বক্তার মনোভাব বা বক্তব্য স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।

একটি আদর্শ বা সার্থক বাক্য তখনই গঠিত হবে যখন বাক্যটির তিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকবে। এ গুণগুলো হচ্ছে:

১. আকাঙ্ক্ষা

২. আসক্তি

৩. যোগ্যতা

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

১. আকাঙ্ক্ষা :

বাক্যের অর্থ পুরোপুরি বোঝার জন্য এক পদ শোনার পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা বা আগ্রহকে আকাঙ্ক্ষা বলে। যেমন :

পলাশ মন দিয়ে লেখাপড়া …

বললে বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণ বোঝা যায় না। আরও কিছু বলার বাকি থাকে। আরো কিছু শোনার ইচ্ছা জাগে।

যদি বলা হয় –

পলাশ মন দিয়ে লেখাপড়া করে। অথবা

পলাশ মন দিয়ে লেখাপড়া করতো। অথবা

পলাশ মন দিয়ে লেখাপড়া করবে।

তবে শোনার ইচ্ছাটি পূর্ণ হয়। আর এভাবে বাক্যও সম্পূর্ণ হয়।

 

 

২. আসক্তি :

বাক্যের অর্থসংগতি রক্ষা করে পদগুলোকে যথাযথভাবে সাজিয়ে রাখার নাম আসত্তি। যেমন :

বাবা বাজার ইলিশ থেকে এনেছেন।

এভাবে লেখা হলে বক্তব্যটির অর্থ পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে একটি সুগঠিত বাক্য হতো। তাই সার্থক বাক্যে ব্যবহৃত পদগুলোর যথাযথ অবস্থানে থাকা আবশ্যক ।

৩. যোগ্যতা :

বাক্যের অন্তর্গত পদগুলোর মধ্যে অর্থের সংগতি ও ভাবের মিলবন্ধনকে যোগ্যতা বলে। যেমন : আমরা বড়শি দিয়ে মাছ ধরি।

এটি একটি সার্থক বাক্য। কেননা এখানে পদগুলোর অর্থগত ও ভাবগত মিল রক্ষিত হয়ে তা বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু-
আমরা বড়শি দিয়ে নারকেল পাড়ি।

বললে বক্তব্যটিতে অর্থ ও ভাবের অসংগতি প্রকাশ পায়। তা বিশ্বাসযোগ্যও হয় না। কারণ বড়শি দিয়ে কেউ নারকেল পাড়ে না। সুতরাং বাক্যে পদগুলোর মধ্যে অর্থের সংগতি ও ভাবের মিল রক্ষা করা আবশ্যক। নয়তো যোগ্যতার অভাবে তা বাক্য হবে না।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version