Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

বাংলা ছন্দের উপাদান বা পারিভাষিক শব্দ (পরিভাষা-প্রকরণ) | ছন্দ ও অলঙ্কার | ভাষা ও শিক্ষা

বাংলা ছন্দের উপাদান বা পারিভাষিক শব্দ (পরিভাষা-প্রকরণ) – আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিভাগের “ছন্দ ও অলঙ্কার” বিষয়ের একটি পাঠ। বাংলা ছন্দ সৃষ্টিতে যে-সব উপাদান বা উপকরণসমূহ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এবং অত্যাবশ্যকীয়, সেগুলো হচ্ছে- অক্ষর, মাত্রা, যতি, ছেদ, পর্ব, পঙ্ক্তি, চরণ, স্তবক, লয় ইত্যাদি। এগুলো বাংলা ছন্দের পারিভাষিক শব্দ বা উপাদান ।

বাংলা ছন্দের উপাদান বা পারিভাষিক শব্দ (পরিভাষা-প্রকরণ) | ছন্দ ও অলঙ্কার | ভাষা ও শিক্ষা

বাংলা ছন্দ সম্পর্কে সুষ্ঠু জ্ঞান লাভ করতে হলে এসব পারিভাষিক শব্দ বা উপাদানসমূহের সঙ্গে সম্যকভাবে পরিচিত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এই শব্দগুলো ভাষায় সাধারণ অর্থেও ব্যবহৃত হয়, কিন্তু ছন্দে ব্যবহার-কালে এদের বিশেষ অর্থের কথাই মনে রাখা হয়। তাই ছন্দ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার জন্য এ-সব বিষয় সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ধারণা রাখা অপরিহার্য— কেননা এই শব্দগুলোর ওপর ভিত্তি করেই গোটা ছন্দঃশাস্ত্র তথা ছন্দোবিশ্লেষণ দাঁড়িয়ে আছে।

ভাষার অন্যতম প্রাণশক্তি। মানুষ যখন কথা বলে তখন স্বাভাবিকভাবে, একধরনের ছন্দ সে ব্যবহার করে। ছন্দবোধ সব মানুষের থাকে না, তবে মানুষ কথা বলার সময় প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত ছন্দ ব্যবহার করে। প্রকৃতিতে ছন্দের অজস্র উদাহরণ আছে। বাতাসের দোলা, নদীর স্রোত, পাতার দুলুনি সব কিছুর মধ্যে ছন্দ লক্ষ করা যায়।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

গতিমান সব কিছুর মধ্যে ছন্দ থাকে। ছন্দ মূলত গতির সৌন্দর্য। অন্য কথায় চলমান যে কোনো কিছুর মধ্যে যে ঐকতান লক্ষ করা যায় তাই ছন্দ। গদ্যভাষায়ও ছন্দ থাকে। তবে কবিতার ছন্দ বেশি দৃষ্টিগোচর। কবিতার ছন্দ নিয়ে একটি কাঠামো রীতি মানুষ তৈরি করে ফেলেছে। কবিতার ছন্দ রূপগত দৃষ্টিগ্রাহ্য নয়, প্রকৃতির ছন্দের মতো। বরং তা শ্রুতিগ্রাহ্য ধ্বনিসৌন্দর্য। কবিতা আবৃত্তি করলে এর ছন্দ উপলদ্ধি করা যায়। আবৃত্তির সময় ধ্বনি প্রবাহের গতি বিরাম চিহ্নের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে ধ্বনির ঐকতান গড়ে ওঠে। ধ্বনির ঐকতান মূলত ধ্বনি প্রবাহের সৌন্দর্য।

 

 

আরও দেখুন:

Exit mobile version