Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

ধামালি | প্রাচীন বাংলা ছন্দোচিন্তার বিবর্তন | ছন্দ ও অলঙ্কার | ভাষা ও শিক্ষা

ধামালি | প্রাচীন বাংলা ছন্দোচিন্তার বিবর্তন | ছন্দ ও অলঙ্কার | ভাষা ও শিক্ষা , ধামালি কোনো ছন্দের জাতিগত নাম নয়। প্রাচীন সাহিত্যের এক বিশেষ ধরনের রচনাকেই ‘ধামালি’ বলা হয়েছে এবং যে ছন্দে তা রচিত হয়েছে, সে ছন্দটিও কালক্রমে ‘ধামালি’ অভিধা প্রাপ্ত হয়েছে। অনেকে হালকা ভাষা ও ছন্দ– যাকে অনেকেই ‘লৌকিক ছন্দ’ বা ‘ছড়ার ছন্দ’ নামে অভিহিত করে থাকেন, সেই ছন্দই ছিল উক্ত জাতীয় রচনার বাহন এবং এই ছন্দটিই কারো কারো নিকট ‘ধামাল ছন্দ’ নামেও পরিচিতি লাভ করেছে।

ধামালি | প্রাচীন বাংলা ছন্দোচিন্তার বিবর্তন | ছন্দ ও অলঙ্কার | ভাষা ও শিক্ষা

প্রাচীন বাংলা ছন্দোচিন্তার বিবর্তন

প্রাচীন বাংলা-ছন্দোচিন্তার বিবর্তনক্রম প্রবোধ সেন একটি ছকের সাহায্যে ফুটিয়ে তুলেছেন :

 

 

ছন্দের শ্রেণি নির্ণয় : ছন্দের শ্রেণি নির্ণয়ে নামের ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। যেমন অক্ষরবৃত্ত ছন্দকে বলা হয় তানপ্রধান, অক্ষরমাত্রিক, মিশ্রপ্রাকৃতিক, সঙ্কোচপ্রধান, যৌগিক ছন্দ, মিশ্ৰকলাবৃত্ত ছন্দ মাত্রাবৃত্ত ছন্দকে বলা হয় ধ্বনিপ্রধান, ধ্বনিমাত্রিক, বিস্তার প্রধান বা কলাবৃত্ত ছন্দ । স্বরবৃত্ত ছন্দকে বলা হয় স্বরাঘাত প্রধান, শ্বাসাঘাত প্রধান, স্বরমাত্রিক, দলবৃত্ত ছন্দ, ছড়ার ছন্দ, প্রাকৃত বা লৌকিক ছন্দ ।

 

 

বাংলা ছন্দের শ্রেণিবিভাগ কবিতার যুগ্মধ্বনির মাত্রা গণনার হিসাবের ওপর নির্ভরশীল। অযুগ্মধ্বনি সব ধরনের ছন্দেই এক মাত্রা গণনা করা হয়। যুগ্মধ্বনি তিন জাতের ছন্দে তিনভাবে গণনা করা হয়ে থাকে।

 

 

যুগ্মধ্বনি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে সব সময় দুই মাত্রার। স্বরবৃত্ত ছন্দে যুগ্ম ধ্বনি সবসময় একমাত্রার। আর অক্ষরবৃত্ত ছন্দে যুগ্মধ্বনি শব্দের প্রথমে বা মাঝে হলে এক মাত্রার এবং শব্দের শেষে থাকলে দু মাত্রার বলে বিবেচিত হবে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আরও দেখুন:

Exit mobile version