প্রধান অতিথির ভাষণ | ভাষণ | ভাষা ও শিক্ষা

প্রধান অতিথির ভাষণ | ভাষণ | ভাষা ও শিক্ষা , মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থাপনের জন্যে । প্রধান অতিথির একটি ভাষণ ।

প্রধান অতিথির ভাষণ | ভাষণ | ভাষা ও শিক্ষা

মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভার সম্মানিত সভাপতি, মাননীয় প্রধান অতিথি, মঞ্চে উপবিষ্ট সম্মানিত আলোচকবৃন্দ এবং উপস্থিত সুধীবৃন্দ— আপনাদের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সালাম ও সংগ্রামী অভিনন্দন। আজ ২৬শে মার্চ, আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। এ দেশের জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবস সবচাইতে গৌরবময় ও পবিত্রতম দিন।

১৯৭১ সালের এই দিনে রচিত হয়েছিল এক গৌরবময় ইতিহাস। বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এরপর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। এই দিনে বাঙালি জাতি ছুঁড়ে ফেলেছিল প্রায় দুই যুগের পাকিস্তানি শোষণের শৃঙ্খল, খুঁজে পেয়েছিল মুক্তির পথ, নিজেদের ঘোষণা করেছিল স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি হিসেবে। তাঁরা তাঁদের অমূল্য জীবন বিসর্জন দিয়ে, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। সেদিন প্রমাণিত হয়েছিল আমরা দেশের আয়তনের বিচারে ছোট হতে পারি, কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা মোটেও ছোট নই। তাই স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের ঐক্য ও সংহতির, এ ইতিহাস আমাদের দুর্বার চেতনার।

 

প্রধান অতিথির ভাষণ | ভাষণ | ভাষা ও শিক্ষা

 

সুধীবৃন্দ, আজ বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ স্বাধীনতা কুড়িয়ে পাওয়া এক মুঠো মুক্তো বা বদান্যতার উপহার নয়। দীর্ঘ নয় মাস ধরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এবং ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ স্বাধীনতা। মুক্তিসেনার রক্তে রঞ্জিত এক সুদীর্ঘ সংগ্রামের ফসল এই স্বাধীনতা।

আজ এই স্বাধীনতা দিবসের আনন্দোজ্জ্বল মুহূর্তে প্রথমেই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এ-দেশের অসংখ্য দেশপ্রেমিক শহীদদের কথা। সালাম জানাই এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, স্মরণ করি আমাদের জাতীয় নেতাদের, যাঁরা স্বাধীনতা আন্দোলনকে চূড়ান্ত জয়ের পথে পরিচালিত করেছিলেন। যাঁদের জীবন ও রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন সুন্দর রাষ্ট্র পেয়েছি, হতে পেরেছি স্বাধীন দেশের নাগরিক। তাই জাতীয় অগ্রগতি ও চেতনার মূলে এ দিনটির তাৎপর্য অপরিসীম।

ভাইয়েরা আমার, আমাদের এ কথাটি ভুলে গেলে চলবে না যে, সমগ্র দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষা ও আত্মত্যাগের ফলেই এই স্বাধীনতা লাভ সম্ভব হয়েছিল। স্বাধীনতা অর্জিত হলেই সংগ্রাম শেষ হয়ে যায় না; তখন বিজয়ী জাতির সামনে আসে স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম। এ সংগ্রামে আরো বেশি ত্যাগ-তিতিক্ষা ও শক্তি-সামর্থ্যের প্রয়োজন। এদেশে এখনও চলছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। এরা যে কোনো সময় সুযোগ পেলেই হিংসাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে স্বাধীনতাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সুতরাং এ-সব প্রতিক্রিয়াশীল মীরজাফরি হিংসাত্মক দৃষ্টি থেকে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ণ রাখার জন্যে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। অন্যথায় আমাদের আত্মত্যাগী সংগ্রামীরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা ধূলায় লুণ্ঠিত হবে।

সম্মানিত সুধীবৃন্দ, স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়েছে। একটি প্রজন্ম অতিক্রান্ত হয়ে আরেকটি প্রজন্মের সূচনা ঘটেছে। আমি নতুন প্রজন্মের হওয়ায় ‘৭১-এর স্বাধীনতা দিবস দেখিনি। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস আমাকে আলোড়িত করে, নবচেতনায় করে উদ্বুদ্ধ। কিন্তু বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে মনে প্রশ্ন জাগে, স্বাধীনতা শব্দটির সঙ্গে যে স্বপ্ন একদা দেশবাসী দেখেছিলেন আজও কি তা বাস্তবে রূপায়িত করা সম্ভব হয়েছে? জর্জ বার্নার্ড শ (George Bernard Show) এর সেই বিখ্যাত উক্তিটি আপনাদের অজানা নয়, যে— ‘স্বাধীনতা মানে দায়িত্ব।’

