বাংলা বানান ও উচ্চারণ বিধি

বাংলা বানান ও উচ্চারণ বিধি

 

দ্বিতীয় অধ্যায়

বাংলা বানান ও উচ্চারণ বিধি

২.১ বাংলা বর্ণমালাঃ সঠিক বর্ণরূপ ও গঠন কৌশল : ধ্বনির লিখিত রূপের নাম বর্ণ। এক একটি বর্ণকে ধ্বনির প্রতীকও বলা যায়। মানুষ ধ্বনি উচ্চারণ করে

অবলীলাক্রমে। ভাব প্রকাশের জন্য মুখে অথবা যে কোন উপায়ে ধ্বনি সৃষ্টির কৌশল আয়ত্ত করেছে মানুষ লেখা শেখার অনেক আগেই। এ ধ্বনি যখন সুস্পষ্ট অর্থবোধকতার জন্ম দিল, তখন তা ধ্বনি বিজ্ঞানের অন্তর্ভূক্ত হলো। ধ্বনি বিজ্ঞান যখন ধ্বনিয় লিখিত রূপ বা ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক উদ্ভাবনে সক্ষম হলো, তখনি তৈরি হলো বর্ণ। বর্ণ ভাষার মৌল উপাদান। বাংলায় বর্ণ বা বর্ণসমষ্টিকে অক্ষর (Syllable) বলা হয়। অঙ্কর গঠন করে শব্দ বা রূপমূল এবং তা থেকেই সৃষ্টি হয়া ভাষা। সুতরাং ভাষার মূল পরমাণু হচ্ছে ধ্বনি।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত ধ্বনি দুই প্রকার। যথা: (1) স্বরধ্বনি, (২) বানধ্বনি

(১) স্বরধ্বনি যেসব ধ্বনি অন্য ধ্বনির সাহায্যে ছাড়া পূর্ণ ও সুস্পষ্টভাবে উচ্চারিত হয়, তাকে স্বরধ্বনি বলে। ৮ (২) ব্যঞ্জনধ্বনি। যেসব ধ্বনি অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়া স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হতে পারে না, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।

বর্ণমালা

যে কোন ভাষায় ব্যবহৃত বর্ণসমূহকে একত্রে বর্ণমালা বলা হয়। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণগুলোর সমষ্টিকে বাংলা বর্ণমালা বলে। বাংলা ভাষায় মোট ৫০টি বর্ণ আছে। এদের মধ্যে স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি। বর্ণমালাকে লিপিও বলা হয়। বর্তমান বাংলা বর্ণমালা বা লিপি মহারাজ অশোকের সময়কার ব্রাহ্মলিপির ক্রম বিবর্তিত রূপ

স্বরবর্ণের বর্ণরূপ ও গঠন কৌশল।

স্বরবর্ণের সমন্বয়ে স্বরধ্বনি গঠিত হয়। বাংলায় স্বরধ্বনি চার প্রকার। যথা:

(১) মৌলিক স্বরধ্বনি ও যে স্বরধ্বনিগুলোকে আর বিশ্লেষণ করা যায় না, সেগুলোকে মৌলিক স্বরধ্বনি বলে। বাংলায় মৌলিক স্বরধ্বনি মোট ৭টি। যথা : অ, আ, ই, উ, এ এ্যাও।

(২) যৌগিক স্বরধ্বনি ঃ দ্রুত উচ্চারণের সময় পাশাপাশি দুটি মৌলিক স্বরধ্বনি থাকলে এরা একটি স্বরধ্বনিতে পরিণত

হয়। এরূপ দুটি স্বরধ্বনি একই সাথে উচ্চারিত হলে তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলে। যথা : অ + ই= ঐ, ও+উ = ধ্বনিগত দিক থেকে এগুলো হতে মোট ৩১টি যৌগিক স্বরধ্বনি হতে পারে।

(৩) অতিরিক্ত স্বরধ্বনি বাংলায় অতিরিক্ত স্বরধ্বনি মাত্র দুটি। যথা : ঈ এবং উ। এগুলোর উচ্চারণ যথাক্রমে ই এবং ‘উ’-এর মতো। তাই এদেরকে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি বলা হয়।

(৪) ব্যঞ্জন মিশ্রিত স্বরধ্বনি বাংলায় ‘খ’ ধ্বনি স্বয়ংস্বরিত ধ্বনি নয়। এর উচ্চারণ বাঞ্জন ধ্বনি ‘রি’-এর মতো।

বাক্তন মিশ্রিত উচ্চারণের জন্য একে বাঞ্জন মিশ্রিত স্বরধ্বনি বলা হয়।

এ উচ্চারণের কাল

ও পরিমাণগত দিক থেকে স্বরবর্ণ দু! প্রকার। যথা

(১) চুম্বসর : যেসব স্বরবর্ণ উচ্চারণে কম সময় লাগে, তাদরেকে চুম্বরে বা লমুম্বর বলে। যথা : অ, ই, উ, (২) দীর্ঘস্বর ঃ যেসব স্বরবর্ণ উচ্চারণে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় লাগে, সেগুলোকে দীর্ঘস্বর বলে। যথা আ. ..ড. এ.

বাংলা

ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণরূপ ও গঠন কৌশল

গঠন বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ব্যঞ্জন বর্ণ প্রধানত তিন প্রকার। যথা

(১) স্পর্শ বর্ণ (২) অন্তঃস্থ বর্ণ ও (৩) ভষ্ম বর্ণ। (১) স্পর্শ বর্ণঃ “ব” থেকে “মা পর্যন্ত বর্ণগুলোকে স্পর্শ বর্ণ

বলে। এ বর্ণগুলো উচ্চারণকালে মুখবিবরের কোন না

কোন স্থানে বাধাপ্রাপ্ত হয়। স্পর্শ বর্ণ পাঁচ ভাগে বিভক্ত। এর প্রত্যেকটি ভাগকে এক একটি বর্গ বলা হয়। যথা:

বর্গের নাম

বর্ণ

উচ্চারণের স্থান অনুসারে নাম

বর্গীয় বর্ণগুলো উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য

ট, ঠ, ড, ঢ,ণ

অনুযায়া আবার পাঁচ

ভাগে বিভক্ত। যথা:

(ক) ঘোষ বর্ণ

(ঘ) মহাপ্রাণ ব

(খ) অঘোষ বর্ণ (গ) প্রায় বর্ণ

(3) নাসিক্য বর্ণ।

(ক) ঘোষবর্ণ : যেসব ধ্বনি উচ্চারণকালে উচ্চারণ স্থান বায়ু পথ কিছুক্ষণের জন্যে । হয়ে পর মুহূর্তেই উন্মুক্ত হয়ে যায়, সেগুলোকে ঘোষবর্ণ বলে। প্রত্যেক বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ণ এবং হ’ ঘোমবর্ণ।

(খ) অঘোষ বর্ণ : যেসব বর্ণ উচ্চারণকালে স্বরতন্ত্রীগুলো নিশ্চেষ্ট থাকে বলে মুখ কিছুটা ফাঁক থাকে এবং ঐ উন্মুক্ত পথে বাতাস বেরিয়ে যেতে পারে, সেগুলোকে অঘোষ বর্ণ বলে। প্রত্যেক বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ দুটি এবং শ, ষ, স,

