প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম গোত্রহীন | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা

প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম গোত্রহীন – ভাব-সম্প্রসারণের একটি নমুনা তৈরি করে দেয়া হল। আগ্রহীরা এখন থেকে ধারণা নিয়ে নিজের ভাষায় নিজস্ব ভাষণ তৈরি করবেন। উদ্ধৃতি ব্যবহারে লেখকের নাম ব্যবহার অবশ্যই পরিহার্য। সম্প্রসারিত ভাবের আয়তন ততটুকুই হবে, যতটুকুতে ভাবের প্রকাশ সম্পূর্ণতা পায়। বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে। এতে বক্তব্যের ভাব-গাম্ভীর্য ও ওজস্বিতা বিনষ্ট হয়।

 

প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম গোত্রহীন

 

প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম গোত্রহীন

আমাদের সমাজে নিরীহ ও গরিবদের কোনো মর্যাদা নেই। সকলেই তাদের ঘৃণা করে। কিন্তু যাঁরা মহৎ এবং উদার মনের অধিকারী তাঁদের কাছে ছোট বড় বলে কোনো ভেদাভেদ নেই। সকলকেই তাঁরা সমান মর্যাদা দিয়ে থাকেন।ভাঙা প্রাচীরের গায়ে একটি অখ্যাত ফুল ফুটেছে, যার আকার ছোট, রঙের কোনো বাহার নেই, গন্ধ নেই, শোভা নেই।

 

প্রাচীরের ছিদ্রে এক নাম গোত্রহীন

 

ফলে এর স্বজাতি অন্য ফুলগুলো তাকে পরিচয় দিতে নারাজ, এমনকী সে ছোট বলে এবং তার কোনো নাম নেই বলে তাকে ধিক্কার দিতেও দ্বিধা করে না। কিন্তু সেই অখ্যাত ফুলকে সূর্য সম্মান জানিয়ে এবং তার কুশল জানতে চেয়ে উদারতা ও মহত্ত্বের পরিচয় দিয়েছে। আমাদের সমাজেও এমন অনেক ব্যক্তি দেখা যায় যাদের ধন, মান, প্রতিপত্তি আছে— তাদের সকলেই শ্রদ্ধা করে, কুশল বিনিময় করে। অথচ তারাই আবার সাধারণ মানুষকে পাশ কাটিয়ে চলে, এমনকী প্রয়োজনে ঘৃণা করতেও দ্বিধাবোধ করে না।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

মূলত সমাজে সাধারণ মানুষের অর্থ-প্রতিপত্তি নেই বলেই সমাজ থেকে এরা কোনোপ্রকার সম্মান পায় না, বরং এদের তিরস্কার করা হয়, হেয় করা হয়। বাহ্য সৌন্দর্যকেই তারা সর্বাধিক মূল্য দিয়ে থাকে। কিন্তু যারা প্রকৃত মহৎ এবং উদার তাঁদের মন মানবতার আলোকে আলোকিত। সূর্যের মতোই তাঁরা মহৎ এবং বৃহৎ। ফলে, তাঁরা কাউকে ছোট মনে করেন না। তাঁদের চোখে ছোট— বড় বলে কোনো ভেদাভেদ নেই। উদারতার আলোকে তাঁরা সবাইকে সমান মর্যাদা দিয়ে থাকেন। প্রকৃত ও উদারমনের অধিকারী যাঁরা, তাঁরা ধনী-গরিব সবাইকে এক চোখে দেখেন এবং পরার্থে জীবন উৎসর্গ করতে তাঁরা কখনও পিছপা হন না।

আরও দেখুন:

Leave a Comment