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

কিন্তু আমাদের প্রশ্ন— একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়ে দেশের নেতা-নেত্রীদের ওপরে যে গুরু-দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন সে দায়িত্ব কি ঠিকঠাক মতো পালিত হয়েছে? এ-প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট-এর সেই স্মরণীয় উক্তিটি মনে পড়ছে : ‘একটা স্বাধীন দেশের মানুষের জন্য চার ধরনের স্বাধীনতা অপরিহার্য— এক. বাক্ স্বাধীনতা, দুই. ধর্ম পালনের স্বাধীনতা, তিন. অভাব থেকে মুক্তির স্বাধীনতা, চার, সব ধরনের ভয়ভীতি থেকে স্বাধীনতা।’

আমার প্রশ্ন— এ দেশের মানুষ কি এই চার ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে? সুধী, স্বাধীনতার ৪১ বছর পর আমরা দেখছি, জনগণের বাক্ স্বাধীনতা ও ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকলেও বাকি দুটি স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত দেশের সিংহভাগ মানুষ। উন্নত জীবন নয় বরং কোনোরকমে বেঁচেবর্তে থাকবার জন্য প্রয়োজনীয় জীবনোপকরণের অভাবে এখনো কাতর দেশের সিংহভাগ মানুষ। এঁদের অনেকের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, অন্ন নেই, বস্ত্র নেই, শিক্ষা নেই। যেটুকু আছে সেটুকু নিয়েই চলে এঁদের নিরন্তর জীবন সংগ্রাম। এঁরা ভোগে অপুষ্টিতে, মরে সাধারণ অসুখ-বিসুখে। আর সব ধরনের ভয়-ভীতি থেকে স্বাধীনতা তো বলতে গেলে ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে কারুরই নেই।

বেকারত্বের ভয়, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার ভয়, দুর্নীতির ভয়, কায়েমি স্বার্থবাদীদের দ্বারা নানাভাবে শোষিত ও অত্যাচারিত হবার ভয় এবং সর্বোপরি জানমাল খোয়ানোর ভয়। আমি বুঝতে পারছি না যে, আজো এত ভয় কেন আমাদের মনে? এ ভয় দূর করার দায়িত্বই-বা কে নেবে ? সম্মানিত সুধীসমাজ, সম্প্রতি আপনারা লক্ষ করেছেন, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, পরমত অসহিষ্ণুতা, রাজনৈতিক উগ্র উন্মাদনা, – সামাজিক অবক্ষয়, সন্ত্রাস ও সংঘাতের সশস্ত্র বিক্ষোভ আমাদের জাতীয় জীবনে নতুন উপসর্গরূপে দেখা দিয়েছে।

এ সকল অপশক্তি দেশে এনেছে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা, রক্তক্ষয়ী সংঘাত, নিরাপত্তাহীন সন্ত্রাস। স্বাভাবিকভাবে মনে প্রশ্ন জাগে, আমরা কি এই স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম? এই কি আমাদের ইতিহাস ও সভ্যতার মূলমন্ত্র ? এভাবে কি আমরা শক্তিধর মহান জাতির অস্তিত্বকে তুলে ধরতে পারব? এভাবে কি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা হবে?

সুধীমণ্ডলী, আমার বক্তব্য হয়ত একটু দীর্ঘ হয়ে গেল। কিন্তু এ ছাড়া উপায় কী? এমন একটি তাৎপর্যময় বিষয় দু-চার কথায় শেষ করা বেশ কঠিন। সুধী, আইরিশ দার্শনিক এডমন্ড বার্ক (Edmund Burke) -এর একটি কথা মনে পড়ে গেল, তিনি বলেছিলেন, “আমাদের দ্বারা দেশকে ভালোবাসতে হলে, দেশকে ভালোবাসার যোগ্য করে গড়ে তোলা উচিত।’ কথাটা দেশপ্রেমিকদের কাছে খানিকটা রূঢ় শোনালেও এর তাৎপর্য উপলব্ধি করা দরকার। দেশকে ভালোবাসার যোগ্য করে গড়ে তোলার অর্থ দেশকে সুখী ও সমৃদ্ধিশালী করে গড়ে তোলা। স্বাধীনতার ৪১ বছর পর এ কথা না বলে উপায় নেই যে, দেশের অধিকাংশ মানুষের জন্য এদেশকে সুখী ও সমৃদ্ধিশালী করে গড়ে তোলা হয় নি বা যায় নি।

একাত্তরে আমরা ভৌগোলিক স্বাধীনতা পেয়েছিলাম, পেয়েছিলাম রাজনৈতিক স্বাধীনতা। সে স্বাধীনতাকে পুঁজি করে দেশের মানুষের জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এনে দেয়ার পবিত্র দায়িত্ব যাঁদের ওপর পর্যায়ক্রমে বর্তেছিল তাঁরা অনেকক্ষেত্রে যে ব্যর্থ হয়েছেন, তা আপনাদের জানা। এ ব্যর্থতার পেছনের কারণগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো দূর করার দায়িত্ব যেমন সরকারের, তেমনি বিরোধী দলগুলোরও। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে মতবিরোধ থাকবে এবং থাকাই স্বাভাবিক।