অঘোষ বর্ণ।

(গ) অল্পপ্রাণ বর্ণ : যেসব বর্ণ উচ্চারণকালে ফুসফুস নিঃসৃত বাতাসের চাপ কম থাকে, সেগুলোকে অল্পপ্রাণ বর্ণ

বলে। প্রতি বর্গের প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম বর্ণ অল্পপ্রাণ।

(ঘ) মহাপ্রাণ বর্ণ : যেসব বর্ণ উচারণকালে ফুসফুস নিঃসত বাতাসের চাপের আধিক্য থাকে, সেগুলোকে বর্গ বলে। বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণগুলো মহাপ্রাণ বর্ণ।

মহাপ্রাণ

(ঙ) নাসিক্য বর্ণ : যেসব বর্ণ উচ্চারণকালে মুখের ভিতরকার বাতাস নাক দিয়ে বের হয়, সেগুলোকে নাসিক্য বর্ণ

বলে। যথা, . . (২) অন্তঃস্থ বর্ণ : যেসব স্পর্শ বর্ণ ও উষ্মবর্ণের মধ্যে অবস্থিত, সেগুলোকে অন্তঃস্থ বর্ণ বলে। যথা : র, ষ, ল, বা

(৩) উষ্ম বর্ণঃ যেসব বর্ণ উচ্চারণকালে বায়ুর প্রাধান্য থাকে এবং উচ্চারণকালে শিস দেয়ার মতো শব্দ হয়, সেগুলোকে

উষ্মবর্ণ বলে। যথা : শ, ষ, স, হ

২.২ বাংলা ভাষার আধুনিক বানানের নিয়মঃ

(১) বাংলা ভাষার আধুনিক বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ নিচে দেয়া হলো :

(১) অতৎসম শব্দে কেবল ই-কার হবে। যথাঃ বাড়ি, চাকুরি, লটারি, ভিখারি, আমদানি, রপ্তানি, সরকারি, জানুয়ারি, বাঙালি, ইংরেজি, ফারসি, জাপানি ইত্যাদি।

(২) অতৎসম শব্দের কেবল “উকার হবে। যথাঃ পুব, চুন, মুলো, সুতা, নতুন ইত্যাদি। (৩) ‘আলি’ প্রত্যয়যুক্ত শব্দের ‘ই’ কার হবে। যথা সোনালি, পুবালি, বর্ণালি, মিতালি, চৈতালি, চতুরালি, ঠাকুরালি,

ভাটিয়ালি ইত্যাদি। (৪) রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যথাঃ পূর্ব, সূর্য, কর্ম, ধর্ম, কার্য, সর্দার, অর্চনা ইত্যাদি। (৫) পদান্তে বিসর্গ হবে না। যথা মূলত, অস্তুত, ক্রমশ, প্রথমত, প্রধানত, আপাতত, সাধারণত ইত্যাদি।

3, (শ বাংলা বানান ও উচ্চারণ বিধি

২.২.১ বাংলা ভাষার আধুনিক বানানে ই-কার ব্যবহারের নিয়মঃ বাংলা ভাষার আধুনিক বানানেই কার

ব্যবহারের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ নিচে দেয়া হলো: (১) আধুনিক বাংলা বানানে নিয়মানুযায়ী জাতি ও ভাষার নামের শেষে ই-কার হয়। যেমন- বাঙালি, জাপানি, আরতি,

ইংরেজি ইত্যাদি (২) আলি’ প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হয়। যথাঃ সোনালি, পুবালি, বর্ণালি, মিতালি ইত্যাদি inding pas

(৩) বাংলা ক্রিয়াবাচক শব্দে ই-কার ব্যবহৃত হয়। যথাঃ করি, এরি, লিখি ইত্যাদি।

(৪) যে সব তৎসম শব্দে ‘ই’ অথবা ‘ উভয়ই শুদ্ধ, সে সব শব্দে কেবল ‘ই’-কার হবে। যথা। অবশি, তরণি, কুহেলি

ইত্যাদি।

(৫) তৎসম শব্দ যদি তদ্ভবে রূপান্তরিত হয়, তা হলে শব্দের অন্তর্গত ই-কার পরিবর্তিত হয়ে ই-কার হয়। যেমন- বাড়ী > বাড়ি > শাড়ী > শাড়ি ইত্যাদি।

২.২.২ বাংলা ভাষার আধুনিক বানানে ঈ-কার ব্যবহারের নিয়ম :

(a) স্ত্রী বাচক তৎসম শব্দের শেষে ৳ কার হয়। যথা: নারী, জননী, ছাত্রী ইত্যাদি।

(২) বিশ্লেষণ ও স্ত্রী সূচক সংখ্যাবাচক শব্দের শেষে ঈ কার হয়। যথা: অষ্টমী, নবমী ইত্যাদি।

TO (8)

(৩) সন্ধিতে ই-কার কিংবা কারের পর ই-কার কিংবা ঈ-কার থাকরে উভয়ে মিলে ঈ-কার হয়। যথা : রবীন্দ্র = (রবি + ইন্দ্ৰ), অতীত = (অভি + ইত) ইত্যাদি। (8) প্রাণীবাচক তৎসম শব্দের অন্তে ঈ-কার হয়। যথাঃ পক্ষী, হস্তী ইত্যাদি।

(৫) করণ/কৃত/ভবন এ পরপদগুলো শব্দের শেষে যুক্ত হলে পূর্বপদের শেষে ঈ-কারের আগমন হয়। যথা সমীকরণ = (সম+করণ), সমীভবন = (সম+ ভবন) ইত্যাদি। ২.২.৩ বাংলা ভাষার আধুনিক বানানে পাঁচটি উ-কার ব্যবহারের নিয়ম ঃ বাংলা ভাষার আধুনিক বানানে উ কার ব্যবহারের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ নিচে দেয়া হলো।

(১) অর্ধ-তৎসম শব্দের কেবল উ-কার হবে। যথাঃ পুব, ধুলো, নতুন ইত্যাদি। (২) উ-যুক্ত প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দে উ-কার হয়। যথা: ইচ্ছুক = (ইচ্ছা + উক), নিন্দুক

ইত্যাদি।

(৩) ফিরাবৃত্ত শব্দের উ-ধ্বনিতে সর্বত্রই উ-কার হয়। যথা: চুলাচুলি, পাঠালাঠি ইত্যাদি। (৪) উ-কারান্ত উপসর্গযোগে গঠিত শব্দে উ-কার হয়। যথা: চুলাবুলি, লাঠালাঠি ইত্যাদি।

(8) ক্রিয়াবাচক শব্দে কেবল-উ-কার ব্যবহৃত হয়। যেমন- শুনা, রসুন, করুন ইত্যাদি।

২.২৪ বাংলা ভাষার আধুনিক বানানে উ-কার ব্যবহারের নিয়মঃ বালা ভাষার আধুনিক “৫টি নিয়ম উদাহরণসহ নিচে দেয়া হলো:

