পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা

পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা , সহজ ভাষায়, সংক্ষেপে ভাবসত্যটি উপস্থাপন করা উচিত। প্রয়ােজনে যুক্তি উপস্থাপন করে তাৎপর্যটি উদ্ধার করতে হবে।মূল ভাববীজকে বিশদ করার সময় সহায়ক দৃষ্টান্ত, প্রাসঙ্গিক তথ্য বা উদ্ধৃতি ব্যবহার করা চলে। এমনকি প্রয়ােজনে ঐতিহাসিক, পৌরাণিক বা বৈজ্ঞানিক তথ্যও উল্লেখ করা যায়। তবে ভুল বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য, ওয়ার চেয়ে না দেওয়াই ভালাে।

 

পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন, নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন

 

পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন, নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন

আপনার উপকার হবে ভেবে যেজন অপরের অপকারে আত্মনিয়োগ করে, পরিণামে সে নিজেই কষ্ট ভোগ করে।মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে মানুষ পরস্পর পরস্পরের সহযোগী হয়ে বাস করে। একে অপরের কল্যাণ সাধন করাই মানুষের মানবিক ও নৈতিক ধর্ম। পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষের পার্থক্য হল- মানুষ শুধু নিজের কথাই চিন্তা করে পৃথিবীতে বেঁচে থাকে না। মানুষকে তার চারপাশের জগৎ নিয়েও ভাবতে হয়।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

যে মানুষ সর্বদা অন্যের উপকার করার কথা ভাবে এবং নিজেকে সর্বদা অন্যের হিতার্থে ব্যাপৃত রাখে সে সমাজে সম্মানিত হয়। অন্যদিকে, মানুষ যখন নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয় তখন সে অপরের ক্ষতি সাধনে তৎপর হয় এবং অন্যের ক্ষতির চিন্তায় মগ্ন থাকে। এমতাবস্তায় সে সর্বদা হীণমন্যতায় ভোগে।

 

পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন, নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন

 

এতে তার চিত্তে শুদ্ধি আসে না বলে সে তার স্বীয় কর্মক্ষেত্রেও উন্নতি করতে পারে না। কেননা, মানুষের স্বার্থবুদ্ধি প্রাধান্য পেলে তার পরিণতি শুভ হয় না। অপরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে নিজে লাভবান হওয়ার চেষ্টা অন্যায় কর্ম বলে বিবেচিত হয়। আর এ অন্যায় যারা করে অর্থাৎ নিজের স্বার্থকে যারা বড় করে দেখে তারা সংকীর্ণমনা, অনুদার। তাদের কাজ-কর্মে শুধু অন্যের একার ক্ষতি হয় না বরং সমাজ ও জাতির পাশাপাশি তার নিজেরও বিরাট ক্ষতি হয়। পার্থিব কর্মের ফল মানুষ কোন না কোনভাবে পৃথিবীতেই পেয়ে যায়। তাই এহেন ব্যক্তিরা নিজেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। অপরের ক্ষতির চিন্তা না করে পরোপকারে আত্মনিয়োগ করাই উত্তম।

আরও দেখুন:

Leave a Comment