কিন্তু দেশের ও দশের স্বার্থের প্রশ্নে সমাজের সকল বিবেকবান মহলেরই উচিত একযোগে কাজ করা। এখানে বিভেদ নয় ঐক্য কাম্য সুধীবৃন্দ, আমি এ কথা বলছি না যে, স্বাধীনতার পর জাতি হিসেবে আমাদের এ পর্যন্ত অর্জন নগণ্য। বস্তুত ‘স্বাধীনতা’ই ছিল জাতি হিসেবে আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। এরপর বিগত ৩৯ বছরে আমরা এমন অনেক কিছুই অর্জন করেছি যা নিয়ে গর্ব করা যায়। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান এ প্রসঙ্গে লিখেছেন : ‘মানব সম্পদ উন্নয়ন, পরিবার পরিকল্পনা, খাদ্য নিরাপত্তা, দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি, দুর্যোগ মোকাবেলা ইত্যাদি কার্যক্রমে আমাদের অর্জন দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে।’ স্বীকার করছি।

কিন্তু একাত্তরে প্রাপ্ত স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা কি আরো সামনে অগ্রসর হতে পারতাম না? দুঃখ করেই তিনি বলেছেন : ‘… সঠিক নীতি নির্ধারণ ও কর্মপন্থা গ্রহণ করা হলে, আমরা আরো অনেক বেশি অগ্রগতি … অর্জন করতে সক্ষম হতাম এবং হয়তো আমাদের পক্ষে পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র ও দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব আমরা এ সুযোগ অনেকাংশে অবহেলায় হারিয়েছি।’ তবে এখনো সময় আছে বলে বিশ্বাস করি। যার সুযোগ শেষ! সুধী, স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার সুযোগ শেষ হয়ে যায় নি। ‘আরো ভালা’ নয় বরং ‘যথাসাধ্য ভালো র কথাই বলছি। এক কথায় এখনো আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে সঠিকভাবে অর্থবহ করে তুলতে পারি নি।

আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি কিন্তু তার তাৎপর্যের সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ঘটাতে পারি নি। তাই আসুন, আজকের এ দিনে স্বাধীনতা-সংগ্রামে আত্মদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা শপথ নিই, জাতীয় ঐতিহ্য, দেশের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধিকে বাঁচিয়ে রাখতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই । আসুন, আমরা আমাদের সকল দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মধ্য দিয়ে দেশকে গড়ে তুলি। কেননা সমাজের কাছে আমরা প্রতিটি মানুষ দায়বদ্ধ। ঋণ পরিশোধের দায়-দায়িত্ব ও কর্তব্যও আছে আমাদের। অন্নহীনে অন্ন এবং নিরক্ষরকে জ্ঞানের আলো দিয়ে এই স্বাধীনতাকে সার্থক করে তুলতে হবে।

তাই আসুন সবরকম বিভেদ-বিচ্ছেদ ভুলে, হানাহানি সংঘাত ভুলে, সংকীর্ণ স্বার্থচিন্তা জলাঞ্জলি দিয়ে দেশ গড়ার কাজে ব্রতী হই। শেষ করছি রবীন্দ্রনাথের একটি বক্তব্য ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা বলে। কবিগুরু লিখেছেন : ‘সত্য যে কঠিন / কঠিনেরে ভালোবাসিলাম / সে কখনো করে না * বঞ্চনা।’ মহান মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস অনেকের কাছে মেনে নেয়া কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু সত্যের প্রকৃতির কারণেই তাকে আমাদের গ্রহণ করা উচিত নির্দ্বিধায়। স্বাধীনতা যুদ্ধে যাঁরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁদের সবাইকে দিতে হবে যথাযথ সম্মান।

 

প্রধান অতিথির ভাষণ | ভাষণ | ভাষা ও শিক্ষা

 

যার যতটুকু সম্মান ও মর্যাদা প্রাপ্য তাঁকে ততটুকু দিতে আমরা যেন কার্পণ্য না করি। করলে, আমাদের দীনতাই শুধু তাতে প্রকাশ পাবে, যাঁকে বা যাঁদের অমর্যাদা করা হচ্ছে, তাঁর বা তাঁদের কোনো ক্ষতি হবে না। আমি নিশ্চিত, অন্তত আগামী প্রজন্ম তেমন কাপর্ণ দেখাবে না। তি হবে না। আমি আপনারা এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমার বক্তব্য শোনার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ। আর, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজকের এই মহতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমাকে কিছু বলার সুযোগ করে দিয়েছেন তাদের জানাই কৃতজ্ঞতা। স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি আবারও শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।— খোদাহাফেজ।

আরও দেখুন:

Leave a Comment