(১) তৎসম শব্দে উ-কার অবিকৃত থাকে। যেমন- বধূ, মূল ইত্যাদি।

বানানে উ-কার ব্যবহারের

(২) উ-কার পর উ-কার থাকলে উভয়ে মিলে উ-কার হয়। যেমন- ভূ + ঊর্ধ্ব = , বধূ + উক্তি = বধূক্তি (৩) উ-কার এর পর উ-কার থাকরে উভয়ে মিলে উ-কার হয়। যেমন- মঞ্চ উদ্যান মরূদ্যান, কটু + উক্তি =

কটূক্তি।

TEST OF S

(৪) সমাসবদ্ধ পদে ঊ-কার বজায় থাকে। যেমন- দূরদৃষ্টি, রূপরস ইত্যাদি। (৫) বিসর্গের পর “র” থাকলে পূর্বপদের উ-কার স্থলে ঊ-কার হয়। যুক্তপদে বিসর্গ লোপ পায়। যেমন- চক্ষুঃ + যোগ = চক্ষুরোগ। (২)

২.২.৫ বাংলা ভাষার আধুনিক বানানে অনুস্বার ব্যবহারের নিয়মঃ বাংলা ভাষার আধুনিক বানানে অনুস্থার ব্যবহারের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ নিচে দেয়া হলো।

(১) তদ্ভব ও দেশি শব্দে অনুস্বার (২) হয়। যথা: বাংলা, ঠ্যাং ইত্যাদি (২) বিদেশি শব্দে অবিকল্প অনুস্থার (1) হয়। যথা: কোচিং ট্রেনিং ইত্যাদি।

ইত্যাদি।

(৩) ক/খ/গ/ঘ পরে থাকলে সন্ধিতেম স্থানে অনুস্বার হয়। যথা: শংকর = (শম + কর), সংকেত = (সম + কেত)

(8) উষ্মবর্ণ (শ/য/স) পরে থাকলে সন্ধিতে ম-স্থানে অনুষ্ঠান হয়। যথা: সংশয় = (সম + শা), সংসদ = ( + )

ইত্যাদি (0) অন্তঃস্থ (// /ব) পরে থাকলে সন্ধিতে ম স্থানে অনুস্থার হয়। যথা: সংবাদ (সম+বাদ), সংলাপ = (সম

+লাপ) ইত্যাদি।

২২.৬ বাংলা বানানে চন্দ্রবিন্দু () ব্যবহারে নিয়মঃ

চন্দ্রবিন্দু (*) ব্যবহারের পাঁচটি নিয়ম নিচে দেয়া হলো:

(1) তদ্ভব শব্দ : তদ্ভব শব্দে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহৃত হয়। যেমন- গাঁ (গ্রাম), চাঁদ (চন্দ্র) ইত্যাদি)

(২) সর্বনাম পদ : সম্মানসূচক সর্বনাম পদে চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার হয়। যেমন- তাঁর, যাঁরা ইত্যাদি।

(৩) সংখ্যাবাচক শব্দঃ কতিপয় সংখ্যাবাচক শব্দে চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার হয়। যেমন- পাঁচ পঁচিশ ইত্যাদি

(৪) দ্বিরাবৃত্ত শব্দ : কতিপয় দ্বিরাবৃত্ত শব্দে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহৃত হয়। যেমন- আঁকাআঁকি, খোঁচাখোঁচি, কাঁদাকাদি (৩) সংস্কৃত শব্দ ঃ কিছু সংস্কৃত শব্দের শেষেও বিসর্গ বসে। যেমন- অন্তঃ (অন্তর), আশীঃ (আশিস) ইত্যাদি।

ইত্যাদি।

(৪) শব্দের মধ্যাংশের বিসর্গঃ শব্দের মধ্যাংশেও কখনো কখনো বিসর্গ ব্যবহৃত হয়। যেমন- অতঃপর, অধঃপতন

ইত্যাদি। (৫) ত্ৰিয়াৰচক শব্দ কিছু ক্রিয়াবাচক শব্দে চন্দ্রবিলু ব্যবহৃত হয়। যেমন- কাঁদা, বাঁধা, আঁকা ইত্যাদি।

২.২.৭ বাংলা ভাষা বানানে বিসর্গ ব্যবহারের নিয়ম ৪

বাংলা ভাষার বানানে বিসর্গ ব্যবহারের পাঁচটি নিয়ম নিচে দেয়া হলো ।

(১) বিসর্গ স্থানের অ/আ ভিন্ন স্বরবর্ণের পরস্থিত বিসর্গের পর স্বরবর্ণ থাকরে সন্ধির নিয়মে বিসর্গ স্থানের বসে। যেমন- নিরাশ = নিঃ+ আশা, দুরন্ত দুঃ + অস্ত ইত্যাদি।

(২) খাঁটি বাংলা শব্দ ঃ কিছু কিছু খাঁটি বাংলা শব্দের পর বিসর্গ বসে। যেমন- আঃ (আহ). ছিঃ (ছিই) ইত্যাদি।

(৩) সংস্কৃত শব্দ ঃ কিছু কিছু সংস্কৃত শব্দের শেষেও বিসর্গ বসে। যেমন- অন্তঃ (অন্তর), আশী: (আশিস) ইত্যাদি। (৪) শব্দের মধ্যাংশে বিসর্গ : শব্দের মধ্যাংশেও কখনো বিসর্গ ব্যবহৃত হয়। যেমন- অতঃপর, অধঃপতন।

(৫) বিসর্গ স্থানে শচ/ছ এর পূর্ববর্তী বিসর্গ পরিবর্তিত হয় “শ” হয়। যেমন- দুশ্চরিত্র = (দুঃ + চরিত্র), দুশ্চিন্তা =

দুঃ + চিন্তা)।

২.২.৮ণ-ত্ব বিধান

ঘাঁটি বাংলা ভাষায় সাধারণত মূর্ধন্য ‘ন’ ধ্বনির ব্যবহার হয় না। সেজন্য খাঁটি বাংলা ও বিদেশি শব্দের বানান মূর্ধন্য বর্ণ লেখার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাংলা ভাষায় বহু তৎসম শব্দ বা সংস্কৃত শব্দ অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, সে সব শব্দে মূর্ধনা ন

থাকবে তা অবিকৃতভাবে রক্ষিত হয়। ● ণ-ত্ব বিধান : তৎসম শব্দের মূর্ধনা ন এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণ-ত্ব বিধান। সাধারণত বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম শব্দে মূর্ধন্য ণ ব্যবহারের নিয়মসমূহকে ণ-ত্ব বিধান বলে।

● ণ-ত্ব বিধানের নিয়ম :- বিধানের নিয়মগুলো নিচে দেয়া হলো

(১) ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে ‘ন’ হলে, সব সময় তা মূর্ধন্য ণ হয়। যেমন- লণ্ঠন, কাণ্ড ইত্যাদি।

(২) র, ষ-এর পরে মূর্ধনা ন হয়। যেমন- ঋণ, তণ, বর্ণ ইত্যাদি)

(৩) . . এর পরে ধ্বনি, য, র, হ এবং ত-বর্গীয় ও প-বর্গীয় ধ্বনি থাকবে পরবর্তী “না মূর্ধনা ন হয়। যেমন

কৃপণ, [ঋ-কারের পরে প. তার পর ‘ণ’], হরিণ [র] এর পরে ই. তার পরে ৭’| ইত্যাদি।

(৪) প্র, পরা, পরি, নির- এ চারটি উপসর্গের এবং ‘অন্তর’ শব্দের পরে নদ, নম, নশ, নহ, নী, নুদ, অন, হন- এ কয়টি ধাতুর দন্ত্য ন মূর্ধণ্য হয়। যথা: প্রণাম, পরিণাম, পরিণতি ইত্যাদি। (৫) এ. পরি ইত্যাদির পর ‘নি’ উপসর্গের দত্তা ন মূর্ধন্য ণ হয়। যেমন- প্রণিপাত, প্রণিধান ইত্যাদি

(৬) কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধনা ণ হয়। যথা: লবণ, মণ, কণিকা, গণিকা, নিপুণ ইত্যাদি। উপরে উল্লেখিত নিয়মগুলো ছাড়া সর্বত্র সন্তব্য না হয়। সমাসবদ্ধ শব্দে দু-পদের অর্থের প্রাধান্য থাকরে ণ-ত্ব বিধান

বাংলা বানান ও উচ্চারণ বিধি

২.২.৯ ষ-ত্ব বিধান

খাঁটি বাংলা ভাষায় সাধারণত মূর্ধন্য-‘ঋ’ ধ্বনির ব্যবহার নেই, তাই দেশি, বিদেশি এবং তত্ত্বব শব্দের বানানে ‘য’-এর ব্যবহার পাওয়া যায় না। কেবল কিছু তৎসম শব্দে ষ-এর প্রয়োগ রয়েছে। যে সব তৎসম শব্দে ‘ঋ’ রয়েছে পণ্ডিতগণ তা অবিকৃত রাখার পক্ষপাতী।

● য-ত্ব বিধান যে বিধানে তৎসম শব্দে ‘ষ’-এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে ষ-ত্ব বিধান বলে। সাধারণত

বাংলা ভাষার ব্যবহৃত তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-য ব্যবহারের নিয়মসমূহকে ষ-ত্ব বিধান বলে।

যত্ব বিধানের নিয়ম:সত্ব বিধানের নিয়মগুলো নিচে দেয়া হলোঃ (১) অ, আ, ভিন্ন স্বরবর্ণ, ক এবং এই সকল বর্ণের পরে অবস্থিত প্রত্যয়াদির দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ হয়। যথাঃ ভবিষ্যৎ,

পরিষ্কার ইত্যাদি।

(২) ই-কার কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতকগুলো ধাতুতে যা হয়। যেমন- অঙি-সেক > অভিষেক, অনু সঙ্গ> অনুষঙ্গ ইত্যাদি।

(৩) ঋ-কার ও র-এর পর ‘য’ হয়। যেমন-কৃষক, বর্ষা, বর্ষণ ইত্যাদি।

৪) ট ওঠ-এর আগে মূর্ধণ্য ‘য’ হয়। যেমন- কাঠ ইত্যাদি।

(৫) নিঃদুঃ, বহিঃ, আরিঃ, চতুঃ, প্রাসূঃ এ শব্দগুলোর পর ক, খ. প ফ থাকলে বিসর্গ স্থানে মূর্ধণা যা হয়। যথাঃ নিঃ + কাম > নিষ্কাম, দুঃ+কর> দুষ্কর।

(৬) নিচের শব্দগুলোতে স্বভাবতই মূর্ধন্য-য হয়। যথা: আষাঢ়, নিষ্কর ইত্যাদি। (৭) নিচের শব্দগুলোতে বিশেষ নিয়মে মূর্ধন্য-ষ হয়। যথা: দুর্বিষহ, বিষম ইত্যাদি। কিন্তু খাঁটি বাংলা ও বিদেশি শব্দে যা হয় না। যথা: পুলিশ, জিনিস ইত্যাদি। ছাড়া সাৎ: প্রত্যয়ের সন্তা-স মূর্ধনা-য হয়

না। যথা : ধূলিসাৎ, অকস্মাৎ ইত্যাদি।

অতএব, বাংলা বানানের ক্ষেত্রে এ বাতিক্রমগুরো অবশ্যই মনে রাখতে হবে।

ষত্ব বিধানের ব্যতিক্রম

(১) বিদেশী শব্দে ‘ষ’ হয় না। যেমন- পোশাক, মাষ্টার, স্কুল, স্টেশন ইত্যাদি। (২) খাঁটি বাংলা শব্দে ‘ষ’ হয় না। যেমন- করিস, খেলিস, দেশী ইত্যাদি।

(৩) সাৎ প্রত্যয়ে ‘ষ’ হয় না। যেমন ধূলিসাৎ, অগ্নিসাৎ ইত্যাদি।

(৪) দুটি পদ সমাসবদ্ধ হয়ে এক পদে পরিণত না হলে যা হয় না। যেমন- শত্রু + সেনা = শত্রুসেনা ইত্যাদি । ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধান গঠিত কতিপয় অশুদ্ধি শুদ্ধিকরণ

সুদমা

অপরাহ

আহিক

অপারাহ

আহ্নিক

কুরআণ

অশেষ

আবিষ্কার

কুরআন

অশেষ

আবিষ্কার

কৃপন

কারণ

গোস্পদ

গোপন

কারন

২৬

বাংলা

দুর্গাম

বণ্টন

নিস্পৃহ

পুরস্কার

বৃহস্পতি

নিস্পৃহ

পুরষ্কার বৃহস্পতি

প্রনাম

নমস্কার

প্রনিধান

প্রণাম

প্রণিধান

আনুসঙ্গিক

অভিসেক মুসিক

আনুষঙ্গিক

অভিষেক

কৃষক

রামায়ণ

কৃষক

কুথাও

প্রনয়ন

নিপুন

বনিক)

বিপনি

প্রণয়ন

বাণী

নিপুণ

বণিক

বিপণি

পাসন্ড

পায়ও

গোস্টি যুধিষ্টির

যুধিষ্ঠির

ডেঙ্ক

স্থানু

চাণক্য

ষ্টেশন

পুলিষ

প্রানষ্ঠ

পুলিশ

কল্যান

লাবনা

লাবণ্য

নশষে

অনুশীলনী-২

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন-১৷৷ শব্দের শেষে অসংস্কৃত শব্দে হসন্ত বর্জন করা যায় কি? উত্তর যায় প্রশ্ন-২॥ খাঁটি বাংলা ভাষার ন ও ৭-এর মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?

উত্তর নেই।

প্রশ্ন-৩ ৷৷ তৎসম ও তদ্ভব শব্দে ণ-এর ব্যবহার থাকার প্রয়োজন কি? উত্তর বানানের ইতিহাসগত শৃঙ্খলা রক্ষার কারণে।

প্রশ্ন-৪॥ বিদেশি শব্দে মূর্ধণ্য থাকা কি সমীচীন? প্রশ্ন-৫ ॥ ষ-এর খাঁটি উচ্চারণ বাংলার রক্ষিত হয় কি?

উত্তর সমীচীন নয়।

উত্তর হয় না। প্রশ্ন-৬॥ বর্ণ কাকে বলে?

