বচন | বচনের প্রকারভেদ | ভাষা ও শিক্ষা

বচন – আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিভাগের “বচন” বিষয়ের একটি পাঠ। বচন ব্যাকরণের একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ সংখ্যার ধারণা। ব্যাকরণে বিশেষ্য বা সর্বনামের সংখ্যাগত ধারণা প্রকাশের উপায়কে বলে বচন। ১ অথবা, “বচন’ মানে ‘যা সংখ্যা বলে দেয়’,― শব্দের যে রূপের দ্বারা তার সংখ্যা বোধ হয় তাকে বচন বলে।

বচন | বচনের প্রকারভেদ | ভাষা ও শিক্ষা

২ যেমন : পাখিটি আকাশে উড়ছে। এই বাক্যে–‘পাখিটি’র ‘টি’ নির্দিষ্ট একটি পাখিকে বোঝাচ্ছে। পাখিগুলো আকাশে উড়ছে। এই বাক্যে— পাখিগুলোর ‘–গুলো’ বহুত্ববাচক অর্থাৎ অনেক পাখিকে বোঝাচ্ছে। “যাহার দ্বারা পদার্থের সংখ্যার বিষয়ে আমাদের বোধ জন্মে, তাহাকে বচন (number) বলে। রচন-দ্যোতক প্রত্যয় বা শব্দের দ্বারা কোনও বস্তুর একত্ব বুঝা যায়।”

 

বচন | বচনের প্রকারভেদ | ভাষা ও শিক্ষা

বচনের প্রকারভেদ

বচনের প্রকারভেদ বাংলা ভাষায় বচন দুই প্রকার। যথা : ১. একবচন ও ২. বহুবচন । একবচন : যে শব্দ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তুর মাত্র একটি সংখ্যা বোঝায় তাকে একবচন বলে। যেমন : বইটি, পাখিটি ইত্যাদি। বহুবচন : যে শব্দ দ্বারা কোন ব্যক্তি, প্রাণী, বা বস্তুর একের অধিক সংখ্যা বোঝায় তাকে বহুবচন বলে। যেমন : বইগুলো, পাখিগুলো ইত্যাদি। যা গণনা করা যায় না তার বহুবচনও হয় না। যেমন : পানিরা, দুধেরা ইত্যাদি হবে না, কারণ এগুলো দ্বারা এখানে পরিমাপ বোঝায়— সংখ্যা নয় ৷

 

বচন | বচনের প্রকারভেদ | ভাষা ও শিক্ষা

 

ব্যাকরণ বলতে সাধারণত ভাষার কাঠামোর, বিশেষ করে শব্দ ও বাক্যের কাঠামোর, গবেষণাকে বোঝায়। এ অর্থে ব্যাকরণ হল কোন ভাষার রূপমূলতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্বের আলোচনা। কখনও কখনও আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানে ব্যাকরণ পরিভাষাটি দিয়ে কোন ভাষার কাঠামোর সমস্ত নিয়মকানুনের বর্ণনাকে বোঝানো হয়, এবং এই ব্যাপকতর সংজ্ঞার ভেতরে ঐ ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব ও প্রয়োগতত্ত্বের আলোচনাও চলে আসে।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বচন নিয়ে বিস্তারিত দেখুন ঃ

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment