Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ও উপজেলা ব্যবস্থা | সরকার ও প্রশাসন | বাংলা রচনা সম্ভার

প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ও উপজেলা ব্যবস্থা | সরকার ও প্রশাসন | বাংলা রচনা সম্ভার ,  ভূমিকা : কোনো দেশে সুষ্ঠু প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ তার ক্ষমতার অবস্থান ও হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দ্বারা বহুলাংশে প্রভাবিত হয় । এক্ষেত্রে দুটি বিকল্প হতে পারে প্রশাসনিক ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ বা বিকেন্দ্রীকরণ। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সমাজে এ উভয় অবস্থাই কমবেশি পরিলক্ষিত হয়। তবে সাধারণত আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ও উন্নয়নমুখী কর্মপরিকল্পনার প্রাধান্যের ফলে বিকেন্দ্রীকরণ তুলনামূলকভাবে জনপ্রিয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর প্রয়োজনীয়তা তুলনামূলকভাবে বেশি।

প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ও উপজেলা ব্যবস্থা | সরকার ও প্রশাসন | বাংলা রচনা সম্ভার

প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ও উপজেলা ব্যবস্থা

এ দৃষ্টিকোণ থেকে ১৯৮৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলাদেশে উপজেলা ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন। এ ব্যবস্থায় বিকেন্দ্রীকরণের সুফলগুলো জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এবং এর কোনো কোনোটিতে ব্যাপক সফলতাও আসে। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে এতই মারাত্মক ছিল যে, শেষ পর্যন্ত পুরো ব্যবস্থাটার ওপরই জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলে এবং পরে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে ১৯৯১ সালে এ ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করে। আর তখন থেকেই এ ব্যবস্থার পক্ষে- বিপক্ষে বিতর্ক চলতে থাকে ।

 

বিকেন্দ্রীকরণের ধারণা : সাধারণভাবে বলা যায়, কোনো প্রশাসনিক সংস্থার দায়িত্ব ও কাজ যখন কোনো কেন্দ্র বা কেন্দ্রীয় সংস্থায় নিয়োজিত না রেখে অধস্তন সংস্থাসমূহের বা কেন্দ্র থেকে প্রদেশ অথবা স্থানীয় ও আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয় তখন সেখানে বিকেন্দ্রীকরণের নীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে ধরা হয়। তবে বিভিন্ন লেখক এর সংজ্ঞা দিয়েছেন বিভিন্নভাবে। ডুয়াইট ওয়ালডো (Dweight Waldo), Decentralization denotes a tendency where administration and responsibility are delegated from the central authority to regional and local units to suit the particular local conditions. (বিকেন্দ্রীকরণ বলতে স্থানীয় কোনো বিশেষ অবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও দায়িত্বকে আঞ্চলিক ও স্থানীয় সংস্থার নিকট হস্তান্তরকে বোঝায়।)

এল ডি হোয়াইটের ভাষায়, The process of transfer of administrative authority from a lower to a higher level of government is called centralization, the converse decentralization 

Prof. Allen-এর মতে, ‘কেন্দ্র থেকে প্রয়োগ করা সম্ভব এমন ক্ষমতা ব্যতীত অপর ক্ষমতা সর্বনিম্ন স্তরে ভারার্পণের নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিকেন্দ্রীকরণ বলা হয়।”

সুতরাং বিকেন্দ্রীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে ওপর থেকে ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যকে একটি সুনির্দিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে নিম্নতর পর্যায়ে স্তান্তর করা হয়। এ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত প্রতিটি স্তর একে অপরের সাথে কোনো না কোনোভাবে জড়িত থাকে এবং সার্বিক প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় তাদের সকলের কাজের সমন্বয় জরুরি বলে বিবেচিত হয়।

উপজেলা ব্যবস্থা ও বিকেন্দ্রীকরণ : আশির দশকের শুরুতে ক্ষমতা গ্রহণের পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের প্রশাসনিক সংস্কার ও সুবিন্যস্তকরণে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার গৃহীত এ সকল ব্যবস্থার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ছিল উপজেলা ব্যবস্থার প্রবর্তন। তিনি ১৯৮২ সালে প্রথম উপজেলা ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন এবং প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ৪৫টি মান উন্নীত থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করেন। তারপর পর্যায়ক্রমে দেশের সব কটি থানাকেই উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।