উত্তর ধ্বনির ক্ষুদ্রতম অংশকে লিখে বোঝাবার চিহ্নকে। প্রশ্ন-৭॥ বর্ণমালা কি?

উত্তর স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণকে একত্রে বর্ণমালা বলে।

বাংলা বানান ও উচ্চারণ বিধি

291

প্রশ্ন ৮ বর্ণ কয়টি ও কি কি?

উত্তর ৫টি। ক বর্গ, চ বর্গ, ট বর্গ, তবর্গ ও পবর্গ।

প্রশ্ন-৯৷ স্পর্শ বর্ণ কোনগুলো?

উত্তর ক থেকে ম বর্ণগুলো

প্রশ্ন-১০। সমাসবদ্ধ শব্দে কখন মূর্ধন্য-ণ’ ব্যবহৃত হয় না? উত্তর সমাসবদ্ধ শব্দের দু’ পাশের অর্থ প্রাধান্য থাকলে

প্রশ্ন-১১৷৷ কোন পদে ‘ণ’ ব্যবহৃত হয় না?

উত্তর ক্রিয়াপদে।

প্রশ্ন-১২৷৷ কোন কোন বর্ণের আগে ষ ব্যবহৃত হয়?

উত্তর ট ওঠ বর্ণের আগে। প্রশ্ন-১৩৷ কোন প্রত্যয়ে ‘য’ ব্যবহৃত হয় না?

উত্তর সাথ প্রত্যয়ে প্রশ্ন-১৪৷৷ কোন কোন স্বরবর্ণের পরে

উত্তর অ এবং আহর বর্ণের পরে।।

‘ষ’ ব্যবহৃত হয় না?

প্রশ্ন-১৫॥ যৌগিক স্বরধ্বনি কয়টি ও কি কি? উত্তর যৌগিক স্বরধ্বনি দুটি। যথা: ঐ (অ+ই), ঔ (+)

প্রশ্ন-১৬৷৷ মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি ও কি কি?

উত্তর মৌলিক স্বরধ্বনি সাতটি। যথা। অ, আ, ই, উ, এ, ওয়া।

প্রশ্ন-১৭॥ অন্তঃস্থ বর্ণ কি?

(বাকাশিবো ২০০৪।

উত্তর যে সকল বর্ণ উচ্চারিত হওয়ার সময় মুখ সম্পূর্ণ খোলা থাকে তাকে অন্তঃস্থ বর্ণ বলে। যেমন- য, র, ল, ব

ইত্যাদি। এই বর্ণগুলো স্পর্শ ও উষ্ম বর্ণের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।

প্রশ্ন-১৮ ৷৷ স্বরতন্ত্রী ব্যবহারের দিক থেকে ব্যঞ্জনবর্ণগুলো কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর স্বরতন্ত্রী ব্যবহারের দিক থেকে ব্যঞ্জন বর্ণগুলো দুই প্রকার। যথা: ঘোষ বর্ণ ও অঘোষ বর্ণ।

প্রশ্ন-১৯৷ নাকের ব্যবহারের দিক থেকে ব্যঞ্জনবর্ণগুলো কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর নাকের ব্যবহারের দিক থেকে ব্যঞ্জনবর্ণগুলো দু’প্রকার। যথা: আনুনাসিক ধ্বনি ও স্বাভাবিক ধ্বনি

প্রশ্ন ২০ ॥ আনুনাসিক ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে?

উত্তর যে সকল বর্ণ উচ্চারণের সময় ফুসফুস তাড়িত বাতাস নাক ও মুখ দুই দিক দিয়েই বের হয় তাকে আনুনাসিক

ব্যঞ্জন ধ্বনি বলে। যেমন- (চন্দ্র বিন্দু)। প্রশ্ন-২১৷৷ দ্বিম্বর বা যৌগিক স্বরধ্বনি কাকে বলে? –

(বাকাশিবো ১৯৯৭, ১৯৯৯/

উত্তর যে সকল স্বরধ্বনি দুটি স্বরধ্বনির যুক্ত রূপ তাদেরকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলে। প্রশ্ন-২২। অতিরিক্ত স্বরধ্বনি কি? বুঝিয়ে লেখ।

(বাকাশিবো ২০০৫/

উত্তর মৌলিক স্বরধ্বনি ‘ই”’ এর মত উচ্চারিত ‘হু’, ‘উ’-কে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি বলে। প্রশ্ন-২৩ ॥ বর্ণমালা কাকে বলে?

উত্তর প্রত্যেক ভাষারই সুনির্দিষ্ট কতকগুলো ধ্বনি বা বর্ণ থাকে। কোন ভাষার বর্ণগুলোকে একত্রে বর্ণমালা বলা হয়। প্রশ্ন-২৪॥ ধ্বনি কাকে বলে? তা কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর বর্ণের উচ্চারিত রূপ হলো ধ্বনি। প্রত্যেক ভাষারই সুনির্দি কতকগুলো ধ্বনি বা বর্ণ থাকে। বাংলা ভাষার

এই বর্ণ বা ধ্বনি দু’ প্রকার। যথা: (১) স্বরধ্বনি ও (২) ব্যঞ্জনধ্বনি।

ব্যবহৃত

প্রশ্ন ২৫ ৷৷ বাংলা বর্ণমালাতে স্বর বর্ণ কয়টি?

উত্তর বাংলা বর্ণমালাতে স্বরবর্ণ ১১টি

প্রশ্ন-২৬৷৷ স্পর্শ বর্ণ কাকে বলে?

উত্তর থেকে ম পর্যন্ত বর্ণগুলোকে স্পর্শ বর্ণ বলা হয়।

প্রশ্ন-২৭৷ বাগযন্ত্রের সাহায্যে যে আওয়াজ সৃষ্টি হয় তাকে কি বলে? – উত্তর বাগযন্ত্রের সাহায্যে যে আওয়াজ সৃষ্টি হয় তাকে ধ্বনি বলে।

প্রশ্ন-২৮৷ বর্গীয় বর্ণ কয়টি? উত্তর বর্ণীয় বর্ণ পাঁচটি।

প্রশ্ন-২৯। কোন ধরনের শব্দে ণ ও য বসতে পারে?

উত্তর কেবল তৎসম শব্দে

প্রশ্ন-৩০ ॥ নাসিক্য বর্ণ কোনগুলো?

উত্তর , এ, ণ, ন, মং ইত্যাদি নাসিক্য বর্ণ।

প্রশ্ন-৩১৷৷ অন্তঃস্থ বর্ণ কোনগুলো?

[উত্তর য, র, ল, ব ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৩২৷৷ তৎসম শব্দে ঋ, র, উত্তর মূর্ধনা ” হয়।

য এর পরে কোন ন হয়?

প্রশ্ন-৩৩। খাটি বাংলা ও তদ্ভব শব্দে কোন ‘ন’ হয়?

উত্তর দস্তা ‘ন’ হয়।

প্রশ্ন-৩৪ ৷ তৎসম শব্দে ট, ঠ বর্ণের সাতে কোন ‘ন’ যুক্ত হয়?

