প্রীতিহীন হৃদয় আর প্রত্যয়হীন কর্ম দুই-ই অসার্থ | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা

প্রীতিহীন হৃদয় আর প্রত্যয়হীন কর্ম দুই-ই অসার্থ – ভাব-সম্প্রসারণের একটি নমুনা তৈরি করে দেয়া হল। আগ্রহীরা এখন থেকে ধারণা নিয়ে নিজের ভাষায় নিজস্ব ভাষণ তৈরি করবেন। কবি-সাহিত্যিকদের রচনায় অনেক সময় ভাব-সংহত বাক্য বা চরণ থাকে, যার মিত-অবয়বে লুক্কায়িত থাকে জীবন ও জগৎ সম্পর্কিত গূঢ় কথা, নিহিত থাকে ভূয়োদর্শনের শক্তি। ইতিময়, রূপকাশ্রয়ী স্বল্প-বাক উক্তিগুলো বিশ্লেষণে বের হয়ে আসে গত জীবন সম্পর্কে বৃহৎ ভাব, জীবনের অদ্ভুদর্শন। এই ধরনের ভাবগূঢ় বাক্যগুলোর ব্যাখ্যা-বিশেষণই হলো ভাবসম্প্রসারণ।

 

প্রীতিহীন হৃদয় আর প্রত্যয়হীন কর্ম দুই-ই অসার্থ

 

প্রীতিহীন হৃদয় আর প্রত্যয়হীন কর্ম দুই-ই অসার্থ

মানুষ সৃষ্টির সেরা। জ্ঞানে, কর্মে, পুণ্যে ও প্রীতিতে মানুষ তার জীবনকে সার্থক করে তোলে। বাঁচার জন্যে মানুষ নীরবে সংগ্রাম করে। মানুষের বাঁচা তখনই সার্থক হয়, যখন সে প্রীতির পরশে আপন আলয়ে স্বর্গ রচনা করতে পারে। ভোগ, ঐশ্বর্য, ক্ষমতা মানুষের কাম্য হতে পারে কিন্তু এসবে প্রকৃত সুখ নেই। মানুষ সুখ পায় প্রীতিময় সংসারে মমতাময় অনুভবে।

 

প্রীতিহীন হৃদয় আর প্রত্যয়হীন কর্ম দুই-ই অসার্থ

 

প্রীতি মানুষের জীবনে স্বর্গসুখ এনে দেয়। যে-হৃদয়ে প্রীতি নেই, প্রেম নেই সে হৃদয় নিষ্ঠুর, নির্মম। বিধাতা মানুষকে বিবেক দিয়েছেন ভালোবাসার মাঝে এক সুন্দরজীবন গড়ে তোলার জন্যে। মানুষ জীবনে ও কর্মে সার্থক হয় তখনই, যখন প্রীতিপ্রেমের পুণ্য বাঁধনে সে বাঁধা পড়ে। প্রীতিহীন যে-হৃদয় সে হৃদয়ে শান্তি ও সুখ থাকতে পারে না। শান্তি ও সুখের জন্যে তথা সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্যে কাজ করতে হয় এবং প্রতিটি কাজই করতে হয় দৃঢ় প্রত্যয়ে।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

কোনো কাজ যদি অর্ধপথে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে শ্রম, অর্থ, সময় সবই নষ্ট হয়। একনিষ্ঠভাবে সফল হবার প্রতিজ্ঞায় দৃঢ় হয়ে কোনো কাজে হাত দিলে সে-কাজ সুষ্ঠুভাবে সমাধা হবেই। লক্ষ্যহীন পরিণামহীন কর্ম মানুষকে গৌরব বা কৃতিত্ব কোনোটিই এনে দিতে পারে না। তাই, লক্ষ্য স্থির করে অধিক মনোবল নিয়ে কর্ম সম্পাদনে অগ্রসর হতে হবে। তা হলেই সফলতা আসবে, জীবন সার্থক হবে।

আরও দেখুন:

Leave a Comment