এ সময় ফৌজদারি কোর্টকে জেলা থেকে উপজেলায় স্থানান্তর এবং সকল বিভাগে উপজেলা অফিস স্থাপন করা হয়। ফলে দেশের সকল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। উপজেলা। প্রতি উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান জনগণের ভোটে নির্বাচনের বিধান রাখা হয় এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলার অধীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ পদাধিকারবলে উপজেলা পরিষে সদস্য হন। তবে বিকেন্দ্রীকরণের একটি পদক্ষেপ হিসেবে এ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলে এক পর্যায়ে দেশের সর্বত্র এ ব্যবস্থার ইতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাবও ক্রমশ সুস্পষ্ট হতে থাকে। 

ইতিবাচক দিকসমূহ : ১৯৯১ সালে যখন উপজেলা ব্যবস্থা রহিত করা হয় তখন অনেকেই এ ব্যবস্থার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। তখন তারা যে সকল বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন সেগুলো হলো :

১. গ্রামীণ এলাকার প্রতি বিশেষ নজর দান: উপজেলা ব্যবস্থা যখন প্রবর্তন করা হয় তখন তার মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে বিশেষ নজর দান। সেজন্য বেশ কিছু ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছিল। যেমন কৃষি উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপন, WFP, FFWP প্রভৃতি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড।

২. দ্রুত ও সহজ বিচারব্যবস্থা: বিচারব্যবস্থাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই ছিল উপজেলা ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য। সেজন্য উপজেলা পর্যায়ে ফৌজদারি কোর্ট স্থাপন করা হয়, যাতে সহজেই গ্রামীণ জনগণ আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে ।

৩. পল্লী উন্নয়নের গণতান্ত্রিক রূপায়ণ: উপজেলা ব্যবস্থায় পল্লী উন্নয়নের বহুমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ হয়, যাতে স্থানীয় প্রতিনিধিদের উন্নয়ননীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে। এ ব্যবস্থা অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন নীতিকে বাস্তবায়নের নানা ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল। 

৪. পল্লী যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন: উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে পল্লী এলাক যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছিল। কেননা তখন উপজেলা ছিল সকল কর্মকাে কেন্দ্রবিন্দু। ফলে জেলার সাথে উপজেলার যোগাযোগ, আন্তঃউপজেলা কেন্দ্রবিন্দু এবং উপজেলার সাথে প্রতিটি ইউনিয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকার যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছিল।

৫. গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন : উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে অনেকগুলো নতুন বিভাগ উপজেলা পর্যায়ে স্থাপন করা হয়। যেমন—উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস, মৎস্য অফিস, কৃষি সম্প্রসারণ অফিস, সমবায় অফিস প্রভৃতি। সেজন্য সৃষ্টি করতে হয় নানা সুযোগ-সুবিধা। অফিস ভবন নির্মাণ, কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন নির্মাণ, রাস্তাঘাটের সংস্কারসহ নানা অবকাঠামো গড়ে তোলা হয় । এভাবে একসময়ের অবহেলিত থানা প্রশাসনের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছিল ।

৬. রাজনৈতিক উন্নয়ন : উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রভাবটি গ্রামীণ এলাকায় পড়েছিল, সেটি হলো জনগণের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি । উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাঠশালা হিসেবে কার্যকর ছিল। ফলে এটি গ্রামীণ নেতৃত্বের বিকাশে বিশেষ গ্রামীণ নেতৃত্বের অবদান রেখেছিল ।

৭. আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন : উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে পল্লী এলাকায় কর্মচাঞ্চল্য এসেছিল এবং জনগণের একটি অংশের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। এতে দেশের ৪৬০টি থানায় প্রায় একই সঙ্গে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছিল। 

 

নেতিবাচক দিকসমূহ : উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তনের যে উদ্দেশ্য, বাস্তবতা তার থেকে অনেক দূর। যেমন—

 ১. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি : সরকারি সম্পদ ও সেবার সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করাই বিকেন্দ্রীকরণের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। অথচ সরকারি বণ্টন ব্যবস্থাকে রাজনীতিকীকরণের ফলে উপজেলা পরিণত হয়েছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর অব্যবস্থাপনার প্রাণকেন্দ্রে। এক্ষেত্রে উপজেলা চেয়ারম্যানগণ তাদের আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব এবং রাজনৈতিক সহযোগীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ- সুবিধা দিতেন। যথা : বিভিন্ন টেন্ডার, ওয়ার্ক অর্ডার প্রদান; হাট-বাজার, জলমহাল, বালুমহাল, ঘাট প্রভৃতি নিজেদের লোকদের ইজারা প্রদান; বিভিন্ন লাইসেন্স ও পারমিট প্রদান প্রভৃতি।