উত্তর মূর্ধন্য ‘ণ’ যুক্ত হয়।

প্রশ্ন-৩৫ । কোন কোন জাতীয় শব্দে ‘যত্ব ও ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য

হয়?

(বাকাশিবো ২০০১/

ডিত্তর দেশী, বিদেশী তদ্ভব শব্দে।

প্রশ্ন-৩৬॥ ‘সাত’ প্রত্যয়ান্ত শব্দে কোন ‘স’ হয়?

উত্তর দস্তা স’ হয়।

প্রশ্ন ৩৭ ॥ উচ্চ ধ্বনির সংজ্ঞা লিখে উদাহরণ দাও।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন-১৷৷ বর্গীয় বর্ণ কাকে বলে? উদাহরণসহ এর শ্রেণীবিভাগ কর। গীত

উত্তর বর্গীয় বর্ণ : ‘ক’ থেকে ‘ম’ পর্যন্ত বর্ণগুলোকে স্পর্শ বর্ণ বলে। এ বর্ণগুলো উচ্চারণকালে মুখবিবরের কোন না স্থানে বাধাপ্রাপ্ত হয়। স্পর্শ বর্ণ পাঁচ ভাগে বিভক্ত। এর প্রত্যেকটি ভাগকে এক একটি বর্গ বলা হয়। যথা

বর্গের নাম

ক-বর্গ

উচ্চারণের স্থান অনুসারে নাম

তালব্য বর্ণ

ট, ঠ, ড, ঢ,ণ

সন্ত বর্ণ

বাংলা বানান ও উচ্চারণ বিধি

প্রশ্ন-২। মৌলিক স্বরধ্বনি কাকে বলে? উত্তর মৌলিক স্বরধ্বনি হচ্ছে স্বরধ্বনিকে আর বিশ্লেষণ করা যায় না এবং একে বিশ্লেষণ করলে অন্য কোন স্বরধ্বনি

পাওয়া যায় না। বাংলায় মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি অ, আ, ই, এওউ, অ্যা

(বাকাশিবো ২০০৩/

প্রশ্ন-৩॥ ষত্ব বিধানের দুটি বিধান লিখ। উত্তর যত্ন বিধানের দুটি নিয়ম :

(১) ব্দ, ব-এর পর তৎসম শব্দ যা হয়। যেমন-কৃমি, বর্ষা ইত্যাদি।

(২) ট বর্গের সঙ্গে য যুক্ত হয়। কাঠ, নিষ্ঠা ইত্যাদি প্রশ্ন-৪॥ বানান রীতি বলতে কি বুঝায়?

উত্তর উচ্চারিত ধ্বনি, শব্দ, বাকা ইত্যাদি বর্ণ ও যতি চিহ্নের সাহায্যে লেখা রূপ দিতে হয়। শব্দের লেখাকন দেয়ার জানো বর্ণের পর বর্ণ সাজাতে হয়। একেই বলে বানান। কোন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর মধ্যে শব্দের বানানের মধ্যে সামান্য থাকা অত্যাবশ্যক। এদিকটি লক্ষ রেখে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগণ বানানের রীতি প্রণয়ন করেন এবং সজলকে তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে পরামর্শ দেন

প্রশ্ন-৫॥ ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি কাকে বলে? উদাহরণসহ লিখ।

উত্তর : যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুসতাড়িত বাতাসে বেরিয়ে যাবার সময় স্বরতন্ত্রে কম্পনের সৃষ্টি হয় তাকে ঘোষ ধ্বনি এবং যে ধ্বনি উচ্চারণে স্বরতন্ত্রে কম্পনের সৃষ্টি হয় না তাকে অঘোষ ধ্বনি বলে। যেমন-গ, ঘ, ঝ, জ ইত্যাদি

ঘোষ ধ্বনি এবং ক, খ, চ, ছ ইত্যাদি অঘোষ ধ্বনি। প্রশ্ন-৬ ॥ যতু বিধান কি? এর পাঁচটি নিয়ম লেখ।

উত্তর যে বিধি বা নিয়ম অনুসারে ‘স’ এর স্থলে যা ব্যবহৃত হয় তাকে ষত্ব বিধান বলে। যত্ব বিধানের পাঁচটি নিয়ম নিচে আলোচনা করা হলো FOR

(১) ‘অ’ ‘আ’ ছাড়া অন্য স্বরবর্ণ এবং ‘ক’ ও ‘র’ এর পর যা হয়। যেমন-সুষমা; বিষ, ইত্যাদি। (২) ‘ঋ’ কার ও রেফ () এর পর যা হয়। যেমন- বর্ষা, কৰ্ষত ইত্যাদি।

(৩) ” ও ” এর আগে যা হয়। যেমন-কষ্ট, ৬ষ্ঠ, স্পষ্ট ইত্যাদি

(৪) অধি, অভি ইত্যাদি ই কারঅস্ত উপসর্গ এবং অণু ও সু উপসর্গের পরে স, যা হয় যেমন- অভি + সেক =

অভিষেক, অধি+ স্থান অধিষ্ঠান। (৫) নিঃ, দুঃ, বহিঃ, আবিঃ, চতুঃ, প্রাদুঃ এই শব্দগুলোর পর ক, খ, পাওফ থাকলে বিসর্গ (3) স্থানে ‘ষ’ হয়। যেমন

নিঃ+কাম = নিষ্কাম, দুঃ+কর = দুষ্কর। প্রশ্ন ৭॥ কোন স্থানে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয় না?

উত্তর (১) ঘাঁটি বাংলা শব্দে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয় না। যেমন- দেশি, মাস, মিশি (২) বিদেশি ভাষা থেকে আগত কোন প্রকার শব্দে ষ হয় না। যেমন- ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ। প্রশ্ন-৮॥ ণত্ব বিধান কি? ণত্ব বিধানের পাঁচটি সূত্র লেখ। [বাকাশিবো ২০০০, ২০০২/

উত্তর যে বিধান বা নিয়ম অনুসারে ‘ম’-এর স্থলে ‘ণ’ ব্যবহৃত হয় তাকে ণত্ব বিধান বলে।

•ণ ব্যবহারের পাঁচটি নিয়ম নিচে আলোচনা করা হলো : (১) ঋ, র, ষ এর পর ণ ব্যবহৃত হয়। যেমন- কর্ণ, পোষণ ইত্যাদি

(২) ঋ, র, ষ এর পর য, র, হ এবং ‘ক’ বর্গীয় ও ‘প’ বর্গীয় ধ্বনি থাকলে নানা হয়। যেমন- অর্পণ, হীণ, রণ, (৩) প্র, পরা, নির, পরি- এই চারটি উপাসর্গ অন্তর (পরে); এবং শব্দের পরবর্তী নদ, নশ, নী, নম্র, অন, হন

গ্রহণ, পাষাণ, কৃপণ, লক্ষণ ইত্যাদি।

ধাতুর ‘ন’ এর স্থলে ‘ণ’ হয়। যথা : পরিণাম, নির্ণয় ইত্যাদি। (৪) ‘ট’ বর্গীয় ধ্বনির আগে ‘ণ’ হয়। যেমন- লুণ্ঠন, কর্ণা, বণ্টন ইত্যাদি।

(৫) ‘অগ্র’ ও ‘গ্রাম’ শব্দের পরবর্তী নী’ শব্দের মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন- অগ্রণী, গ্রামীণ ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৯৷ কোন স্থানে ‘ণ’ ব্যবহৃত হয় না?

