Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থ ( ১৯৪২) – জীবনানন্দ দাশ

বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থ টি জীবনানন্দ দাশের অন্যতম জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ। ১৯৪২ সালে কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এটি জীবনানন্দ দাশের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। তার আগে ঝরা পালক (১৯২৭) এবং ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬) নামের দুইটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছিল। এই কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ২৯ টি কবিতা স্থান পেয়েছে।

 

বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থ ( ১৯৪২)

শুরুর কবিতাটির নাম কাব্যগ্রন্থের নামে- বনলতা সেন । বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা কবিতা তে প্রথম ১৯৩৩ সালে কবিতাটি প্রকাশিত হয়। অ্যাডগার অ্যালেন পো এর ‘টু হেলেন’ কবিতাটির সাথে বনলতা সেন কবিতাটির কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। বনলতা সেন চরিত্রটি জীবনানন্দ সৃষ্ট বিখ্যাত একটি চরিত্র। এই চরিত্রটি আরে কিছু নামে পরিচিত, যেমন- শ্যামলী, সবিতা, সুরঞ্জনা। প্রত্যেকটি নাম দিয়েই কাব্যগ্রন্থটিতে একটি করে কবিতা আছে।

“বনলতা সেন” কবিতাটি প্রথম প্রকাশ করেছিলেন কবি বুদ্ধদেব বসু তার কবিতা পত্রিকায়। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে প্রকাশিত কবিতার পৌষ, ১৩৪২ সংখ্যার মাধ্যমে বনলতা সেন সর্বপ্রথম পাঠকের হাতে এসে পৌঁছায়। কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলা ১৩৪৯, ইংরেজি ডিসেম্বর ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত তার বনলতা সেন নামক তৃতীয় কাব্যগ্রন্থে কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত করেন। কবিতা-ভবন কর্তৃক প্রকাশিত এক পয়সায় একটি গ্রন্থমালার অন্তর্ভুক্ত হিসেবে। প্রকাশক ছিলেন জীবনানন্দ দাশ নিজেই। ১৬ পৃষ্ঠার প্রথম সংস্করণে কবিতা ছিল মোট ১২টি। প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ করেছিলেন শম্ভু সাহা। পরবর্তীকালে জীবনানন্দ দাশ ১৯৪৪ এ প্রকাশিত তার চতুর্থ কাব্য মহাপৃথিবীতে উক্ত বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থের সকল কবিতাই অন্তর্ভুক্ত করেন। অতএব, মহাপৃথিবী কাব্যগ্রন্থেরও প্রথম কবিতা ছিল “বনলতা সেন”।

 

কবির জীবদ্দশায় বাংলা শ্রাবণ, ১৩৫৯, ইংরেজি ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার সিগনেট প্রেস থেকে বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণটি প্রকাশিত হয়। ৪৯ পৃষ্ঠার বর্ধিত কলেবরে প্রকাশিত সংস্করণে আগের ১২টি কবিতার সাথে আরও ১৮টি কবিতা যোগ করে মোট ৩০টি কবিতা প্রকাশিত হয়। এই সংস্করণের প্রচ্ছদ করেছিলেন সত্যজিৎ রায় ও মূল্য ছিল ২ টাকা। সিগনেট সংস্করণের প্রকাশক ছিলেন দিলীপকুমার গুপ্ত। পরবর্তীতে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে প্রকাশিত জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা গ্রন্থটিতেও কবিতাটি সংকলিত হয়। এছাড়া আবু সয়ীদ আইয়ুব এবং হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের যৌথ সম্পাদনায় ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত আধুনিক বাঙলা কবিতা শীর্ষক গ্রন্থেও কবিতাটি সঙ্কলিত হয়েছিল। কোলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে সুরক্ষিত পাণ্ডুলিপিসমূহের ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ চিহ্নিত ৮ নং খাতায় এ কবিতাটি আছে। তাই, পাণ্ডুলিপির হিসেবে, ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে কবিতাটি লিখিত হয়েছিল বলে প্রতীয়মান হয়।

কবিতাটি প্রকাশের সময় সিটি কলেজে টিউটরের চাকুরি হারিয়ে বেকার জীবনানন্দ সম্পূর্ণ নিঃস্ব অবস্থায় কোলকাতায় দিনাতিপাত করছিলেন। এ ঘটনার মাত্র কয়েক বৎসর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। স্ত্রীর সাথে বনিবনা হবে না কোনোদিন তা ইতিমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।

 

কবিতাটির সঠিক পাঠ নিয়ে প্রশ্ন আছে; কেননা ভিন্ন ভিন্ন সংকলনে ভিন্ন ভিন্ন পাঠ পাওয়া যায়। যদিও সে সবের পার্থক্য ব্যাপক কিছু নয়। তবে ভূমেন্দ্র গুহ সম্পাদিত পাণ্ডুলিপির কবিতা শীর্ষক গ্রন্থের পাঠটি নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়।

বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থ সূচিপত্র

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

আরও দেখুন:

Exit mobile version