২. উপদলীয় কোন্দল ও দ্বন্দ্ব : বিকেন্দ্রীকৃত উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে সেখানে বিভিন্ন দল-  উপদল ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সৃষ্টি হয়। কেননা প্রভাবশালী মহলের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিরোধ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব বিস্তারের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এ সকল দ্বন্দ্ব হলো সাধারণত  উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংসদদের মধ্যে; নির্বাচিত প্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের মধ্যে; নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিজেদের মধ্যে। 

৩. জনগণের অংশগ্রহণের অসারতা: উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তনের আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল

প্রশাসনে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা। কিন্তু বাস্তবতা ছিল উল্টো। সেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কোনো ব্যবস্থাই ছিল না।

৪. স্থানীয় সম্পদের স্থানান্তর: বিকেন্দ্রীকরণের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় সম্পদের স্থানান্তর ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণ । কিন্তু উপজেলা ব্যবস্থায় এ উদ্দেশ্য অর্জিত হয়নি । উপজেলা পরিষদকে স্থানীয় কর আদায়ের ক্ষমতা প্রদান করা হলেও তারা এতে ব্যর্থ হয়। তারা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় কর আদায় করতে পারেনি।

৫. নির্বাচনী গণতন্ত্রের অপমৃত্যু: ১৯৮২-১৯৯১ সালের মধ্যে দেশে দুটি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ দুটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, এসব নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের চেয়ে সন্ত্রাস, কারচুপি, ব্যালট বাক্স চুবি প্রভৃতিরই প্রাধান্য ছিল এবং নির্বাচন উপহাসে পরিণত হয়েছিল।

৬. গ্রামীণ টাউটদের উৎপত্তি : বিকেন্দ্রীকরণের নামে উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে সরকারি অফিস-আদালতে জনগণের প্রবেশের পথ মোটেও সুগম হয়নি। বরং একে কেন্দ্র করে গ্রামীণ এলাকায় এক শ্রেণীর টাউটের উৎপত্তি হয়, যারা জনগণের হয়ে এসব অফিস-আদালতে ধর্না দিত এবং উপজেলা কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সাধারণ জনগণকে হয়রানি করতো। 

৭. মামলা-মোকদ্দমার অশুভ পরিণতি: বিকেন্দ্রীকরণের একটা উদ্দেশ্য হলো বিচারব্যবস্থাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া। কিন্তু এক্ষেত্রে উপজেলা ব্যবস্থা তেমন সুফল বয়ে আনতে পারেনি। কেননা তখন জনগণের অতি সাধারণ বিষয়েও মামলা-মোকদ্দমা করার প্রবণতা দেখা দেয়। তাছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালীরা অহেতুক তাদের বিরোধীদের হয়রানির জন্য এ সুযোগ কাজে লাগায়।

৮. সমন্বয়ের অভাব : উপজেলা পরিষদের কার্যক্রমে সমন্বয়ের যথেষ্ট অভাব ছিল। বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিবাদ, পারস্পরিক অবিশ্বাস চরম আকার ধারণ করে। 

৯. অমনোযোগী নেতৃত্ব: উপজেলা পরিষদের নেতারা তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিও তেমন মনোযোগী ছিলেন না। তাদের অধিকাংশই রাজধানী কিংবা জেলা শহরগুলোতে অবস্থান করতেন। ফলে স্থানীয় সমস্যা সম্পর্কে তারা খোঁজখবর কমই রাখতে পারতেন।

১০. ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের আঞ্চলিকতা : উপজেলা উন্নয়ন কমিটির মিটিংয়ের সময় চেয়ারম্যানরা উপজেলার সার্বিক উন্নয়নের পরিবর্তে নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতেন। এতে সমন্বিত উন্নয়নের পরিবর্তে অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন বৈষম্য দেখা দিয়েছিল।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

উপসংহার : দেশের প্রশাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিকেন্দ্রীকরণ এবং জনগণের সাথে সরকারের নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই উপজেলা ব্যবস্থার যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা ও স্থানীয় নেতৃত্বের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হয়। তবু এ ব্যবস্থার উপযোগিতা যে শেষ হয়নি, তার প্রমাণ পরবর্তী সরকারগুলোর এ ব্যবস্থার প্রতি দুর্বলতা। রাজনৈতিক কারণে অনেকে এর বিরোধিতা করলেও এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে বলে সকলেই বিশ্বাস করেন।

 

আরও দেখুন:

Exit mobile version