উত্তর (১) বিদেশি ভাষার শব্দে ‘ণ’ হয় না। যেমন- কোরআন, পানি (২) খাঁটি বাংলা শব্দের এবং ক্রিয়াপনের মধ্যে ‘ণ’ হয় না। যেমন- যান, কান।

(৩) ত’ বর্গীয় ধ্বনিগুলোর পূর্বে কখনো ‘এ’ ব্যবহৃত হয় না। (৪) সমাসবদ্ধ শব্দের দুই পদের অর্থের প্রাধান্য থাকলে ‘ণ’ ব্যবহৃত হয় না। যেমন- দুর্নীতি, দুর্নাম, নাম

ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১০ ॥ অক্ষর কাকে বলে? উত্তর নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে শব্দের যতটুকু উচ্চারিত হয় তাকে অক্ষর বলে। যেমন- অক্ষরের দিক থেকে যদি

ব্দর বানানটিকে বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখা যায় স্পন + দিন স্পনদন। এ বানানে দুটি অক্ষর রয়েছে।

প্রশ্ন-১১ ॥ স্বর বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ কি? উদাহরণ দাও।

উত্তর স্বর বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে ‘কার’ বলে। যেমন

‘আ- আ-কার’

–অ কারী ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১২॥ ব্যঞ্জন বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ কি? উদাহরণ দাও।

উত্তর ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে ‘ফলা’ বলে। যেমন

‘বয়’ ফলা (G) ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১৩৷৷ স্বল্পথাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি কাকে বলে? উদাহরণসহ লেখ।

উত্তর যে সকল ধ্বনি উচ্চারণে ফুসফুসে তাড়িত বাতাসের চাপ অল্প থাকে তাকে স্বল্প প্রাণ ধ্বনি এবং যে ধ্বনি উচ্চারণে ফুসফুস তাড়িত বাতাসের চাপ বেশি থাকে তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। যেমন- ক, গ, চ, ছ ইত্যাদি স্বল্প প্রাণ ধ্বনি এবং খ

ঘ, ইত্যাদি মহাপ্রাণ ধ্বনি

প্রশ্ন-১৪ ॥ ঈ কার ব্যবহারে নিয়মগুলো লেখ।

শিবো ২০০৭/

উত্তর ” কার ব্যবহারের নিময়গুলো নিম্নরূপ: (১) স্ত্রীলিঙ্গ, জাতি, ভাষা, ব্যক্তি ও বিশেষণ বাচক শব্দের শেষে ” কার ব্যবহৃত হয়। যেমন- হিন্দী, জাপানী, তুর্কী,

ইংরেজী ইত্যাদি।

(২) আরবী, ফারসী ও উর্দু ভাষায় কিছু শব্দে ঈ-কার হবে। যেমন- ঈদ, ঈমান, মীর, শরীফ, গরীর, কাজী ইত্যাদি (৩) যদি মূল সংস্কৃত শব্দে ঈ, উ থাকে তাহলে তদ্ভব শব্দে ঈ-কার বা ই-কার দুটোই প্রয়োগ করা যায়। যেমন- কুমির

→ কুমীর, বাড়ি বাড়ী, পাখি পাখি ইত্যাদি প্রশ্ন-১৫ ॥ হস (-) চিহ্ন ব্যবহারের নিয়মগুলো লেখ।

উত্তর) হস চিহ্ন ব্যবহারের নিময়গুলো হচ্ছে

(১) শব্দের শেষে সাধারণত হস চিহ্ন ব্যবহৃত হবে না। তবে ভুল উচ্চারণের সম্ভাবনা থাকলে ‘হস’ চিহ্ন ব্যবহার

করা যেতে পারে। যেমন- আল্লাহ্, বাদশাহ। (২) আরবী, ফারসী, উর্দু শব্দের দীর্ঘ স্বরধ্বনির প্রয়োজনে হস(.) চিহ্ন দেয়া অপরিহার্য। যেমন- আল্লাহর,

কাতল, নগদ ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১৬॥ জ, য, ব্যবহারের নিয়মগুলো উল্লেখ কর। উত্তর জয ব্যবহারের নিয়মগুলো হচ্ছে:

(১) দেশী শব্দে ‘য’ না লিখে ‘জ’ লেখতে হয়। যেমন- কাজ, সাজ, জাত, জোড় ইত্যাদি। (২) আরবী, ফারসী, উর্দুর মূল উচ্চারণে ‘য’ এর স্থলে ‘জ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন- জামা, জহর, জলসা ইত্যাদি।

বাংলা বানান ও উচ্চারণ বিধি

প্রশ্ন-১৭ ॥ ধ্বনি ও বর্ণ ভিন্ন জিনিস অর্থ কি? অথবা বর্ণ কাকে বলে? ধ্বনির সাথে বর্ণের পার্থক্য কি?

উত্তর সাধারণত কোন আওয়াজ বা শব্দকে ধ্বনি বলে। কিন্তু ব্যাকরণের ভাষায় মানুষের কণ্ঠ নিসৃত অর্থবোধক শব্দ বা আওয়াজকে ধ্বনি বলে। ধ্বনিতে লিখে প্রকাশ করার জন্য যে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে বর্ণ বলে। সুতরাং সংজ্ঞা থেকেই বুঝা যাচ্ছে ধ্বনি ও বর্ণ ভিন্ন জিনিস। একটি হচ্ছে মৌখিক রূপ আর একটি লিখিত রূপ। ধ্বনি হচ্ছে মৌখিক আর বর্ণ হচ্ছে ধ্বনির লিখিত রূপ।

প্রশ্ন-১৮ ৷৷ স্বরধ্বনি কাকে বলে? উত্তর ফুসফুস তাড়িত বাতাস মুখবিহ্বর দিয়ে বেরিয়ে যাবার সময় কোথাও কোন প্রকার বাধাপ্রাপ্ত না হয়ে পূর্ণ ও

সুস্পষ্টভাবে যে ধ্বনি উচ্চারিত হয় তার নাম স্বরধ্বনি। বাংলাতে এই স্বরধ্বনি ১১টি।

প্রশ্ন-১৯॥ ব্যঞ্জন ধ্বনি কাকে বলে?

উত্তর ফুসফুস তাড়িত বাতাস মুখবিহ্বর দিয়ে বেরিয়ে যাবার সময় কোথাও কোন প্রকার বাধাপ্রাপ্ত হবার ফলে যে ধ্বনি উচ্চারিত হয় তাকেই বলা হয় ব্যঞ্জন ধ্বনি। বাংলা বর্ণমালাতে এই জাতীয় ধ্বনি সর্বমোট ৩৯টি।

প্রশ্ন-২০॥ স্পর্শ বর্ণ কত প্রকার? উত্তর ক থেকে ম পর্যন্ত বর্ণগুলোকে স্পর্শ বর্ণ বলে। এ বর্ণগুলো উচ্চারণকালে মুখৰিহ্বরে কোন না কোন স্থানে

বাধাপ্রাপ্ত হয়। স্পর্শ বর্ণ পাঁচ ভাগে বিভক্ত। প্রশ্ন-২১৷৷ নাসিক্য বর্ণ কাকে বলে?

উত্তর যেসব বর্ণ উচ্চারণকালে মুখের ভিতরকার বাতাস নাক দিয়ে বের হয় সেগুলোকে নাসিক্য বর্ণ বলে। যেমন

প্রশ্ন-২২৷৷ মহাপ্ৰাণ বর্ণ কাকে বলে?

উত্তর যেসব বর্ণ উচ্চারণকালে ফুসফুস নিঃসৃত বাতাসের চাপের আধিক্য থাকে সেগুলোকে মহাপ্রাণ বর্ণ বলে।

বর্ণের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণগুলো মহাপ্রাণ ব

প্রশ্ন-২৩৷ উষ্ম বর্ণ কাকে বলে? উত্তর যে সকল বর্ণ উচ্চারণের সময় বায়ুর প্রাধান্য থাকে এবং উচ্চারণকালে শিস দেয়ার মত শব্দ হয় সেগুলোকে উন্ম

বর্ণ বলা হয়। এগুলো হচ্ছে শ, ষ, স, হ

প্রশ্ন-২৪৷৷ আধুনিক বাংলা বানানের তিনটি নিয়ম উল্লেখ কর।। উত্তর (১) জাতিবাচক শব্দে কেবল ই-কার (1) হবে। যেমন- বাঙালি, হাপানি, চিনা, ইত্যাদি

(২) ‘আদি’ প্রত্যয়ন্ত শব্দ ই-কার (f) হবে। যেমন- সোনালি, মিতালি, রূপালি ইত্যাদি।

(৩) অ-তৎসম শব্দে মূর্ধন্য “শ” হবে না। যেমন- কোরান, মর্ডান, নফল ইত্যাদি।

প্রশ্ন-২৫ ॥ ণ-ত্ব বিধানের দুটি নিয়ম লেখ। (উত্তর) ষ-ত্ব বিধানের দুটি নিয়ম ও

(ক) ঋ, র, য, এর পর মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন- ঋণ, রণ, ভাষণ ইত্যাদি

(খ) ৳ বর্ণের সঙ্গে ‘ঘ’ যুক্ত হয়। যেমন- কণ্টক, লুণ্ঠন ইত্যাদি।

প্রশ্ন-২৬। নিচের অশুদ্ধ শব্দগুলোর শুদ্ধরূপ লেখ ।

উত্তর- অনাথা, অশ্রুজল, পৈত্রিক, ইতিমধ্যে, অধ্যায়ন, অধীনস্থ, অহোরাত্রি, উচিত।

[বাকাশিবো ২০০৪।

অথবা, ভুল বানানগুলো শুদ্ধ কর : শমিচীন, অব্যার্থ, অত্যাধিক, মুমূর্খ।

অথবা, নিচের ভুল বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ

ব্যাতীহার, মুহুর্ত, উপজীবীকা, চাক্ষুস।

অথবা, ভুল বানানগুলো শুদ্ধ কর

দারিদ্রতা, নির্ধনী, সুস্থ্য, তুল

(বাকাশিবো ২০০০) [বাকাশিবো ২০০৫)

(বাকাশিবো ২০০৬)

রচনামূলক প্রশ্ন

১। বাংলা বানানের কোন রীতি আছে কি? থাকলে তার তিনটি উদাহারণসহ উল্লেখ কর। ২।। বাংলা তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি শব্দের বানানের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যে নিয়ম চালু করেছিলো তা কত।

সালে উক্ত নিয়মের তিনটি ধারা উল্লেখ কর। ৩। তু বিধান কি? যতু বিধানের পাঁচটি সূত্র লেখ।

৪। অশুদ্ধি সংশোধন কর। কারন, রানী, প্রনয়ন, কল্যান, সান

৫। বর্ণ বলতে কি বুঝায়? বর্ণ ও ধ্বনির মধ্যে পার্থক্য কি?

বর্ণমালা বলতে কি বুঝায়?

৭। স্বরবর্ণের বর্ণরূপ ও গঠন কৌশল আলোচনা কর।

৮। ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণরূপ ও গঠন কৌশল আলোচনা কর।।

৯। গতু বিধান ও ষত্ব বিধানের ব্যতিক্রম উল্লেখ কর।

১০। ১৯৩৭ সালের বাংলা বানান সম্পর্কিত নিয়মগুলো লেখ। ১১। বাংলা বানানের কোন রীতি আছে কি? থাকলে তিনটি উদাহরণসহ উল্লেখ কর।”

১২। বাংলা তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশী শব্দের বানানের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যে নিয়ম চালু করেছিলো তা কত সালে? উক্ত নিয়মের তিনটি ধারা উল্লেখ কর।

১৩। স্বরবর্ণের বর্ণরূপ ও গঠন কৌশল আলোচনা কর। ১৪। ৰাঞ্জন বর্ণের বর্ণ রূপ ও গঠন কৌশল আলোচনা কর।

১৫। ণ-ত্ব বিধান ও ষ-ত্ব বিধানের ব্যতিক্রমগুলো উল্লেখ কর।

১৬। স্বরবর্ণ কাকে বলে? উচ্চারণ প্রকৃতি অনুযায়ী স্বরবর্ণ কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ আলোচনা কর ।

১৭। উচ্চারণের কাল বা পরিমাণ অনুযায়ী স্বরধ্বনি কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ আলোচনা কর। ১৮ ব্যঞ্জন বর্ণ কাকে বলে? গঠন বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ব্যঞ্জন বর্ণ কত প্রকার ও কি কিছু উদাহরণসহ আলোচনা কর।

১৯। বর্গীয় ধ্বনি কাকে বলে? উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বর্গীয় ধ্বনিগুলো কত প্রকার ও কি কি?

২০। অশুদ্ধি সংশোধন কর । কারন, রানী, প্রনয়ন, কল্যান, কুসান। ২১। স্বরধ্বনির উচ্চারণ বিধি আলোচনা কর।

২২। ব্যঞ্জন ধ্বনির উচ্চারণ বিধি আলোচনা কর। ২৩। কোন ক্ষেত্রে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয় উল্লেখ কর।

২৪। কোন কোন ক্ষেত্রে য-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয় উল্লেখ কর। ২৫। ১৯৩৬ সালের কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রবর্তিত বাংলা বানানের নিয়মগুলো লেখ।

২৬। জয ব্যবহারের নিয়মগুলো লেখ

২৭। ই ঈ উ উ ব্যবহারের নিয়মগুলো লেখ ২৮। নিচে লিখিত সমোচ্চারিত শব্দগুলোর অর্থের পার্থক্য দেখিয়ে বাক্য রচনা কর : (ক) চীর, চির (খ) দিন, দীন।

২৯। তৎসম শব্দে মূর্ধনা-য ব্যবহারের চারটি নিয়ম লেখ।

বাকাশিবো ২০০২।

। প্রমিত বাংলা বানান নিয়ম বলতে কি বুঝায়? এই বানান নিয়ম সংক্ষেপে বর্ণনা কর।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

Leave a Comment